Just In
এই খাবারগুলি খেলে কিন্তু আপনাকে খুব খারাপ দেখতে হয়ে যাবে!
শরীর এবং ত্বকের সুস্থ থাকার সঙ্গে আমাদের রোজের ডায়েটের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাই তো ত্বককে সুন্দর এবং প্রাণচ্ছ্বল রাখতে বেশ কিছু খাবারকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে এই প্রবন্দে আলোচিত খাবারগুলি খেলে আমদের শরীরে বেশ কিছু খারাপ উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা এক সময় গিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের এতটাই অবনতি ঘটিয়ে দেয় যে সৌন্দর্যতা চোখে পরার মতো কমে যায়।
এক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্টরা যে যে খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সেগুলি হল...
১. বেশি নুন খাওয়া চলবে না:
শরীরে নুনের পরিমাণ যত বাড়বে, তত জলের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর এমনটা হলে মুখের পাশাপাশি সারা শরীর ফুলতে শুরু থাকবে। ফলে সৌন্দর্য যে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! তাই তো নুন বেশি রয়েছে এমন জাঙ্ক ফুড, পাপড়, আচার এবং টিনজাত খাবার যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। এমনটা করলে দেখবেন ত্বক একেবারে টানটান থাকবে।
২. বেশি মাত্রায় চা-কফি পান নৈব নৈব চ!:
এই ধরনের পানীয়তে ক্যাফিনের মাত্রা বেশি থাকে, যা কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোনের মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, তত ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে বলিরেখাও প্রকাশ পায়।
৩. অ্যালকোহল:
মদ্যপান করার পর ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে স্কিন ড্রাই হয়ে যায়। আর যত এমনটা হতে থাকে তত বলি রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির প্রকাশ করা এক রিপোর্ট অনুসারে অ্যালকোহলের সঙ্গে সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে সাবধান হওয়াটা জরুরি।
৪. মিষ্টি জাতীয় খাবার:
অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই এনজাইমগুলি ধীরে ধীরে ত্বকের অন্দরে থাকা কোলাজেন এবং এলেস্টিন নামক দুটি উপাদানকে ভেঙে দেয়। ফলে ত্বকের সুন্দর্য চোখে পরার মতো কমে যায়। সেই সঙ্গে স্কিনের উপর বয়সের ছাপও পরতে শুরু করে।
৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার:
এই ধরনের খাবার বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে গ্লাইসেকিম লোড বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নুনের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যের খারাপ প্রভাব পরে। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে ঔজ্জ্বল্যও হারাতে শুরু করে স্কিন। প্রসঙ্গত, যেসব খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে, তেমন খাবার যতটা পারবেন এড়িয়ে চলবেন। কারণ এমনটা না করলে ত্বকের জন্য একেবারেই ভাল নয়।
৬. পাঁঠার মাংস:
বেশি মাত্রায় এমন মাংস খেলে শরীরে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক এবং শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরে।
৭. ভাজা খাবার:
ফ্রায়েড পুড খাওয়া মাত্র আমাদের শরীরে হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা দেহে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, সেই সঙ্গে ভিটামিন-ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে ফ্রি রেডিকাল বা ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বাড়তে থাকে। এমনটা হওয়া মাত্র ত্বকের অবনতি ঘটতে শুরু করে। তাই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পাঁঠার মাংস খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনাটা জরুরি। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!