Just In
সারা দিন ধরে মনে মনে "জয় সাই রাম" উচ্চারণ করলে কী কী সুফল পাওয়া যায় জানা আছে?
সাই বাবা। এটা শুধু নাম নয়, এটা একটা শক্তি। যে শক্তি প্রতিনিয়ত জাগ্রত তার ভক্তদের দঃখ দূর করার জন্য। সেই সঙ্গে তাদের মনের ছোট থেকে ছোট ইচ্ছা পূরণ করার জন্য। তাই তো এই পৃথিবীর সব দুখিদের একটাই ঠিকানা
সাই বাবা। এটা শুধু নাম নয়, এটা একটা শক্তি। যে শক্তি প্রতিনিয়ত জাগ্রত তার ভক্তদের দঃখ দূর করার জন্য। সেই সঙ্গে তাদের মনের ছোট থেকে ছোট ইচ্ছা পূরণ করার জন্য। তাই তো এই পৃথিবীর সব দুখিদের একটাই ঠিকানা। শ্রী সাইয়ের দরবার। তাই আপনিও যদি জীবনকে সুখের নরম ছোঁয়ায় সমৃদ্ধ করে তুলতে চান, তাহলে মনে মনে সাই বাবাকে স্বরণ করতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে দেখবেন বুকের অন্দরে সাপের মতো ছোবল মারতে থাকা মানসিক চাপ অজান্তেই উধাও হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সুখ এবং সমৃদ্ধি আপনার চিরসঙ্গী হয়ে উঠবে।
সাই বাবা তাঁর ভক্তদের শুধু একটা কথাই বলতেন। "কোনও মন্ত্র নয়, কোনও পুজো নয়। শুধু মনে মনে আমার নাম কর। আর এক মনে বলো কী চাও তুমি! দেখবে তোমার ইচ্ছা আমি পূরণ করবোই।" এই কারণেই তো আজ কোটি কোটি মানুষ প্রতি বছর সিরডিতে এসে বাবার সামনে মাথা নত করেন। কিন্তু আপনাকে এমনটা করতে হবে। এক গাদা টাকা খরচ করে যেতে হবে না সিরডি। শুধু প্রতিদিন, সারা দিন ধরে বাবাকে স্মরণ করে যান, দেখবেন কষ্ট কমতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক সুফল। যেমন...
১. যা চাইবেন তাই পাবেন:
শ্রী সাই সাৎচারিত্রের লেখক শ্রী হেমাদ্রিপান্থ নিজের বইতে লিখেছেন সাই বাবা মৃত্যুপূর্বে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তার ভক্তরা তাঁর কাছে যা চাইবেন, তিনি তাদের তাই দেবেন। শুধু তাই নয়, সেইসব ইচ্ছা পূরণ হতে একেবারেই সময় লাগবে না। তবে মনের ইচ্ছা পূরণ করতে নিয়মিত পুজো করার প্রয়োজন নেই, বরং এক মনে বাবার নাম করুন। দেখবেন নিমেষে জীবন বদলে যাবে। আনন্দে ভরে উঠভে জীবনের ঝাঁপি।
২. পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে:
সুখে-শান্তিতে বাঁচতে কে নায় চায় বলুন! কিন্তু কজনই বা পায় সুখের সন্ধান! কিন্তু আপনি চাইলে সুখের সন্ধান পেতে পারেন। কীভাবে এমনটা সম্ভব তাই ভাবছেন নিশ্চয়? না কোনও পুজোপাঠ করতে হবে না, শুধু প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ মনে, মনোযোগ সহকারে শ্রী সাই রামের নাম জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন সুখে-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে জীবন। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের পরিবারিক কলহ কমতেও সময় লাগবে না। ভায়ে-ভায়ে ঝগড়া কমবে। শান্তি চির অবস্থান করবে আপনার গৃহস্থে।
৩. বড়ই সহজ রাস্তা:
কোনও কঠিন মন্ত্র নয়, কোনও পুজো নয়, কোনও উপোস নয়। শুধু তুমি আমার দিকে তাকাও। আমিও তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবো। এই ছিল সাই বাবার শেষ বক্তব্য। তাই এক মনে বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্ট উজাড় করে দিন। দেখবেন বাবা আপনার কথা শুনবেন। আর সাই বাবা যখন তার ভক্তদের দিকে নেকদৃষ্টি ফেরান, তখন জীবন বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলে দিতে হবে। তাই জীবনে কখনও কোনও কষ্টের সম্মুখিন হলে সাই বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে এক মনে তার নাম নিন। দেখবেন কষ্ট কমতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, গুড লাক আপনার চিরসঙ্গী হবে।
৪. চর্মচক্ষে মিরাকেল হতে দেখবেন:
সিরডিতে গিয়ে কান পাতলে শুনতে পাবেন এমন অনেক ঘটনার গল্প, যা বাস্তবিকই মিরাকেলের সমান। একতা ঠিক যে সাই বাবা দেহ রেখেছেন অনেক বছর। কিন্তু আজও তিনিন সুক্ষ শরীরে বিরাজমান এই পৃথিবীর প্রতিটি কোনায়। তাই তো এমন শক্তির আধারে নিজেকে নিমজ্জিত করতে দেরি করবেন না। দেখবেন আপনার জীবনেও একের পর এক ম্যাজিক ঘটতে শুরু করবে। হয়তে কথাটা বিশ্বাস হচ্ছে না, কি তাই তো? কোনও অসুবিধা নেই। একাবার মনে মনে কোনও একটা খঠিন ইচ্ছার কথা বাবাকে জানিয়ে দেখুন না কী হয়। আপনার মনের ইচ্ছা যে পূরণ হবে, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
৫. চাই শুধু জল:
শুনলে অবাক হয়ে যাবেন সাই বাবার পুজো করার সময় প্রয়োজন নেই ফুল, মালা বা নামি দামি প্রসাদের। এক মনে বাবার নাম নিন, আর এক গ্লাস জল নিবেদন করুন। দেখবেন বাবা তাতেই খুশি হবেন। আর বাবা খুশি মনে আপনার গৃহস্থে আবস্থান করলে যে কোনও মনের ইচ্ছা তো পূরণ হবেই, তেমনি কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
৬. জীবনের পথ বদলে যায়:
নানা ঝুট-ঝামেলায় জীবন কি দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ছোট ছোট সুখও সঙ্গ ছেড়েছে। তাহলে বন্ধু নিয়মিত সাঁই বাবার নাম নেওয়া শুরু করুন। দেখবেন জীবন বদলে যেতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, লেগেটিভ শক্তিরা দূরে পালাবে। ফলে সুখ এবং অনন্দে ভরে উঠবে জীবন।
৭. বৈবাহিক জীবন সুখে শান্তিতে কাটবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত "ওম শ্রী সাই প্রেমা প্রদ্ধায়া নামহঃ", এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করলে দেখবেন হাজারো ঝড়-ঝাপটার মধ্যেও বৈবাহিক জীবন সুখে শান্তিতে কাটতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটবে।