Just In
গণেশ ঠাকুরের লকেট পরলে কী কী উপকার হয় জানা আছে?
গণেশ দেবতার লকেট পরলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে জানলে আপনি হয়তো অবাক হয়ে যেতে পারেন।
ঠাকুর-দেবতার লকেট তো অনেকেই পরে থাকেন। কি তাই তো? কেউ নিজের পছন্দ মতো দেব-দেবীর লকেট নির্বাচন করেন, তো কেউ কেউ অন্যের কথা শুনে প্রভাবিত হয়ে ঝুলিয়ে ফেলেন কোন সর্বশক্তিমানের ছবি। কিন্তু কখনও জেনে ওঠার চেষ্টা করেন না যে, যে দেবতার লকেট পরছেন, তা সঙ্গে থাকলে আদৌ কোনও উপকার হবে কিনা!
কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে সব দেব-দেবীর লকেট পরলে কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায় না। তাই তো এমনটা ভেবে নিলে ভুল করবেন যে কোনও দেব-দেবীদের লকেট পরা মাত্রই উপকার মিলতে শুরু করবে। আসলে বাস্তুবে কিন্তু এমনটা হয় না। কারণ বিশেষ কিছু দেবতাই আছেন, যাদের ছবি সঙ্গে রাখলে নানা উপকার মেলে। যেমন ধরুন গণেশ দেবতার লকেট পরলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে জানলে আপনি হয়তো অবাক হয়ে যেতে পারেন। তাই তো বলি বন্ধু, দেব-দেবীদের লকেট কেনার কথা যদি ভেবে থাকেন এবং এই মানব জীবনকে যদি সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধটিতে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই লেখায় গণেশ দেবতার লকেট পরলে কী কী উপকার মিলতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হস, যে সম্পর্কে পড়তে পড়তে হয়তো আপনার চোখ কপালেও উঠে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বুধবার হল ভগবানে গণেশের দিন। তাই তো এদিন গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তির সামনে গণেশ দেবতার লকেট রেখে তা পুজো করে যদি পরতে পারেন, তাহলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. কর্মক্ষেত্রে যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গণেশ ঠাকুরের লকেট পরলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় ঘটতে থাকে যে চাকরি বা ব্যবসা ক্ষেত্রে সামনে আসা বাঁধার পাহাড় একে একে সরে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, অল্প সময়ে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়ে যদি চরম পদন্নতির স্বাদ পেতে চান, তাহলে গণেশ ঠাকুরকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, অফিস ডেস্কে গণেশ টাকুরের মূর্তি রাখলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
২. গুড লাক সঙ্গ নেয়:
একথা তো মানতেই হবে যে এই মানব জীবনকে যদি সফল করে তুলতে হয়, তাহলে পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্যের সঙ্গ থাকাটাও জরুরি। কারণ শুধুমাত্র পরিশ্রমের উপর ভরসা করে সফবলতার স্বাদ পাওয়াটা কিন্তু বেজায় কঠিন। কিন্তু প্রশ্ন হল, গুড লাককে রোজের সঙ্গী বানানো যায় কীভাবে? এ জন্য বন্ধু গণেশ ঠাকুরের একটা লকেট পরতে হবে। কারণ শাস্ত্র মতে গণেশ দেবতা তাঁর ভক্তদের কখনও নিরাশ করেন না। আর একবার দেবের আশীর্বাদ লাভ করলে ভাগ্য যেমন ফিরে যায়, তেমনি কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. বুদ্ধি এবং মনোযোগ ক্ষমতার বিকাশ ঘটে:
বাচ্চাদের গণেশ ঠাকুরের লকেট পরালে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি লাভ করতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে কি অফিসের কাজে একেবারেই মন বসাতে পারছেন না? তাহলে গণেশ ঠাকুরকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
৪. খারাপ শক্তি কোনও ক্ষতি করতে পারে না:
গণেশ টাকুর যেমন সমৃদ্ধির দেবতা, তেমনি অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে থাকে। এই কারণেই তো সকলকেই গণেশ ঠাকুরের লকেট পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনাও কমে।
৫. ইভিল স্পিরিটকে দূরে রাখে:
অনেকে বিশ্বাস করেন যে গণেশ ঠাকুরের লকেট পরলে কালো যাদুর কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ভূত-প্রেতের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়তো অবিশ্বাস করবেন না, কিন্তু এই ধরণার মধ্য়ে কোনও ভুল নেই যে ইর্ষান্বিত হয়ে এই ২১ শতকেও কিন্তু অনেকে তুকতাকের সাহায্য নিয়ে লোকের ক্ষতি করে থাকে। আর এমনটা যে কেউ আপনার সঙ্গে করার চেষ্টা করছে না, সে বিষয়ে আপনি কি নিশ্চিত? তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে যদি থাকতে হয়, তাহলে গণেশ দেবতাকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন!
৬. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো:
গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেবতা! তাই তো দেবকে সঙ্গে রাখলে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে অনেকে অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, জীবনে কখনও টাকা এবং খাবারের অভাব হয় না। এবার নিশ্চয় বিশ্বাস করতে কোনও অসুবিধা নেই বন্ধু যে গণেশে ঠাকুরের লকেট পরলে জীবনের সামগ্রিক ছবিটাই বদলে যায়।