Just In
- 58 min ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 17 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 17 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 21 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
শ্রাবণ মাস চলাকালীন প্রতি সোমবার উপোস করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
শিব পুরান অনুসারে শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেবের পুজো করলে সাধারণ দিনের থেকে প্রায় ১০৮ গুণ বেশি উপকার পাওয়া যায়।
শিব পুরান অনুসারে শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেবের পুজো করলে সাধারণ দিনের থেকে প্রায় ১০৮ গুণ বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ ইংরেজির জুলাই-আগষ্ট মাসে আসা শ্রাবণ মাস হল সবথেকে পবিত্র মাস। তাই তো এই সময় প্রতি সোমবার উপোস করার মধ্যে দিয়ে যদি দেবের অরাধনা করা যায়, তাহলে দারুন ফল মেলে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
"সোলার ইয়ার" এর পঞ্চম মাসে আসে শ্রাবণ মাস। আর বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির কথা যদি বলেন, তাহলে যে মাসে সূর্য, সিংহরাশিকে প্রভাবিত করতে শুরু করে, সেই মাসকেই বিশেষজ্ঞরা শ্রাবণ মাস হিসেবে বিবেচিত করে থকেন। প্রসঙ্গত, এই বিশেষ মাসকে শ্রাবণ মাস নামে ডাকা হয়ে থাকে কেন জানা আছে? বিশেষজ্ঞদের মতে পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ মাসটিতে রাতের আকাশে শ্রাবণ নক্ষত্রের অর্বিভাব ঘটে। তাই তো এই মাসটিকে শ্রাবণ মাসে নামে ডাকা হয়ে থাকে।
শ্রাবণ মাসের প্রতিটি দিন যদি শিবের অরাধনা করার পাশাপাশি প্রতি সোমবার উপোস করে যদি দেবাদিদেবের পুজো করা হয়, তাহলে সর্বশক্তিমান বেজায় প্রসন্ন হন। আর একবার দেব কারও উপর খুশি হলে তার জীবন বদলে যেতে সময় লাগে না। কারণ এমনটা হলে মিলতে শুরু করে একের পর এক উপকার, যেমন ধরুন...
১. শরীর রোগ মুক্ত হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পুরো শ্রাবণ মাসজুড়ে প্রতিদিন ১০৮ বার "ওম নম শিবায়", মন্ত্রটি জপ করার পাশাপাশি প্রতি সোমবার উপোস করে যদি দেবের পুজো করা যায়, তাহলে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, শরীরের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ক্লান্তি ঘুঁচতে সময় লাগে না।
২. মনের জোর বাড়ে:
শাস্ত্র মতে দেবাদিদেব হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো শ্রাবণ মাসে দেবের আরাধনা করলে যে কোনও ধরনের ভয় দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনোবল এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে মানসিক আবসাদ এবং দুশ্চিন্তা দূর হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে যে কোনও সমস্যায় মানসিকভাবে ভেঙে পরার আশঙ্কাও কমে।
৩. স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি পায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিবাহিত মহিলারা যদি সারা শ্রাবণ মাস ধরে প্রতি সোমবার উপোস করে একাগ্রতার সঙ্গে দেবের আরাধনা করেন, তাহলে স্বামীর কোনও ধরনের বিবদ ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, জীবনসঙ্গীর আয়ু বৃদ্ধি পেতেও সময় সাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে অবিবাহিত মহিলারা যদি শ্রাবণ মাসে উপোস করা শুরু করেন, তাহলে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৪. জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শ্রাবণ মাস হল বছরের সবথেকে পবিত্র মাস। তাই তো এই সময় দেবের আরাধনা করলে একাধিক সুফল মিলতে শুরু করে, যার অন্যতম হল, পরিবারের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের কলহ বা বিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে সুখের ঝাঁপি খালি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৫. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলার স্বাদ মেলে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু। এই সময় উপোস করে শিব ঠাকুরের পুজো করলে এবং নিয়মিত ১০৮ বার "ওম নমঃ শিবায়", মন্ত্রটি জপ করলে মনের মতো চাকরি তো মেলেই। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি পদন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
সারা শ্রাবণ মাসজুড়ে কী কী নিয়ম মেনে দেবের অরাধনা করতে হবে?
শাস্ত্র মতে বিশেষ এই মাসটিতে প্রতি সোমবার উপোস করে দেবের পুজো করতে হবে। মঙ্গলবার অরাধনা করতে হবে হবে মা গৌড়ির। আসলে এমনটা করলে পরিবারের কারও কোনও জটিল অসুখ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে। বুধবার পুজো করতে হবে শ্রী কৃষ্ণের। আর বৃহষ্পতিবার হল গুরুর বার। তাই এদিন দেবাদিদেবের পুজো করার পাশাপাশি গুরুর অরাধনা করতে হবে। আর শুক্রবার? এদিন মা লক্ষ্মী এবং তুলসি দেবীর পুজো করলে মিলবে দারুন ফল। শপ্তাহের শেষের দুদিন, মানে শনিবার হল শনি দেবের দিন। তাই এদিন তাঁর পুজো করতে হবে এবং রবিবার করতে হবে সূর্য দেবের আরাধনা। প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি যদি সারা শ্রাবণ মাস মেনে চলতে পারেন, তাহলে দেখবেন বাকি জীবনটা সুখে-শান্তিতে কেটে যাবে।
উপোসের নিয়ম:
শ্রাবণ মাসে উপোস করে যদি দেবের আরাধনা করতে মন চায়, তাহলে কিন্তু কতগুলি নিয়ম মেনে উপোস করতে হবে। যেমন ধরুন এই সময় দিনে একবার মাত্র খাবার খেতে হবে। আর সেই খাবারে যেন ভুলেও নুন মেশানো না হয়। প্রসঙ্গত, আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে উপোসের দিন সাবু অথবা ফল খাবেন, আর কিছু নয়।