Just In
- 1 min ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 14 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 18 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 21 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
হিন্দু ধর্মে শুক্রবারকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় কেন?
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী অথবা দুর্গা ঠাকুরের আরাধনা করলে দারুন সব উপকার পাওয়া যায়।
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা প্রাচীন সব বই এবং পুরান অনুসারে সপ্তাহের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও দেব-দেবীর পুজো করার জন্য বরাদ্দ। যেমন ধরুন সোমবার দেবাদিদেব শিবের দিন, মঙ্গলবার হনুমানজির দিন, আর শুক্রবার হল শক্তির দিন। অর্থাৎ এদিন মাতৃ শক্তির আরাধনা করার দিন। তাই তো হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী অথবা দুর্গা ঠাকুরের আরাধনা করলে দারুন সব উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত জীবন সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। মেলে আরও অনের উপকার। প্রসঙ্গত, প্রতিটি ভগবানের শক্তি একত্রিত হয়ে সৃষ্টি হওয়া মা দুর্গা হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো হিন্দু ধর্মে সপ্তাহের বাকি দিনগুলির থেকে শুক্রবারের মাহাত্ম একটু বেশই!
শুক্রবারকে
আলাদা
করে
প্রাধান্য
দেওয়ার
আরও
কিছু
কারণ:
জ্যোতিষশাস্ত্রে
শুক্রবার
হল
শুক্র
গ্রহের
দিন।
তাই
তো
এদিন
উপোস
করে
মাতৃ
শক্তির
আরাধনা
করলে
জন্ম
কুষ্টিতে
শুক্র
গ্রহের
অবস্থান
শক্তিশালী
হতে
শুরু
করে।
ফলে
একাধিক
উপকার
পাওয়া
যায়।
যেমন
ধরুন-
শরীর
এবং
মনের
সৌন্দর্য
বৃদ্ধি
পায়,
অর্থনৈতিক
উন্নতি
ঘটে
চোখে
পরার
মতো,
কর্মক্ষেত্রে
সম্মান
বৃদ্ধি
পায়
এবং
খারাপ
শক্তি
দূরে
থাকতে
বাধ্য
হয়।
শুধু
তাই
নয়,
মেলে
আরও
অনেক
উপকার,
যেমন
ধরুন...
১. গ্রহ দোষ কেটে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শুক্রবার মা দুর্গার ছবির সামনে বসে এক মনে "শান্তি কর্মনি সর্বত্র তথা দু স্বপ্ন দর্শনে, গ্রহ পিদাসু চোগ্রাসু মহৎমায়ে শ্রিনু ইয়ানমনি", এই মন্ত্রটি জপ করলে গ্রহ দোষ কেটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে, যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয় চোখের পলকে। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
২. মনের জোর বারে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে মা দুর্গা, কালি, সরস্বতী অথবা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে ভয় দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, মন যখন একবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন যে কোনও বিপদ কেটে এগিয়ে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না।
৩. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শুক্রবার উপোস করে দেবীর পুজো করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, শুভ শক্তির প্রভাবে পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে জন্ম কুষ্টিতে শুক্রের সুপ্রভাব পরার কারণে একদিকে যেমন বৈবাহিক জীবন অনন্দে ভরে ওঠে, তেমনি পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে-শান্তিতে কাটাতে হয়, তাহলে প্রতি শুক্রবার উপোস করে মায়ের আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৪. কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমে:
মা দুর্গা বলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো প্রতি শুক্রবার মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন করলে বাড়ির প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এমনটা যখন হয়, তখন খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে খারাপ দৃষ্টি বা কালো যাদুর কারণে কোনও বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও কমে।
৫. মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূর হয়:
শাস্ত্রে এমনটা বলা হয়েছে যে প্রতি শুক্রবার মায়ের য়ে কোনও রূপের অরাধনা করলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের অন্দরে জমতে থাকা ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয় তখন জীবনের সামগ্রিক ছবিটাই যে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৬. যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না:
জীবন থাকলে নানা সমস্যা তো থাকবেই। একথা তো সাবরই জানা। কিন্তু মাঝে মাঝে সমস্যার পাহাড়ের নিচে জীবন এতটাই থেতলে যেতে শুরু করে যে এক একটা দিন কাটানো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র দুর্গা মাই। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শুক্রবার উপোস করে এক মনে মায়ের নাম নিলে যে কোনও ধরনের সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে তাও মিটে যায় চোখের পলকে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন বন্ধু, সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে উপোস ককে মায়ের আরাধনা করার প্রয়োজন কতটা!