Just In
- 1 hr ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 3 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 6 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 8 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
হিন্দুত্বে আরতির গুরুত্ব
আরতি হিন্দু পুজোর এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।আরতি সাধারণত পুজোর সব অনুষ্ঠানের একদম শেষে করা হয়ে থাকে।প্রদীপ ধরিযে আরতি করা হয় ভগবানের মূর্তির সামনে বার বার চক্রাকারে ঘুরিয়ে।প্রদীপ ছাড়াও ধুনো,শঙ্খ,ধুপও মূর্তির সামনে রাখা হয়।কখনও আরতি করা হয় কোনও ব্যক্তি বিশেষের ওপর কুদৃষ্টি কাটাতে।অনেকে মনে করেন বৈদিক যুগের আগুনের কিছু আচার থেকে আরতির উদ্ভব।অন্য মতে মানা হয় বহু শতাব্দী আগে যখন ভগবানের মূর্তি গভীর অন্ধকারে গর্ভগৃহে রাখা হত, তখন প্রদীপ ধরানো হত অন্ধকার কাটাতে ভক্তেরা যখন মন্দিরে পৌঁছত,তখন পূজারি প্রদীপটা মুর্তির কাছে নিয়ে গিয়ে ধরতেন দর্শনের জন্য।পরবর্তীকালে এই অভ্যাসটাই এক রীতিতে পরিণত হয়,আরতির রুপে।আরতি কথাটা এসেছে "আ" মানে সম্পূর্ণ ও "রতি" মানে ভালোবাসা থেকে।তাই আরতির অর্থ ভগবানের প্রতি সম্পূর্ণ ও অপ্রতিহত প্রেম।আরতি তাই এত ভক্তিভরে শ্রদ্ধার সাথে মণ্ত্রচ্চারণ,করতালি,ভক্তি ভজন ও ধ্যনমগ্ন সচেতনতার সমষ্টিগত নিবেদন।আপনি হয়ত ভাবেন আরতি কেন করা হয় ভগবানের উদ্দেশ্যে বা আরতির গুরুত্ব কি?চলুন দেখি তার উত্তর..
আধ্যাত্মিক-বৈঞ্জানিক
পরিপ্রেক্ষিত
পুজোর
সময়
খুবই
প্রয়োজনীয়
যে
প্রতিটি
পদক্ষেপ
আধ্যাত্মিকতার
বৈঞ্জানিক
আধার
মেনে
করা
হোক।আমরা
অনেকেই
এর
অনেক
কিছু
জানিনা।
যেমন
ধরুন
আরতি
নিবেদনের
সময়,আপনি
পুজোর
থালাটা
দক্ষিণাবর্তে
ঘোরাতে
পারেন
অনাহত
চক্র
(হৃদয়ের
অঞ্চলে)
থেকে
আদন্য
চক্র
(কপালে
দুই
ভুরুর
মাঝে)অবধি
বা
আপনি
বিগ্রহর
পরিক্রমা
অকমাত্র
আরতি
হয়ে
গেলেই
করতে
পারেন।
আমরা
অনেকেই
এই
রীতিনীতি
যথেচ্ছ
উপকার
পাই
না,
কারণ
এগুলো
করার
সঠিক
নিয়ম
আমরা
জানিনা।
সঠিক
পথের
নির্দেশিকা
আরতির
থালা
সাধারণত
ধাতুর(রুপো,তামা
বা
কাঁসা)
তৈরী
হয়।ময়দা,মাটি
বা
ধাতুর
তৈরী
প্রদীপ,ঘি
বা
তেলে
ভরা,
ওটার
ওপর
বসানো
হয়।এক
বা
একধিক
(সাধারণত
বিজোড়
সংখ্যা)
ওই
তেলে
ডোবানো
হয়,
এবং
তাতে
আগুন
ধরানো
হয়
বা
কর্পূর
পোড়ানো
হয়।এই
থালায়
এছাড়া
ফুল,ধুপকাঠি
ও
অক্ষত
(চাল)
রাখা
হয়ে
থাকে।কিছু
কিছু
মন্দিরে
থালা
ছাড়া,
যিনি
পুজারি,আরতি
করার
সময়
বিগ্রহের
সামনে
প্রদীপ
নিয়ে
নিজের
হাতে
করেই
করেন।
সঠিক
পথের
নির্দেশিকা
আরতিতে
প্রদীপটা
দেবতার
মূর্তির
সামনে
ঘোরানোর
মূল
উদ্দেশ্য
হল
দেবতার
কাছে
নমনীয়তা
ও
কৃতঞ্জতা
প্রকাশ,
ও
প্রকৃত
ভক্তের
দেবতার
দৈব
রসে
একাত্ম
হওয়া।এটা
পাঁচ
মৌল
উপাদানের
প্রতীক:
১.আকাশ
২.বায়ু
৩.অগ্নি
৪.জল
৫.পৃথিবী
বৈঞ্জানিক
ব্যাখ্যা
যখন
আরতি
করা
হয়
পাঁচ
সলতে
দেওয়া
প্রদীপ
(যার
অন্য
নাম
পঞ্চ-আরতি),যে
থালায়
এই
প্রদীপ
রাখা
হয়
সেটা
চক্রাকারে
বিগ্রহের
সামনে
ঘোরানো
হয়ে
থাকে।এই
জোর
গতিতে
চক্রাকারে
ঘোরানোর
ফলে,
এর
থেকে
কিছু
"সত্য"তরঙ্গের
বিচ্ছুরণ
ঘটে
প্রদীপের
শিখা
থেকে।ধীরে
থীরে
এই
সত্য
তরঙ্গগুলো
ক্রমশ
রাজস
তরঙ্গে
পরিণত
হয়।
বৈঞ্জানিক
ব্যাখ্যা
যে
আরতি
করে
তার
আত্মার
চারপাশ
ঘিরে
এক
রক্ষাকবচের
সৃষ্টি
হয়,
যাকে
বলে
"তরঙ্গ
কবচ"।যে
আরতি
অর্পণ
করে,তার
আত্মা
যতটা
আধ্যাত্ম
ভাবে
মাখা,
এই
রক্ষাকবচের
আয়ু
ততটাই
বৃদ্ধি
পায়।যত
আরতিতে
আপনার
একাগ্রতা
বাড়বে,
ততই
এই
তরঙ্গের
বৃদ্ধি
ঘটবে।
আরতির
গুরুত্ব
ভগবানের
মূর্তির
সামনে
আরতি
করার
সময়
চক্রাকারে
ঘোরানো
হয়।প্রতিটা
চক্রের
পর
(অথবা
দ্বিতীয়
বা
তৃতীয়
চক্র),
আরতি
যখন
নিচের
দিকে
(ঘড়ির
কাঁটা
৬-৮টার
জায়গায়),যিনি
আরতি
করছেন,আরতিটা
উলটো
দিকে
ঘোরান
নিচের
দিকেই
থেকে
(ঘড়ির
কাঁটার
৪-৬টার
স্থান),
এবং
এরপর
সেটা
দক্ষিণাবর্তে
ঘোরাতেই
থাকেন।এটার
অর্থ
হল
ভগবান
আমাদের
কর্মের
কেন্দ্রে
আছেন।এটা
ভক্তকে
এটাই
স্মরণ
করায়
যে
ভগবান
সবার
আগে,
বাকি
পার্থিব
সবকিছু
পরে
আসে।আরতি
শুধু
ভগবানেই
সীমিত
নয়।আরতি
যেকোনও
প্রাণের
প্রতি
করা
যেতে
পারে,
এমনকি
প্রাণহীন
বস্তুর
জন্যও
যাতে
সংসার
ও
সংস্কৃতির
উন্নতি
হয়।এটার
একটা
প্রকাশ
আমরা
দেখি
যে
যখন
আরতি
শেষ
হয়,পুজারি
আরতির
প্রদীপ
সব
দর্শনার্থীদের
দিকেও
ঘোরান,
যার
অর্থ
যে
ভগবানের
অংশ
আমাদের
সবার
মধ্যেই
রয়েছে।আর
সেই
অংশকেই
পুজারি
তার
প্রণাম
জানান।