Just In
বাৎস্যায়নের কামসূত্রের পূর্বেই শিবের এই ভক্ত রচনা করেছিল কামশাস্ত্র, জানুন তার পরিচয়
হিন্দু ধর্মে বর্ণিত চারটি তত্ত্ব হল ধর্ম, কর্ম, কাম এবং মোক্ষ। এগুলিকেই বলা হয় জীবনের ভিত্তি। এখানে 'কাম' শব্দের অর্থ হল উপভোগ করার ইচ্ছা অথবা কামনা করা। সহজ ভাষায় বলা যায়, 'কাম' শারীরিক সম্পর্ক তৈরি এবং সৃষ্টিতে নতুন জীবনের উতপত্তির সাথে জড়িত। এইজন্য একে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যাতে জীবন এবং মৃত্যুর ভারসাম্য বজায় থাকে।
কাম বা কামবাসনা সম্পর্কিত বই বলতে আমরা সাধারণত মহর্ষি বাৎস্যায়ন রচিত 'কামসূত্র' গ্রন্থের কথাই বলে থাকি। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, কামশাস্ত্রের প্রকৃত প্রবর্তক বাৎস্যায়ন নন, তিনি হলেন ভগবান শিবের বাহন নন্দী ষাঁড়।
কামশাস্ত্রের রচনা এবং এর সাথে সম্পর্কিত গল্প
শাস্ত্র অনুসারে, ভগবানের খুব প্রিয় শিষ্য নন্দী কামশাস্ত্রের আদি রচয়িতা। তিনিই সর্বপ্রথমে কামশাস্ত্র রচনা করেছিলেন। বলা হয়, এটি এক হাজার অধ্যায় নিয়ে গঠিত। বিশ্বাস করা হয় যে, ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর প্রেমের সংলাপ শোনার পরে নন্দী কামশাস্ত্র রচনা করেন।
একটি ষাঁড় কীভাবে শাস্ত্র রচনা করতে পারে?
সবার মনেই এই প্রশ্ন জাগে যে, নন্দী নামক ষাঁড় কীভাবে কামশাস্ত্রের মতো গ্রন্থ রচনা করতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, বিশুদ্ধ আত্মার জন্য দেহের আকার কোনও বড় বিষয় নয়। ভগবান শিবের অনুমতি প্রাপ্তির পরে তিনি এই কাজটি সম্পন্ন করেন এবং এক হাজার অধ্যায় সহ কামশাস্ত্র রচনা করেন।
ব্যর্থ প্রেম ও পছন্দের জীবনসঙ্গী পাওয়ার ইচ্ছা হবে পূর্ণ, আরাধনা করুন এই দেব-দেবীর
কামশাস্ত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ
কামশাস্ত্রের রচনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রচিত হয়েছিল। আচার্য শ্বেতকেতু এটিকে কিছুটা সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করেন। তবে তা সত্ত্বেও, হাজার অধ্যায়সহ এই গ্রন্থটি খুবই বড় ছিল, তাই বাভ্রব্য নামে উত্তর ভারতের একজন ঋষি তাকে সুন্দরভাবে নিজস্ব পদ্ধতিতে লিখে সংক্ষিপ্ত করেছিলেন। বাভ্রব্যের এই পুস্তক সারা বিশ্বের পণ্ডিত ও লেখক সমাজে বিশেষ প্রশংসা লাভ করে। তবে এই দুজনের শাস্ত্রই কোথাও হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে মহর্ষি বাৎস্যায়ন তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত রচনা 'কামসূত্র'-তে এই শাস্ত্রের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ উপস্থাপন করেছেন। বর্তমান সময়ে কামশাস্ত্র গ্রন্থ 'কামসূত্র' হিসেবে পরিচিত।
বিঃদ্রঃ - ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।