Just In
'শি এনার্জি' কী? রোজকার জীবনে কীভাবে কাজে লাগতে পারে এই শক্তি?
শি এনার্জি কী এবং কিভাবে একে একত্রিত করে নিজের উন্নতিসাধন সম্ভব?
আমরা জানি এই পৃথিবীতে সব মানুষকেই একদিন মরতে হবে। কেউ অমর না। তা সত্বেও আমরা বাঁচতে চাই আমাদের মত করে কারণ আমাদের মধ্যে সেই জীবনী শক্তি আছে। আর ঠিক সেই কারণেই এই পৃথিবীতে সমস্ত বস্তু দুটো ভাগে বিভক্ত। একটা হল জড়ো পদার্থ আর একটা হলো জীব বা প্রাণী। অর্থাৎ যার প্রাণ আছে। হ্যা এটা ঠিক যে আমাদের সব দেহাংশ গুলো ঠিকভাবে কাজ করে বলেই আমরা বেঁচে থাকি। কিন্তু কেনো? মানে কোন জীবনী শক্তি যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে বা কোন জীবনী শক্তি আমাদের মাথা তুলে দাড়াতে সাহায্য করে? এটা আমরা কখনোই ভাবি না। আর তার জন্যেই পরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। আমাদের এই শরীরের বা দেহের কতটা ক্ষমতা তা সম্পর্কে অবগত না হওয়ার জন্যে অনেক সময় সহজেই বশ্যতা স্বীকার করি।
কিন্তু কোনোভাবে যদি এই শক্তি কে আমরা কেন্দ্রীভূত করতে পারি তাহলে আমাদের ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। পৌরাণিক মতে আত্মার এই শক্তি আমাদের দুনিয়ার কাছে জয়ী হওয়ার একমাত্র কারন।
আজকে আমরা এই শক্তি বা এনার্জি নিয়ে আলোচনা করবো। ঠিক কি এই এনার্জি এবং কিভাবে একে একত্রিত করে নিজের উন্নতিসাধন সম্ভব।
১. সংজ্ঞা:
এই শক্তি হলো সেই শক্তি যা একটা জড়ো বা মৃত পদার্থ আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। এই জীবনী শক্তি বা এনার্জি শক্তিশালী হলে তা মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে। সবসময় প্রানবন্ত এবং সজীব রাখে। আর এই শক্তি দুর্বল হলে সেই মানুষ নির্জীব এবং ভীত প্রকৃতির হয়। জীবনীশক্তির এই ধারণা আজকের না। বহু পুরনো এই জীবনী শক্তির ধারণা আমাদের দেশে প্রাচীন বহু গ্রন্থে বার বার উল্লেখিত হয়েছে। ক্রমে সমস্ত বিশ্বে এর প্রচার বেড়েছে। জায়গা বিশেষে এর নাম পরিবর্তিত থেকেছে। ভারতে যার নাম দেওয়া জীবনী শক্তি বা প্রাণ, চিনে তাকেই বলা হয়েছে চি এনার্জি। জাপানে নামকরণ হচ্ছে কি এনার্জি। ইউরোপ সহ অন্যান্য জায়গায় বলা হচ্ছে the great spirit। যেকোনো চিকিৎসা ও শরীর বিজ্ঞানের মূলে কান্ডারী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই জীবনী শক্তির ধারণা।
২. এর উপকার:
শি
এনার্জির
ধারণা
কিন্তু
আধ্যাত্মিক
এবং
শারীরিক
গঠনের
অনেক
উপরে।
এই
এনার্জি
আমাদের
শরীরের
চেপে
থাকা
চিন্তা
ভাবনাকে
উদ্ভুদ্ধ
করে
একইসাথে
আমাদের
নতুন
করে
ভাবতে,
বুঝতে
শেখায়।
এই
শক্তি
আমাদের
দেহের
অঙ্গ
প্রত্যঙ্গের
স্বাভাবিক
কাজ
চালনায়
সাহায্য
করে।
ভারসাম্য
যুক্ত
এই
শক্তি
আমাদের
ভাব
প্রকাশের
বৈষম্য
কেও
সামলে
রাখে
যা
একটা
অনিয়মিত
শি
এনার্জি
রাখতে
পারে
না।
আর
এর
প্রভাব
শুধু
শরীর
বা
মনে
না,
আমাদের
সম্পর্ক,
ভবিষ্যতের
উন্নতিতে
সাহায্য
করে।
এটা
মনে
করা
হয়
চিনে
যে
শরীরের
মধ্যে
যদি
এই
শক্তি
বা
এনার্জি
গঠন
কখনো
বাধা
প্রাপ্ত
হয়
তাহলে
তার
প্রভাব
এসে
পড়ে
আমাদের
সব
কিছুর
উপর।
কারণ
শরীর
তার
প্রাকৃতিক
ভারসাম্য
হারাতে
থাকে।
এক
নজরে
তাই
দেখে
নেওয়া
যাক
শি
এনার্জি
কী
কী
উপায়ে
আমাদের
ভালো
রাখতে
পারে;
-শরীরে
এবং
মন
তরতাজা
রাখা
এবং
ধন্যাত্বক
শক্তি
বৃদ্ধি
করা,
-বয়সকালে
স্বাভাবিক
জীবন
যাপনে
সাহায্য
করা,
কারুর
উপর
নির্ভরশীল
না
হয়ে,
-সতেজ
এবং
নিশ্চিন্ত
মন
যা
সঠিক
ঘুমের
জন্যেও
কার্যকরী,
-হার্ট,
ব্লাড
এর
কর্মক্ষমতা
ঠিক
রাখা,
৩. কিভাবে বৃদ্ধি করবেন:
এই এনার্জি বৃদ্ধি করার অনেক রকম উপায় আছে যার মধ্যে যোগ, প্রাণায়াম, ধ্যান এবং সবশেষে সঠিক অনুশীলন অন্যতম। এক নজরে এই শক্তি বাড়ানোর দু-একটা পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।
-কোন শান্ত কোলাহল কম জায়গা বেছে নিন নিজের জন্য। চেষ্টা করুন মনসংযোগ একত্রিত রাখার। দুটো হাত কাছে আনুন। এবার দুহাতের মাঝে ফাঁকা জায়গায় যে বাতাস আছে তাকে চেষ্টা করুন অনুভব করার। একই গতিতে একই বেগে একই দিকে দুই হাত দিয়ে সেই বাতাসের পরিমাণকে কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে টের পাবেন এর অস্তিত্ব। বলের আকার দিন।
- যোগাসনে বসে বুক ভরে শ্বাস নিন। এবার সেই বাতাস নিঃশ্বাসের সাথে বের করে দিন। এভাবে আস্তে আস্তে শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস ছাড়ার পদ্ধতি অপরিবর্তিত রাখুন। একটা সময় পরে দেখবেন আপনার শরীর নিজের থেকেই বাতাস নিচ্ছে এবং সেই অনুভূতি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে নিজের শরীরের এনার্জি লেভেল অনেকটাই বেড়ে যায়।