Just In
- 3 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 4 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 4 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 19 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
বিশ্বকর্মা পূজা ২০২০ : শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরী সাজিয়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা, জানুন পূজার দিন-ক্ষণ
সামনেই বিশ্বকর্মা পূজা। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কন্যা সংক্রান্তির দিনই বিশ্বকর্মা পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনেই ভগবান বিশ্বকর্মা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কারিগরী শিল্প বিশ্বকর্মার হাত ধরেই এসেছে বলে বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, প্রাচীনকালের সমস্ত অস্ত্র, ও প্রাসাদগুলি ভগবান বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, যে ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বজগতের সৃষ্টির দায়িত্ব তাঁর হাতে অর্পণ করেছিলেন। তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। তিনি 'দেবশিল্পী' নামে পরিচিত।
শিল্পী, কারিগর, তাঁতি এবং ব্যবসার সাথে সমস্ত মানুষ কন্যা সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পূজা করে থাকেন। এই পূজার দিনে শিল্প, কলকারখানা এবং সমস্ত রকম যন্ত্রপাতির বিশেষ উপাসনা করার রীতি রয়েছে। শিল্পমহলে কোনও কিছু তৈরি করতে গেলে তাঁর আশিষ লাগে৷ তাঁর পূজা করার মাধ্যমে ধন-সম্পদ এবং সমৃদ্ধি লাভ হয়।
আরও পড়ুন : সূর্য প্রবেশ করবে কন্যা রাশিতে, দেখুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
বিশ্বকর্মা পূজার শুভ সময়
দ্রিক পাঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী, এই বছর কন্যা সংক্রান্তি পড়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার। তাই, ২০২০ সালে বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর। এই দিন সন্ধ্যে ০৭টা বেজে ২৩ মিনিট নাগাদ বিশ্বকর্মা পুজোর সময়কাল। তবে অনেকেই ১৭ সেপ্টেম্বর পূজা করতে পারে৷
বিশ্বকর্মা পুজোর গুরুত্ব
এই পূজা বিশেষত শিল্প, কারিগর এবং বাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্তদের জন্য। ভগবান বিশ্বকর্মার পূজা করলে ব্যবসা-বাণিজ্যে বৃদ্ধি হয়। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে বিভিন্ন কারখানা, অফিস এবং বাড়িতে যাদের গাড়ি অথবা মেশিন আছে এবং অন্যান্য নির্মাণ স্থানে বিশ্বকর্মার পূজা সর্বাধিক প্রচলিত। তবে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরাও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকে। কাজের ক্ষেত্রে শ্রীবৃদ্ধির জন্য ভগবান বিশ্বকর্মাকে পুজো করা হয়। পাশাপাশি এই দিনে চলে ঘুড়ির লড়াই। প্রাচীন কালে মূলত এই ঘুড়ির লড়াই বিখ্যাত থাকলেও এখনও সমানভাবে এটি চলে আসছে।
বিশ্বকর্মা পূজা বিধি
পুজোর দিন ঘরে বা মণ্ডপে ভগবান বিশ্বকর্মার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করুন। বিবাহিত ব্যক্তির নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এই পূজা করা উচিত। পূজার জন্য প্রদীপ, ধূপ, ফুল, সুপারি, ফল, মিষ্টি, দই, রক্ষা সূত্র, ভগবান বিশ্বকর্মার প্রতিমা, ইত্যাদির ব্যবস্থা করুন। আপনার সমস্ত সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতিতে তিলক এবং অক্ষত লাগান। কারখানা, অফিস বা দোকানে আপনি যেখানেই আপনি পূজা করুন না কেন, সেখানে উপস্থিত সবার সঙ্গে আরতি করে ভগবানকে ভোগ অর্পণ করুন এবং তারপর সবার মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করুন।