Just In
- 3 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 5 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 5 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 23 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
প্রতি বৃহস্পতিবার বিষ্ণুর সহস্র বার নাম নিলে কী কী উপকার মিলতে পারে সে সম্পর্কে জানা আছে কি?
বিষ্ণু সহস্রানাম বলতে বোঝায় এক মনে হাজার বার ভদগবান বিষ্ণুর নাম নেওয়া। শাস্ত্র মতে এমনটা করলে আমাদের চারিপাশে এক শক্তি বলয় তৈরি হয়, যা খালি চোখে দেখা যায় না।
সহজ কথায় বিষ্ণু সহস্রানাম বলতে বোঝায় এক মনে হাজার বার ভদগবান বিষ্ণুর নাম নেওয়া। শাস্ত্র মতে এমনটা করলে আমাদের চারিপাশে এক শক্তি বলয় তৈরি হয়, যা খালি চোখে দেখা যায় না ঠিকই। কিন্তু তার প্রভাবে ধীরে ধীরে জীবনটা বদলে যেতে শুরু করে। প্রথমেই যেটা হয়, সেটা হল ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে নিরাপত্তা যে কিছুটা হলেও বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এখানেই শেষ নয়, গুণী মানুষদের মতে বৃহস্পতিবার হল ভগবান বিষ্ণুর আরধনা করার দিন। তাই তো এদিন যদি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শুদ্ধ শরীর এবং বস্ত্রে হাজার বার দেবের নাম নেওয়া যায়, তাহলে আরও অনেক উপকার মেলে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তরিত আলোচনা করা হবে। তবে এর পরের অংশটা পড়ার আগে একটা কথা জেনে রাখুন বন্ধু। এই প্রবন্ধটি পড়া শেষ করলে আপনার জীবন যে অনেকটাই বদলে যাবে, তা কিন্তু হলফ করে বলতে পারি।
মহাভারতের অনুশাসন পর্বে প্রথম বারের জন্য বিষ্ণু সহস্র নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। পিতামহ ভীষ্ম যখন কুরুক্ষেত্রের ময়দানে মৃত্যু শয্যায় ছিলেন, তখন পান্ডব পুত্র যুধিষ্ঠির তাঁকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটা ছিল, "হে পিতামহ এমন কোন দেব বা দেবী রয়েছেন যাঁর নাম নিলে অফুরন্ত শান্তির সন্ধান মিলবে, সঙ্গে সমৃদ্ধি এবং উন্নতিরও স্বাদ পাওয়া যাবে?" প্রশ্নটা শুনে ভীষ্ম পিতামহ বলেছিলেন, "প্রতিদিন হাজার বার বিষ্ণুর নাম নাও, দেখবে সব সমস্যা মিটে যাবে, মিলবে সুখ সাগরের সন্ধান...।" সেই থেকেই এমন বিশ্বাস রয়েছে যে প্রতি বৃহস্পতিবার যদি বিষ্ণু সহস্রনাম নেওয়া যায়, তাহলে জীবনপথটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তবে বিষ্ণুর সহস্রনামের উপকারিতার বিষয়ে যে শুধু মহাভারতেই লেখা রয়েছে, এমন নয়, পদ্ম পুরান, স্কন্দ পুরান এবং গারুদা পুরানেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, নানা সময় শঙ্করাচার্যও বিষ্ণু সহস্রনামের উপকারিতার উপর আলোকপাত করা চেষ্টা করেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবাম বিষ্ণুর নাম নিলে কী কী উপকার মিলতে পারে?
১. গ্রহ দোষ সব কেটে যায়:
নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যখন যখন বদলায়, সেই মতো আমাদের জন্ম কুষ্টিতে কোন গ্রহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তো কোনও কোনওটা বেজায় দুর্বল হয়ে পরে। শুধু তাই নয়, কিছু গ্রহের প্রভাবে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আর ঠিক এই পরিস্থিতিকেই গ্রহ দোষ বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নির্দিষ্ট দিনে বিষ্ণুর নাম নিলে যে কোনও ধরনের গ্রহ দোষ তো কেটে যায়ই, সেই সঙ্গে খারাপ সময় কেটে যেতেও সময় লাগে না। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গে হয়ে ওঠে। আর ভাগ্য যখন একবার সঙ্গ দিতে শুরু করে, তখন জীবনের প্রতিটা দিন যে আনন্দে ভরে ওঠে, তা তো বলাই বাহুল্য!
২. টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু। শাস্ত্র মতে এক মনে বিষ্ণু সহস্রনাম নিলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটে যায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এক মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়। তাই তো বলি বন্ধু, ৩০ পেরতে না পেরতেই যদি চান মাইনে হোক মোটা, সঙ্গে ঘটুক পদন্নতি, তাহলে প্রতি বৃহস্পতিবার বিষ্ণু নাম জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৩. দুশ্চিন্তা দূর হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এক মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তা এবং অ্যাংজাইটিও কমে যেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের যুব সমাজদের মধ্যে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ সম্পর্কিত নানা রোগের প্রকোপ এতটা বেড়েছে যে সুস্থ থাকতে বিষ্ণুর শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া যে আর কোনও গতি নেই, তা তো বলাই বাহুল্য!
৪. যে কোনও সমস্যা মিটে যায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু। শাস্ত্র মতে প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে যে কোন ধরনের বাঁধা সরে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি যে কোনও সমস্যাও মিটে যায় চোখের পলকে। ফলে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসতে সময় লাগে না।
৫. রোগ-ব্যাধি সব দূরে পালায়:
বাকি জীবনটা যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিতে ভুলবেন না যেন! কারণ পুরান অনুসারে নিয়মিত দেবের নাম নিলে বাস্তবিকই ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন বন্ধু বিষ্ণু নামের গুরুত্ব কতটা...!
৬. যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা মেলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবের নামের অন্দরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তি মজুত রয়েছে যে তার প্রভাবে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে খারাপ সময়ও কেটে যায়। শুধু তাই নয়, কালো যাদুর খারাপ প্রভাব থেকেও রক্ষা মেলে। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না। অর্থাৎ একথা বলা যেতে পারেই যে বিষ্ণু সহস্রনাম করলে জীবন অনেক নিরাপদ হয়ে ওঠে।
৭. পাপের হাত থেকে রক্ষা মেলে:
একথা আমাদের সবাইকেই মানতে হবে যে কারণ-অকারণে আমরা অনেক সময়ই এমন কিছু ভুল কাজ করে ফেলি, যার বোঝা আমাদের সারা জীবন বয়ে নিয়ে চলতে হয়। শুধু তাই নয়, এ জীবনেই সেই পাপ কর্মের শাস্তিও পেতে হয়। কিন্তু যদি ভগবান বিষ্ণুর নাম নেওয়া শুরু করেন, তাহলে কিন্তু পাপের শাস্তির হাত থেকে রক্ষা মিলতে পারে।
৮. বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়:
হাজারো চেষ্টা করেও কি বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই ভগবান বিষ্ণুর সহস্র বার নাম নেওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হাজার বার দেবের নাম নিলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে মা-বাবা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।