Just In
বট পূর্ণিমা ব্রত ২০২০ : দেখে নিন পূজা করার শুভ সময়, স্বামীর দীর্ঘায়ু হবে এবং সম্পর্কে ভালবাসা থাকবে
এই বছর ৫ জুন 'বট পূর্ণিমা ব্রত' পালিত হবে। জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমার দিন এই ব্রত পালিত হয়। বিবাহিত মহিলারা এই দিনে স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনার জন্য এই ব্রত পালন করে। বট পূর্ণিমা এবং বট সাবিত্রী ব্রত একইরকম। বট পূর্ণিমা ব্রত বিশেষত গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিন পালন করা হয়। উত্তর ভারতে বট সাবিত্রী নামে এই ব্রত জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যার দিন উদযাপিত হয়।
বট পূর্ণিমা ব্রতর তিথি এবং শুভ সময়
বট পূর্ণিমা ব্রত - শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
পূর্ণিমা তিথি শুরু - ৫ জুন, রাত ৩টা বেজে ১৫ মিনিটে
পূর্ণিমা তিথি শেষ - ৬ জুন রাত ১২টা বেজে ৪১ মিনিটে
বট সাবিত্রী পূজার উপকরণ
সত্যবান-সাবিত্রীর মূর্তি, ধূপ, মাটির প্রদীপ, ঘি, লাল সুতো, কাপড়, সিঁদুর, ফুল, ফল, ২৪টি পুরিয়া, ২৪টি বট গাছের ফল (আটা বা গুড়ের তৈরি), বাঁশের পাখা, জল ভরা পাত্র এবং রোলি।
বট সাবিত্রী ব্রত ২০২০ : পূজা করুন এই বিধি মেনে, স্বামীর দীর্ঘায়ু হবে এবং সমস্ত সমস্যা কাটবে
বট পূর্ণিমা ব্রত পূজা বিধি
বিবাহিত মহিলারা ভোরে উঠে স্নান সেরে নতুন পোশাক পরুন। এরপর নির্জলা ব্রতর অঙ্গীকার করুন। বাড়ির মন্দিরে পূজা-পাঠ করুন। এরপরে, আঁচলে ২৪টি অশ্বত্থ বা বট গাছের ফল (আটা বা গুড় দিয়ে তৈরি) এবং ২৪টি পুরিয়া রাখুন এবং বট গাছের পূজার জন্য যান। এর মধ্যে ১২টি পুরিয়া এবং ১২টি বটগাছের ফল বটগাছে অর্পণ করুন। এবার গাছে জল অর্পণ করুন।
বট গাছে হলুদ, রোলি এবং টিকা লাগান। এবার আপনার সাধ্যমতো ফল ও মিষ্টি অর্পণ করুন। ধূপ ও প্রদীপ দিয়ে বট গাছের পূজা করুন। এরপরে, গাছে সুতো লাগিয়ে এটি নিয়ে গাছের চারপাশে ১২ বার পরিক্রম করুন। পরিক্রমা শেষ করে সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প শুনুন। স্বামীর জন্যও আন্তরিকভাবে দীর্ঘায়ু কামনা করুন। পূজা শেষ করার পরে বাড়িতে এসে বাঁশের পাখা দিয়ে স্বামীকে বাতাস করুন এবং তারপরে তাকে জল পান করান।
ব্রত কথা
পুরাণ অনুসারে, সাবিত্রী ছিলেন অশ্বপতির কন্যা। সত্যবানকে সাবিত্রী নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন। সত্যবান কাঠ কাটতে বনে যেতেন এবং সাবিত্রী তার অন্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করার পরে সত্যবানের পিছনে পিছনে বনে চলে যেতেন। একদিন সত্যবান কাঠ কাটতে গিয়ে মাথা ঘুরে যায় এবং সে গাছ থেকে নেমে নীচে বসে পড়ে। সেই সময়ে, মহিষে চড়ে যমরাজ সত্যবনের প্রাণ নিতে আসেন। সাবিত্রী তাঁকে চিনতে পেরে বলেন যে, সত্যবানের প্রাণ না নিতে। যমরাজ তা প্রত্যাখ্যান করেন, কিন্তু সাবিত্রী তার জায়গা থেকে সরেননি। সাবিত্রীর পতিব্রতা ধর্ম দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে, যমরাজ সাবিত্রীকে বরদান স্বরুপ অন্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি চোখের জ্যোতি দান করে এবং সাবিত্রীকে শত পুত্রের জন্ম দেওয়ার আশীর্বাদ দেয় এবং সত্যবানকে ছেড়ে দেয়।
সাবিত্রী বট গাছের নীচেই নিজের পতিব্রতা ধর্মের মাধ্যমে মৃত স্বামীকে পুনরায় জীবিত করেছিলেন।