Just In
- 13 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 17 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 19 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
সুখ-সমৃদ্ধি প্রাপ্তির জন্য করুন বরলক্ষ্মী ব্রত, জেনে নিন পুজোর দিন-ক্ষণ ও তাৎপর্য
দক্ষিণ ভারতের খুব জনপ্রিয় একটি উৎসব হল বরলক্ষ্মী পূজা বা বরলক্ষ্মী ব্রত। দেবী লক্ষ্মীকে স্মরণ করে এই পুজো করা হয়। দেবী লক্ষ্মী হলেন ভগবান বিষ্ণুর পত্নী। শাস্ত্র অনুসারে, সুখ, সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদ প্রাপ্তির জন্য পালন করা হয় বরলক্ষ্মী ব্রত। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এইবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে কোন দিন পালিত হবে এই ব্রত এবং পূজার শুভ সময়। বিশ্বাস করা হয় যে, কেউ যদি বরলক্ষ্মীর এই ব্রত করে তবে এটি হয় আটটি লক্ষ্মী ব্রতের সমান। আটটি দেবদেবী হল - সম্পদ, পৃথিবী, শিক্ষা, প্রেম, খ্যাতি, শান্তি, আনন্দ এবং শক্তি।
বরলক্ষ্মী পূজার তারিখ এবং শুভ সময়
বরলক্ষ্মী পূজার তারিখ - ২০ অগস্ট, শুক্রবার
সিংহ লগ্না পূজা মুহূর্ত (সকাল) - সকাল ৫টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৭টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত
বৃশ্চিক লগ্না পূজা মুহূর্ত (দুপুর) - বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত
কুম্ভ লগ্না পূজা মুহূর্ত (সন্ধ্যে) - বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ৭টা ২২ মিনিট পর্যন্ত
বৃষ লগ্না পূজা মুহূর্ত (মধ্যরাত) -২১ অগস্ট, রাত ১০টা ৩৩ মিনিট থেকে মধ্যরাত ১২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত
বিবাহিতদের বিশেষ উপকার
কুমারী মেয়েদের জন্য এই ব্রত নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হয়। শাস্ত্র অনুসারে, এই পুজো বা ব্রতটি শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলারা পালন করেন। দক্ষিণ ভারত এবং মহারাষ্ট্রের বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু, পরিবারের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য উপবাস ও অনেক আচার পালনের মাধ্যমে এই পুজো করেন। বিবাহিত পুরুষরাও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য এই ব্রত পালন করতে পারেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এক সাথে এই পুজো করলে তারা মা লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ পায়।
বরলক্ষ্মী ব্রত কথা
কথিত আছে, প্রাচীন মগধের কুন্ডিন্যপুর (বর্তমানে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায়) নামে একটি শহরে চারুমতী নামে এক মহিলা বাস করতেন। পরিবারের প্রতি তাঁর ভক্তি দেখে প্রভাবিত হয়ে দেবী মহালক্ষ্মী তাঁর স্বপ্নে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তাঁকে বরলক্ষ্মীর (বর = বর দান) উপাসনা করতে বলেছিলেন। শ্রাবণ মাসে পূর্ণিমা রাতের পূর্ববর্তী শুক্রবারে এই ব্রত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
চারুমতী তাঁর পরিবারকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ায় তারা তাঁকে পূজা করতে উত্সাহিত করেছিল। গ্রামের আরও অনেক মহিলা তাঁর সাথে এই পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন এবং দেবীর বরলক্ষ্মীকে নানান ধরণের মিষ্টির নৈবেদ্য অর্পণ করেছিলেন।
বিবাহিত মহিলারা এই ব্রত অত্যন্ত বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। এদিন সকালে ব্রতপালনকারীরা তাড়াতাড়ি স্নান সেরে নেন এবং দিনের অর্ধেক সময় উপবাস করে থাকেন। কথিত আছে, এক ধার্মিক মহিলা ছিলেন, যিনি স্বপ্নে দেবী লক্ষ্মীর দেখা পেয়েছিলেন। তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, দেবী তাঁর ভক্তি দেখে অত্যন্ত খুশী হয়েছেন। স্বপ্নে দেবীর আশীর্বাদ পেতে বরলক্ষ্মী ব্রত পালন করার আদেশ পান তিনি। সেই আদেশানুযায়ী পরের দিন সকালে স্নান করে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য ব্রত পালন করেছিলেন। এতে তিনি সম্পদ এবং সমৃদ্ধি পেয়েছিলেন। এই স্বপ্নের কথা শুনে গ্রামের অন্যান্য মহিলারাও ব্রত পালন করা শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে বরলক্ষ্মী ব্রতকথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।