Just In
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২০:বৈশাখী পূর্ণিমার দিনেই সত্য জ্ঞান লাভ করেছিলেন বুদ্ধ, জানুন এর শুভ সময় ও গুরুত্ব
বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমার দিনটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে মানা হয়। এই শুভ দিনে দান-পুণ্য থেকে শুরু ধর্মকর্ম সংক্রান্ত অনেক কাজ করা হয়। হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে, বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা বৈশাখ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমা এই দিনটি মহা আড়ম্বরের সহিত পালন করেন। এইবছর বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা পড়েছে ৭ মে, বৃহস্পতিবার।
২০২০ সালে বৈশাখী বা বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথি এবং মুহুর্ত
পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে - ৬ মে, ৭টা বেজে ৪৪ মিনিটে
পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে - ৭ মে, ৪টা বেজে ১৪ মিনিটে
শারদ পূর্ণিমা সম্পর্কে কিছু তথ্য ও গুরুত্ব
শ্রীকৃষ্ণ ও সুদামা-এর সাথে বৈশাখী পূর্ণিমার সম্পর্ক
এই বিশেষ দিনটিতে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুদামা যখন তাঁর সাথে দেখা করতে দ্বারকা পৌঁছেছিলেন, তখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বৈশাখী পূর্ণিমা ব্রত-এর বিধান সম্পর্কে বলেছিলেন। এই ব্রত-এর প্রভাবের সাহায্যে সুদামার জীবনের সমস্ত দরিদ্রতা দূর হয়েছিল।
বৈশাখী পূর্ণিমার গুরুত্ব
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমায় ধর্মরাজকে পূজা করার ঐতিহ্য রয়েছে। এই দিন ব্রত করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে না। এই দিনে দান-ধ্যান করলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ব্রহ্মদেব এই দিনে কালো ও সাদা তিল নির্মাণ করেছিলেন, তাই এগুলি এই দিনে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। পুরাণে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিকে অত্যন্ত পবিত্র ও ফলবান বলে মনে করা হয়। এই দিনে মন্দিরগুলিতে পূজা শেষে বৈশাখ মাহাত্ম্য কথার উপাসনা করা হয়। তবে এই বছর গোটা দেশে করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে, কোনও ভক্তই পবিত্র নদীতে স্নান করতে পারবেন না বা মন্দিরেও কোনও ব্যবস্থা থাকবে না। তবে আপনি অবশ্যই বাড়িতে পূজা বা ধ্যান করতে পারেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২০: জানুন এই উৎসবের আচার-অনুষ্ঠান ও তাৎপর্য সম্পর্কে
বৈশাখী পূর্ণিমা এবং বুদ্ধ পূর্ণিমার মধ্যে সম্পর্ক
ভগবান বুদ্ধকে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি এমন ঐশ্বরিক আত্মা ছিলেন যিনি ঈশ্বরের এক রুপ হিসেবে সম্মানিত হয়েছিলেন। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এই পবিত্র তিথিতে ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বহু বছর বনে বিচরণ ও কঠোর তপস্যার শেষে বৈশাখী পূর্ণিমার দিনই ভগবান বুদ্ধ বোধি বৃক্ষের নীচে সত্য জ্ঞান লাভ করেন অর্থাৎ তিনি বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাই কেবল বৌদ্ধ অনুসরণকারীই নন, পাশাপাশি হিন্দু ভক্তরাও তাঁর শিক্ষাকে পুরো নিষ্ঠার সহিত অনুসরণ করেন।