Just In
ভূত চতুর্দশীর রাতে ভুলেও করবেন না এই কাজ, সংসারে নেমে আসবে ঘোর অমঙ্গল!
দেখতে দেখতে চলে এল আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালীপুজো। ইতিমধ্যেই চারিদিক সেজে উঠেছে রঙবেরঙের আলোয়। সাধারণত কালীপুজোর আগের রাতে বা দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে চতুর্দশী তিথিতেই বাঙালীর ঘরে ঘরে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশীর রাতে নাকি বিদেহী আত্মা ও স্বর্গত আত্মারা মর্ত্যে নেমে আসেন।
শাস্ত্র মতে, এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলি ভূত চতুর্দশী এবং কালীপুজোর দিন করতে নেই। এই দিন এই সব কাজ করলে সংসারে ঘোর অমঙ্গল নেমে আসতে পারে। জেনে নিন এই দিনগুলোতে কী করবেন ও কী করবেন না।
১) কালীপুজোর দিন এবং তার আগের দিন রাতে শ্মশান অথবা কবরস্থানের ধারে-কাছেও যাবেন না। কারণ এই সময় এই সব জায়গায় নানারকম নেগেটিভ শক্তি থাকে। আর এতে আপনার এবং আপনার পরিবারের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
২) রাতে রান্না করার পর রান্নাঘর নোংরা করে রাখবেন না। রান্নাঘর ও বাসনপত্র খুব ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন। এতে আপনার পরিবারের মঙ্গল হবে।
৩) এই দু'দিন সন্ধ্যাবেলার পর ঘরে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। মনে করা হয়, এর ফলে মা লক্ষ্মীকে ঘর থেকে বিতাড়িত করে দেওয়া হয়।
৪) কালীপুজো ও ভুত চতুর্দশীর দিন সন্ধ্যার পর যদি কেউ আপনার কাছ থেকে দুধ বা দুধ জাতীয় কোনও জিনিস চান, তাহলে তা দেবেন না। কারণ এতে আপনার বাড়ি থেকে পজিটিভ শক্তি কমতে থাকবে ও নেগেটিভ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
৫) মহিলাদের কালীপুজো ও ভুত চতুর্দশীর রাতে চুল খুলে ঘুমানো উচিত নয়। তাহলে নেগেটিভ শক্তি আকর্ষিত হয় এবং এর ফলে আপনার ও আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া, রাতে চুল খোলা থাকলে দেবী লক্ষ্মীও রুষ্ট হন।
৬) এই দিনগুলোতে সন্ধ্যার পর অবশ্যই ঘরে প্রদীপ জ্বালান। চারিদিকে আলো দিয়ে সাজান। এতে অশুভ শক্তি দূর হয় বলে বিশ্বাস। এমনকি সারারাতও চাইলে আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন : ভূত চতুর্দশীতে কেন ১৪ শাক খাওয়া ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়? জানুন এর আসল কারণ