Just In
বাড়ির মন্দিরে এই ৪টি জিনিস অবশ্যই রাখুন, সারাবছর মিলবে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ!
প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই পূজার জন্য আলাদা একটা ঘর থাকে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সঠিক দিকে পূজার ঘর থাকলে বাড়িতে সর্বদা ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে। তাই বাড়িতে পূজার স্থান সর্বদা ঈশান কোণে তৈরি করা উচিত। ঈশান কোণ মানে উত্তর-পূর্ব দিক। এই দিকটিকে দেবতাদের দিক বলে মনে করা হয়।
এছাড়াও, বাড়ির মন্দিরে কিছু বিশেষ জিনিস থাকাও খুব জরুরি, তাহলে দেবী লক্ষ্মী-সহ সমস্ত দেবতার আশীর্বাদ বজায় থাকে। এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন, পূজার ঘরে কী কী জিনিস অবশ্যই রাখা উচিত।
ময়ুরের পালক
বাস্তুশাস্ত্র মতে, ময়ূরের পালক নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুবই প্রিয় ময়ূরের পালক। তাই পূজার স্থানে ময়ূরের পালক রাখলে সর্বদা বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি এবং ঈশ্বরের কৃপা বজায় থাকে। বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে ময়ূরের পালক থাকে সেখানে নেতিবাচক শক্তি খুব কমই প্রবেশ করে।
শঙ্খ
শঙ্খ, ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর অত্যন্ত প্রিয়। প্রতিদিন ভগবানের আরাধনার সময় শঙ্খ বাজানো উচিত। শঙ্খ বাজালে ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসে এবং ঘরে দেবী লক্ষ্মী বাস করে।
মন্দিরের কাছে বাড়ি? বাস্তুদোষ কাটাতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
গঙ্গাজল
হিন্দু ধর্মে গঙ্গাজলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানেই গঙ্গাজল ব্যবহৃত হয়। গঙ্গাজল কখনই খারাপ হয় না। বাড়ির পূজার স্থানেও সর্বদা গঙ্গাজল রাখা উচিত, তাহলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। প্রতিদিন পূজা করার সময় গঙ্গাজল অবশ্যই ব্যবহার করুন।
শালিগ্রাম
দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে চাইলে শালিগ্রাম শিলা পূজার ঘরে রাখুন এবং নিয়মিত পূজা করুন। শালিগ্রাম স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুরই এক রূপ। এই কারণে শালগ্রাম শিলা মা লক্ষ্মীরও অত্যন্ত প্রিয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। তাই পূজার স্থানে শালিগ্রাম রাখলে দেবী লক্ষ্মী তুষ্ট হন।