Just In
- 7 hrs ago
Chicken Maharani Recipe : নৈশভোজে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু চিকেন মহারানী, রইল রেসিপি
- 9 hrs ago
আই লাইনার শেষ হয়ে গিয়েছে? আইশ্যাডো দিয়েই তৈরি করে ফেলুন নানা রঙের আই লাইনার!
- 15 hrs ago
Devshayani Ekadashi 2022 : দেবশয়নী একাদশী কবে? জেনে নিন তিথি, শুভক্ষণ, পূজা বিধি ও তাৎপর্য
- 23 hrs ago
Ajker Rashifal : আজ আপনার জীবনে কী ঘটতে চলেছে? দেখুন ০৫ জুলাইয়ের রাশিফল
ভগবৎ গীতা থেকে যে ১৫ টি বিষয় আপনার শিখতে হবে
যে মানুষগুলি তাদের নিজেদের ধর্মকে অনুসরণ করে আসে, পৌরাণিক তাৎপর্যগুলি তাদের হৃদয়ে একটি অতি বিশেষ স্থান দখল করে থাকে।
যেহেতু প্রত্যেক ধর্মেরই কিছু পৌরাণিক তাৎপর্য রয়েছে, তাই মানুষের নিজস্ব অধিকার রয়েছে যতদিন তারা বাঁচবে, এই বিষয়গুলিতে তাদের বিশ্বাস রাখার এবং তাদের কাজে ও কর্মে তা অনুসরণ করার।
অন্যান্য ধর্মগুলির মতো, হিন্দুধর্মেরও কিছু পৌরাণিক সাহিত্য রয়েছে যেগুলি শিক্ষা ও প্রচারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষস্থানীয়গুলির মধ্যে হিন্দুরা ভগবৎ গীতার প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।
এই বইটির একটি পবিত্র তাৎপর্য রয়েছে, যেহেতু বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ পাণ্ডব রাজপুত্র অর্জুনকে যে বাণীগুলি প্রদান করেছিলেন, সেই ধর্মোপদেশগুলি এটিতে রয়েছে।
যতদূর ভগবৎ গীতার শিক্ষা সম্বন্ধীয় প্রসঙ্গ রয়েছে, তা অমূল্য ও এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনাকে ভগবৎ গীতা থেকে শিখতে হবে।
এই শিক্ষাকে কেতাবি শিক্ষা হিসাবে নেওয়ার কোন কারণ নেই, বরং এগুলি বাস্তব এবং এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আপনাকে ভগবৎ গীতা থেকে শিখতে হবে।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ, ভগবান বিষ্ণুর অবতার এবং তাঁর ধর্মোপদেশ স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী ছাড়া আর কিছুই নয়। ভগবৎ গীতা থেকে যে বিষয়গুলি আপনি শিখবেন তার ওপর আপনাকে গুরুত্ব দিয়ে মনোযোগ দিতে হবে।

যা ঘটছে:
যা ঘটছে তা অবশ্যম্ভাবী এবং অনিবার্য। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে যাই ঘটছে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই ঘটছে। এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করার বা একে থামানোর কোন অধিকার আপনার নেই।

কর্ম করে যাও ফলের চিন্তা করো না
ভগবৎ গীতা আপনাকে শুধু ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কর্মফলের ওপর আপনার কোন দাবি নেই।

আত্মা অমর:
আত্মা অমর ও একে ধ্বংস করা যায় না। একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর আত্মা কেবল শরীর পরিবর্তন করে। এটি কখনোই ভিজে যেতে পারে না বা আগুনে পুরে যেতে পারে না।

সঞ্চিত সম্পত্তি সম্বন্ধে চিন্তা বন্ধ করুন:
ভগবৎ গীতা থেকে আপনাকে যে বিষয়গুলি শিখতে হবে, সেগুলির মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খালি হাতেই আপনি জন্মে ছিলেন এবং সেই অবস্থাতেই আপনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন। মৃত্যুর পর আপনি আপনার সাথে কোন পার্থিব সম্পদ বয়ে নিয়ে পারবেন না।

লোভ, লালসা এবং ক্রোধ ত্যাগ করুন:
লোভ, লালসা এবং ক্রোধ বিষ-তুল্য এবং মানুষের প্রকৃতি ও চরিত্রকে নষ্ট করে। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন যার পথ আপনাকে মহিমান্বিত করতে পারে তার জন্যে গীতা আপনাকে এই তিনটি অশুভ রিপু দ্বারা ভুগতে দেয় না।

সন্দেহ পরিত্রাণ করুন:
আপনাকে ভগবৎ গীতা থেকে যে বিষয়গুলি শিখতে হবে, সেগুলির মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সন্দেহ পরিত্রাণ না করলে, মানসিক শান্তি পাওয়ার কথা আশা করতেই পারবেন না।

প্রতিটি ব্যক্তি নিজেই নিজের পরম বন্ধু বা শত্রু:
প্রতিটি ব্যক্তি নিজের ভেতর থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকে, কারণ সে নিজেই নিজের পরম বন্ধু বা শত্রু। সে নিজেই নিজের চিন্তা ও ধারণা থেকে বহুল পরিমাণে প্রভাবিত হয়ে থাকে ও সেই অনুযায়ী কর্ম করে থাকে।

যেমন কর্ম, তেমন ফল:
আপনার কর্ম ঈশ্বর দ্বারা যথোপযুক্ত বিচার করা হবে। মৃত্যুর পর আপনার কর্মের জন্য আপনাকে দণ্ড বা পুরস্কার পেতে হবে। বিচার কেবলমাত্র মৃত্যুর পরই সম্পন্ন হবে এবং এটিই মৃত ব্যক্তির শেষ পরিণতি নির্ধারণ করবে।

আপনদের মূল্য দিন:
অন্য কারোর কাছ থেকে সম্মান পেতে হলে, আপনাকে আগে তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। আপনি নিজে যাকে সম্মান করেন না তার কাছ থেকে আপনি সম্মান পাওয়ার আশা করতে পারেন না।

জীবন আপনাকে যা দেবে তাই স্বীকার করুন:
জীবনের সম্পদ বা অসুবিধা কিছুই আপনি নিজে বেঁছে নিতে পারেন না। জীবন আপনাকে যা দেবে সেটাই আপনার মেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়গুলি আপনার পূর্বকৃত-কর্মফলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

অগ্রগতি ও উন্নয়ন জীবনের নিয়ম:
একই জায়গায় স্থবির হয়ে থাকা মনুষ্যজাতির উদ্দেশ্য নয়। কর্ম দ্বারা তাদেরকে অগ্রসর ও বিকশিত হতে হবে। মানুষের কর্মের ওপর ভিত্তি করে ঈশ্বর তাদের পথ নির্ধারণ করবেন।

জগত ক্ষয়িষ্ণু:
জগত ও সৃষ্টি প্রকৃতিগত ভাবে ক্ষয়িষ্ণু, তার ফলে এক না একদিন উভয়েরই অন্ত আসবে। পূর্ব নির্ধারিত দিন বা সময়ে পরিসমাপ্তির সাথে মিলিত হওয়া থেকে আপনি তাদের আটকাতে পারবেন না।

আপনার কর্ম ও ক্রিয়া কৃষ্ণকে উৎসর্গ করুন:
যেহেতু, ভগবান কৃষ্ণ জগত ও সৃষ্টির পালক, আপনাকে শুধু আপনার কর্ম ও ক্রিয়া তাঁকে উৎসর্গ করতে হবে। আপনার জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে দিন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সর্বোত্তম শক্তি:
জগত-সংসার ভগবান শ্রী কৃষ্ণেরই সৃষ্টি এবং সবই তার ইচ্ছাশক্তিতে ঘটছে। একজন মানুষ হিসাবে, এর বাইরে কিছু নিয়ে চিন্তা করার অধিকার আপনার নেই।

ধন-সম্পদ ও কামনার দাস হবেন না:
ধন-সম্পদ ও কামনার দাস বা হাতের পুতুল হয়ে পড়লে, তা আপনার প্রকৃতি ও চরিত্রে একটা নিশ্চিত অধঃপতন নিয়ে আসতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এর ফল, চরম ব্যর্থতা হতে পারে।