Just In
- 34 min ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 16 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 18 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 20 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
দুর্গাপূজা ২০২০ : যে যে সঙ্কেতগুলি বয়ে আনে মা দুর্গার আগমনী বার্তা
বাঙালীর প্রিয় উৎসব দূর্গাপূজা প্রায় দ্বারপ্রান্তে। দূর্গাপূজা প্রতিটি বাঙালির জন্য একটি বিশেষ এবং শুভ উত্সব। এটি সমগ্র সম্প্রদায়কে একত্রিত করে। মানুষের রাগ, অভিমান, ঝগড়া, দুঃখ সব ভুলিয়ে দেয়। প্রেম এবং নিষ্ঠার সাথে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয় সারা ভারত জুড়ে পালিত হয়।
প্রতিবছর মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গাপূজার সূচনা হয়। ঢাকের আওয়াজ থেকে শুরু করে 'শিউলি' বা 'কাশ' ফুল থেকে কুমোরটুলির মাটির প্রতিমা এবং রাস্তায় জনস্রোত, প্রতিটি বাঙালি এই সংকেতগুলির সাথে অনুরণন করতে পারে যে দুর্গাপূজা একদমই দ্বারে এসে দাঁড়িয়েছে, শুধু দরজা খুলে ঢোকার পালা।
কাশ ফুল
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের সাদা রঙের ঘাস জাতীয় একটি ফুল। সাধারণত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানে জন্মায় কাশ ফুল। শরৎ কালে ফোটে এই ফুল। শরতের কাশফুল এবং শারদীয়া দুর্গা পূজা পরস্পরের পরিপূরক। এই ফুল ফুটলে মানুষ বুঝতে পারে শরৎ কাল আগত, আর শরৎকাল আসা মানেই মা আসছেন...। শরতের কাশফুলের সাদা শুভ্রতা আর তার সঙ্গে ঢাকের আওয়াজ মনে করিয়ে দেয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনী বার্তার কথা। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মা দূর্গা আসে কাশফুলকে সঙ্গী করে।
শিউলি ফুল
শরতের ভোরের শিশিরের পরশ, ঢাকের শব্দ আর ভোরের শিউলি তলা-এসবই মনে করিয়ে দেয় আসছে দূর্গাপুজো। কথিত আছে, দেবী দুর্গার সব থেকে পছন্দের ফুল শিউলি। তাই, দুর্গাপুজোর অঞ্জলিতে শিউলি ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম।
শরতের শিউলি ফুল বয়ে আনে দূর্গাপূজা বা দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা। এই ফুল ব্যবহার না করলে দূর্গাপূজা অসম্পূর্ণ। শিউলি ফুল প্রতিটি বাঙালিকে এই অনুভূতি দেয়, মা দুর্গা আসছেন।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে 'মহালয়া':
প্রতিবছর মহালয়ার ভোরে প্রয়াত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়ার রেকর্ডিং শোনা প্রত্যেক বাঙালির কাছে একটি রীতি। এটি ছাড়া যেন বাঙালীর দূর্গাপুজো শুরু হয় না। ভোর ৪-টায় রেডিও চালু করে তাঁর কন্ঠে মা দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠার কাহিনী বা মহালয়ার স্তোত্র পাঠ শোনা বাঙালীর কাছে কোনও আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। প্রতি বছর, এটি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিওতে সম্প্রচারিত হয়। এর মাধ্যমে প্রত্যেক ঘরে ঘরে মায়ের আগমনী বার্তা পৌঁছায় এবং সবাই আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে।
পূজা সংস্করণ ম্যাগাজিন :
প্রতিবছর দূর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন ম্যাগাজিনগুলির প্রকাশিত বিশেষ পূজা সংস্করণও দূর্গাপূজার আগমনীর ইঙ্গিত বহন করে। দূর্গাপূজার বিভিন্ন বর্ণনা, বিভিন্ন ধরনের গল্প, পুজোর সময় নানারকম ফ্যাশন টিপস এই সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা ম্যাগাজিনে উল্লেখ করা থাকে, যা দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা দেয়।
কুমারটুলির মাটির প্রতিমা :
দুর্গাপূজা ও অন্যান্য পুজোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল প্রতিমা তৈরি। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কুমোর কলোনী 'কুমারটুলি'-প্রতিমা তৈরির জন্য বেশ জনপ্রিয়। এখানকার তৈরি প্রতিমা বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। মৃৎশিল্পের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত কলকাতার এই 'কুমারটুলি'। দূর্গাপুজো আসার কয়েকমাস আগে থেকে কুমারটুলির কারিগররা মা দুর্গার মাটির প্রতিমা তৈরিতে হাত দেয়। তাঁদের অপরিসীম সৃজনশীলতা দিয়ে প্রতিমাকে জীবন্ত করে তোলেন। এটি বলা ভুল হবে না, যে উত্তর কলকাতার এই কুমোর কলোনী ছাড়া দুর্গোৎসব অসম্পূর্ণ।
প্যান্ডেল,হোর্ডিং, আলোকসজ্জা :
দুর্গাপুজো আসা মানেই কয়েকমাস আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়ে যায় পুজো সংক্রান্ত বিভিন্ন হোর্ডিং ও লাইটিং লাগানোর কাজ। বিভিন্ন জায়গায় দূর্গা প্রতিমা পুজোর জন্য বিভিন্ন থিমের প্যান্ডেল তৈরি করা শুরু হয়। চারিদিকে ভরে যায় পুজোর বিজ্ঞাপনে। রাস্তায় রাস্তায় সজ্জিত আলোকসজ্জার কারণে পুরো শহর আলোকিত হয়ে ওঠে, যা দূর্গাপূজার আগমনকে চিহ্নিত করে। গোটা শহর যেন এক অনন্য রুপে ভরে ওঠে।
দুর্গাপূজা ২০২০ : জানেন কি মা দুর্গার দশ হাতের দশটি অস্ত্রের তাৎপর্য?
প্রতিটি জায়গায় জনস্রোত :
বছরের এই সময়ে আপনি যেখানেই যান না কেন, চারিদিকে মানুষের জমায়েত, ভিড় দেখতে পাবেন। রাস্তার প্রতিটি কোণে, মার্কেট প্লেসে, শপিং মলে সবাই নিজের এবং প্রিয়জনের জন্য সুন্দর পোশাক কিনতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। পুজোয় কে কোনদিন কোন কোন জামা পরবে সেই অনুযায়ী কেনাকাটা করার জন্য মানুষ ব্যস্ত হয়ে ওঠে, যা দেখলে বোঝা যায় সত্যিই পুজো আসছে।