For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

বাড়ির সদর দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্ন লাগালে কী কী উপকার পেতে পারেন জানেন?

সারা দিনের যুদ্ধের পর বাড়ি হল আমাদের "ফাইনাল রেস্টিং প্লেস"। নির্ভানাও বলতে পারেন। যেখানে বসের চিৎকার নেই। নেই অফিস পলিটিক্সের কটু গন্ধও। থাকার মধ্যে আছে অপার শান্তি এবং ভালবাসা।

|

সারা দিনের যুদ্ধের পর বাড়ি হল আমাদের "ফাইনাল রেস্টিং প্লেস"। নির্ভানাও বলতে পারেন। যেখানে বসের চিৎকার নেই। নেই অফিস পলিটিক্সের কটু গন্ধও। থাকার মধ্যে আছে অপার শান্তি এবং ভালবাসা। তাই তো বলি বন্ধু এমন শান্তির নীড়ে অন্ধকার নেমে আসুক, এমনটা চান নাকি?

উত্তরটা যে না হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো গৃহস্থের অন্দরে যাতে খারাপ শক্তির প্রবেশ না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সোয়াস্তিকা চিহ্ন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্নের স্টিকার লাগালে বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মেলে নানাবিধ উপকার। শুধু তাই নয়, নানা ধাতু দিয়ে তৈরি সোয়াস্তিকা চিহ্ন নানা ধরনের বিপদ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। যেমন ধরুন...

১. পঞ্চ ধাতুর সোয়াস্তিকা:

১. পঞ্চ ধাতুর সোয়াস্তিকা:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পঞ্চ ধাতু দিয়ে তৈরি সোয়াস্তিকা চিহ্ন যদি বাড়ির মূল ফটকের উপরে লাগানো যায়, তাহলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কোনও না কোনও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পরিবারের সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু সুখে-শান্তিতে যদি বাকি জীবনটা কাটাতে হয়, তাহলে এই বাস্তু নিয়মটিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!

২. বাস্তু দোষ কাটায়:

২. বাস্তু দোষ কাটায়:

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ৯ টি ধাতু এবং রুপো দিয়ে তৈরি সোয়াস্তিকা চিহ্ন যদি বাড়ির পূর্ব দিকে রাখতে পারেন, তাহলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত অশুভ শক্তির প্রভাবও কমতে থাকে, ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, কোনও বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল কার বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছে, তা বুঝে ওঠার কোনও উপায় নেই। তাই তো সবারই সোয়াস্তিকা চিহ্নের সাহায্য নেওয়া উচিত।

৩. সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:

৩. সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:

বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির মূল দরজায় বা বাইরের দেওয়ালে সিঁদুর এবং তেল দিয়ে সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে পরিবারে। ফলে প্রতিটি সদস্যের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হতে থাকে। প্রসঙ্গত, যারা মনের মতো চাকরির খোঁজে রয়েছেন, তারাও যদি সদর দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকেন, তাহলে মনের ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।

৪. পুজোর কাজে:

৪. পুজোর কাজে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও পুজোর সময় বা প্রতিদিন ঠাকুর ঘরে হলুদ এবং সিঁদুর দিয়ে সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকলে সেই স্থানটি পবিত্র হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ির প্রতিটি কোনায় শুভ শক্তির আনাগোনা যায় বেড়ে। ফলে গুড সাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা হলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!

৫. গৃহস্থে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে:

৫. গৃহস্থে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে:

বাড়ির মূল দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্নের ছোঁয়া লাগলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে থাকে। আর এমনটা যখন হয়, তখন পরিবের সুখ-শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে বাড়ির যে কোনায় গেলেই মনটা শান্ত হয়ে যায়। আর শান্ত মন যে সুখ এবং আনন্দের চারণভূমি, তা কি আর বলে দিতে হবে!

৬. ব্যবসায় উন্নতি ঘটে:

৬. ব্যবসায় উন্নতি ঘটে:

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির সদর দরজায় দুদিকেই যদি সোয়াস্তিকা চিহ্নের স্টিকার লাগানো যায়, তাহলে ছয় মাসের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, ব্যবসাতেও চরম উন্নতি ঘটে।

৭. ঠাকুরের আসনে সোয়াস্তিকা চিহ্ন:

৭. ঠাকুরের আসনে সোয়াস্তিকা চিহ্ন:

ঠাকুরের আসনের গায়ে সোয়াস্তিকা চিহ্ন লাগিয়ে সেখানে যে দেব বা দেবীর আরাধনা করেন, তাঁর ছবি বা মূর্তি রাখলে দারুন ফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মনের মতো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে কেরিয়ারের সিঁড়িতে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠতে সময় লাগে না।

৮. কু-দৃষ্টির প্রভাব কমে:

৮. কু-দৃষ্টির প্রভাব কমে:

নটি পাথর এবং রূপো দিয়ে তৈরি সোয়াস্তিকা চিহ্ন যদি বাড়ির মূল দরজার উপরে লাগাতে পারেন, তাহলে বাড়ির অন্দরে যেমন খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়, তেমনি কারও কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কারও উপর খারাপ দৃষ্টির প্রভাব পরলে শরীর যেমন খারাপ হতে শুরু করে, তেমনি একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে থাকতে সোয়াস্তিকা চিহ্নকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: ধর্ম
English summary

swastika mystery for success

The Vedic Swastik (not to be confused with the Nazi Swastika) is the sacred symbol of Ganpathi, the lord of good fortune and is a powerful source of positive energy. This lucky symbol will bring the wearer luck, success and good fortune.
Story first published: Tuesday, May 22, 2018, 11:24 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion