Just In
মহা শক্তিশালী এই মন্ত্রটি জপ করলে দেখবেন মনের সব কষ্ট দূর হবে সেই সঙ্গে পূরণ হবে সব স্বপ্ন!
শাস্ত্রে এই মন্ত্রটি "রুদ্র মন্ত্র" নামে পরিচিত। কারণ মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র আমাদের আশেপাশে এত মাত্রায় শুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই।
ভগবান শিব হলেন যোগী। যার শরীরে কোনও দোষের দাগ নেই। তিনি পবিত্র। তিনি কারও চোখের জল দেখতে পারেন না। তাই তো যে কারও মনের মনের ইচ্ছা পূরণ করতে তিনি পিছপা হন না। আর এই কারণেই তো ভগবান শিবের এই মন্ত্র একবার উচ্চারণ করে দেখুনই না কী হয়! এমনটা করলে আপনার জীবনের ছবিটা যে বদলে যাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু তাই নয়, ফিরে পাবেন মনের শান্তি। সেই সঙ্গে মনের সব দোষ, সব পাপও ধুয়ে যাবে। তাই আর অপেক্ষা না করে একবার চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে। দেখবেন আপনার জীবনটাই বদলে যাবে।
শক্তিশালী শিবমন্ত্র:
শাস্ত্রে এই মন্ত্রটি "রুদ্র মন্ত্র" নামে পরিচিত। কারণ মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র আমাদের আশেপাশে এত মাত্রায় শুভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই। সেই সঙ্গে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে জীবনে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "ওম নম ভগবতে রুদ্রায়ও"। এটি জপ করলে দেখবেন শান্তি পাবেন, সুখ পাবেন। তবে মন্ত্রটি পাঠ করার আগে কিছু নিয়ম মানতে হয়। যেমন ধরুন- স্নান করার পর পরিষ্কার জামা কাপড় পরে কম করে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। হিন্দু শাস্ত্র মতে এমনটা প্রতিদিন করলে মনের ইচ্ছা সব পূরণ হবে, সেই সঙ্গে জীবনে শান্তি ফিরে আসবে। তবে মন্ত্রটি জপ করতে হবে ভগবান শিবের ছবিকে সামনে রেখে। এক্ষেত্রে প্রথমে দেবাদিদেবের পছন্দের ফুলে তাকে সাজিয়ে তুলতে হবে। তারপরে এক মনে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করতে হবে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন আগের দিনের থেকে একটু বেশি করে সময় ধরে মন্ত্রটি পাঠ করবেন। এইভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জপের সময় বাড়াবেন। তাহলে দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না।
রুদ্র মন্ত্রের উপকারিতা:
নিয়মিত সাকল সকাল উঠে স্নান সেরে মন্ত্রটি জপ করলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায় সেগুলি হল- সব পাপ এবং দোষ ধুয়ে যায়, ক্লান্তি দূর হয় এবং ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশন কমাতেও এই মন্ত্রটি দারুনভাবে সাহায্য করে, কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে, জীবন খুশিতে ভরে উঠবে, সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে, শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতি দূর হতে দেখবেন সময় লাগবে না, মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না, ভয় দূর হবে এবং জীবনে কখনও দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হল ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি গৃহস্থে শিব ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখা না হয়, তাহলে কিন্তু খুব বিপদ। এখন প্রস্ন হল এক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?
১. শিব লিঙ্গ নৈব নৈব চ:
অনেকেই বাড়ির ঠাকুর ঘরে শিব লিঙ্গ প্রতিষ্টিত করে থাকেন। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কেন এমন উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে শাস্ত্র মতে শিব লিঙ্গ হল শক্তির আধার। তাই তো ঠিক ঠিক নিয়ম মনে শিব লিঙ্গের আরাধনা করা উচিত। আর যদি এমনটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে শিব লিঙ্গ ঠান্ডা হওয়ার পরিবর্তে তার অন্দরে মজুত শক্তি সারা গৃহস্থে ছড়িয়ে পরতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, আজকের দিনে সবাই এত ব্যস্ত যে মনোযোগ সহকারে শিব লিঙ্গের পুজো করার মধ্যে দিয়ে তাঁকে ঠান্ডা করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই তো বাড়িতে শিব লিঙ্গ রাখতে মানা করা হয়। এখন প্রশ্ন হল, যারা ইতিমধ্যেই বাড়িতে শিব লিঙ্গ এনে প্রতিষ্টিত করেছেন, তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে বাড়িতে রাখা শিব লিঙ্গটি কোনও মন্দিরে গিয়ে দান করে দিন।
২. একাধিক ছবি বা মূর্তি রাখবেন না:
শাস্ত্র মতে বাড়ির ঠাকুর ঘরে একাধিক শিব ঠাকুরের ছবি রাখলে মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারে কিন্তু! কারণ এক্ষেত্রে এক স্থানে শক্তির মাত্রা বাড়িতে শুরু করে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে ভাল কিছুও মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে হওয়া উচিত নয়। তাই তো পরিবারে শুভ শক্তির পরিমাণও মাত্রা ছাড়ালে বিপদ! তাই ভুলেও বাড়িতে একটার বেশি শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখতে ভুলবেন না যেন!
৩. দেবের ছবি রাখতে হবে উত্তর দিকে:
শাস্ত্র মতে বাড়ির উত্তর দিকে বা ঈশান কোনে শিব ঠাকুরের ছবি রাখা উচিত। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নির্দিষ্ট দিকে দেবের ছবি রাখলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক শুভ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল শিব ঠাকুরের ছবি ভুলেও মাটিতে বা মাটিতে কোনও কাপড় পেতে প্রতিষ্টিত করা চলবে না। বরং একটা টেবিলের উপরে অথবা ঠাকুরের আসনে দেবের ছবি রাখতে হবে। তাহলেই কিন্তু উপকার মিলবে, না হলে...
৪. তান্ডব নৃত্য করছেন দেবাদিদেব এমন মূর্তি বাড়িতে রাখা কি উচিত?
এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব বুঝেশুনে। কারণ বাড়িতে ধ্যানরত শিব ঠাকুরের মূর্তি এনে রাখলে সব দিক থেকে উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সারা পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। আর যদি নৃত্য করছে, এমন ছবি বা মূর্তি এনে রাখেন, তাহলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে শারীরিক এবং মানসিক শক্তি চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কেউ যদি এমনিতেই এনার্জিটিক হন, তাহলে ভুলেও এমন মূর্তি এনে রাখা উচিত নয়। কারণ সেক্ষেত্রে এনার্জির সংঘাতে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই তো শরীরিকভাবে দুর্বল যারা, তাদেরই কেবলমাত্র নৃত্য করছেন এমন শিব ঠাকুরের ছবি এনে রাখা উচিত।
৫. অফিসে ভুলেও দেবাদিদেব ছবি বা মূর্তি রাখা চলবে না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিস ডেস্কে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখলে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। কিন্তু ভুলেও শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখা চলবে না। কারণ শাস্ত্র মতে শিব ঠাকুরের অন্দরে প্রচুর মাত্রায় শক্তি মজুত থাকে। তাই তো অফিসে দেবের ছবি রাখলে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো বন্ধু, অফিসে নাম-ডাক হোক, এমনটা যদি চান, তাহলে যে, যা কিছুই বলুক না কেন, অফিস ডেস্কে ভুলেও শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখা চলবে না কিন্তু!