For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতি শনিবার সকাল ৭-৯ টার মধ্যে ১০৮ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?

শাস্ত্রে বলে হনুমান চল্লিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানার থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি। তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের স্বরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

|

৪০ অধ্যায়ে সেখা হনুমান চল্লিশার রচনা করেন রামভক্ত তুলসি দাস। পুরানো নথি ঘেঁটে জানা যায় হনুমান চল্লিশা লেখার পিছেন যে কারণ রয়েছে, তা বেজায় কষ্টদায়ক।

তুলসি দাস কোনও কারণে একদিন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দরবারে গিয়েছিলেন। লেখককে দেখে সম্রাট আদেশ দেন, "আমি শ্রী রামের দেখা পেতে চাই।" উত্তরে কবি জানান, ভক্তির চরম উচ্চতায় না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। উত্তরটা লেখক এমনভাবে দিয়েছিলেন যা ঔরঙ্গজেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি। ফল কারাদন্ড! অন্ধকার কারা কুঠিরে সময় কাটানোর সময় তুলসি দাস হনুমানের সম্পর্কে যা অনুভাব করেছিলেন, তাই লিখেতে শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে লেখকের ভাবনা, শব্দের সন্ধান পেতে শুরু করে। দেখতে দেখতে শব্দবন্ধ মাত্রা ছাড়ায়। জন্ম হয় এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হয় হনুমান চল্লিশা।

শাস্ত্রে বলে হনুমান চল্লিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি। তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের স্বরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে প্রতি শনিবার সকালবেলা স্নান সেরে যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সব ধরনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও নানা উপকার। যেমন ধরুন...

১. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা আসে:

১. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা আসে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চল্লিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের অরাধনা করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।

২. মনের জোর বাড়ে:

২. মনের জোর বাড়ে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে যতই বাঁধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।

৩. একের পর এক বাঁধার পাহাড় সরে যায়:

৩. একের পর এক বাঁধার পাহাড় সরে যায়:

কথায় বলে জীবনে যত বাঁধা আসে, তত মানুষ দিসেবে আমাদের উন্নতি ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এমন বাঁধা আসে যে সে সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে হনুমান চল্লিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাঁধার পাহাড় সরতে সময়ই লাগে না। তাই যদি কোনও সমস্যায় বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন হাতে-নাতে ফল পাবেন।

৪. নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:

৪. নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:

একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা আত্মা বা নেগেটিভ এনার্জি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া উচিত। কারণ হনুমানের ভয়ে যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতেও হনুমান চল্লিশা সাহায্য করে থাকে। এবার বুঝতে পরেছেন তো দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েনের মাঝেও সুখে থাকতে হনুমানের সঙ্গ নেওয়ার প্রয়োজন কতটা!

৫. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:

৫. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:

পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন আজকের ডেটে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।

৬. শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে:

৬. শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে:

একথা তো সবারই জানা আছে যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমান। বিশেষজ্ঞরা বলেন নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করলে শনির দশা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ বাঁধার জাল থেকেও মুক্তির সন্ধান মেলে।

৭. খারাপ কর্মের ফল থেকে বেঁচে থাকা যায়:

৭. খারাপ কর্মের ফল থেকে বেঁচে থাকা যায়:

যেমন কর্ম, তেমন ফল! লোকেরা ভাল করবেন তো আপনার সঙ্গেও ভাল হবে, আর যদি খারাপ করেন, তাহলে শাস্তির জন্যও প্রস্থুত থাকতে হবে। কিন্তু নিজের ভুল বুঝে খারাপ কর্মের ফল থেকে যদি নিস্তার পেতে চান, তাহলে নিয়মিত রাত্রে বেলা ভাল করে হাত-পা ধুয়ে হনুমান চল্লিশার প্রথম ধাপটা কম করে ৮ বার পড়া শুরু করুন। নিয়মিত এমনটা করলে দেখবেন আপনার কোনও ক্ষতি হবে না। সেই সঙ্গে মুক্তি মিলবে পাপের জাল থেকেও।

Read more about: ধর্ম
English summary

Reciting the Hanuman Chalisa 108 times on Saturday

The Hanuman Chalisa is one of the remarkable poetic creations of Goswami Tulsidas. The Hanuman Chalisa acquires a special site and significance in Hindu religion. It is believed that chanting Hanuman Chalisa can assuage Lord Hanuman and earn his golden blessings. Hanuman who is also called as god in monkey form, is one of the most worshiped lord among Hindus. His blessings are so significant and powerful that it can vanish every grieve and negative situations in any person’s life too fast bringing in peace and prosperity.
Story first published: Friday, June 15, 2018, 15:46 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion