Just In
Ramadan 2022 : ভারতে কবে শুরু হচ্ছে রমজান মাস? জেনে নিন এই পবিত্র মাসের রীতি-নীতি
মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস হল রমজান মাস। এই গোটা মাসে তাঁরা আল্লাহর ইবাদত করেন। রোজা রাখেন। ইসলাম ধর্মে এই মাসকে কোরবানি বা ত্যাগের মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পবিত্র রমজান মাস ব্যক্তির সহনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং আত্মা ও শরীরকে শুদ্ধ করে।
রমজান মাস শুরু এবং শেষ পুরোটাই নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। রমজানের পরই আসে ঈদ-উল-ফিতর বা ঈদ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই পবিত্র মাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য -
রমজানের তারিখ
চাঁদ দেখার মাধ্যমে রমজানের সূচনা হয় এবং চাঁদ দেখার পর শেষ হয় এই পবিত্র মাস। রমজানের পুরো এক মাস রোজা পালনের পর উদযাপন হয় মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। যে দিন চাঁদ দেখা যায়, তার পরদিন থেকে 'রোজা' পালন শুরু হয়। সাধারণত ২৯ থেকে ৩০ দিনের উপবাসের পর 'ঈদ' উদযাপন করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা।
এ বছর ২ এপ্রিল থেকে ভারতে 'রমজান' মাস শুরু হতে পারে। সেইমতো তার পরদিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রমজান মাস শেষ হবে ২ মে। সেই হিসেবে ঈদ উদযাপিত হবে ৩ মে। তবে চাঁদ দেখার উপরই নির্ভর করছে রমজানের দিনক্ষণ।
রমজান মাসের রীতি-নীতি
ইসলামিক ক্যালেন্ডারের নবম মাসই হল রমজান মাস। আত্মসংযম, ধৈর্য, ত্যাগ, দান-ধ্যান, সহানুভূতি পালনের মধ্য দিয়ে পবিত্র রমজান মাস কাটান ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আল্লাহর স্মরণে নিজেদের মগ্ন রাখেন। পবিত্র রমজান মাসে গালি দেওয়া, হিংসা, মারামারি, পাপকার্য, মিথ্যা বলা এবং শারীরিক মিলন নিষিদ্ধ। এই সময়ে ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবনও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই মাসে, জীবনে পাওয়া সবকিছুর জন্য তাঁরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায় এবং দান-ধ্যানও করা হয়। অভাবী ও দরিদ্রদের সহায়তা করা হয়। এই কারণে মাসটিকে সৎ ও উপাসনার মাস বলা হয়।
রোজার নিয়ম
রমজান মাসে সূর্য ওঠার পরে এবং অস্ত যাওয়ার আগে কোনও কিছু খাওয়া বা পান করা বারণ। যাঁরা রোজা রাখেন, তাঁদের দিন শুরু হয় সেহরি বা সুহুরের মাধ্যমে। সূর্যোদয়ের আগে অর্থাৎ ভোররাতে সেহরি খেয়ে থাকেন রোজাদাররা। তারপর সারা দিন ধরে চলে নির্জলা উপবাস। রোজা চলার সময় জলও খাওয়া যায় না, এমনকি থুতু পর্যন্তও গেলা নিষিদ্ধ। সূর্যাস্তের পর নমাজ ও ইফতারের মাধ্যমে সেদিনের রোজা ভঙ্গ হয়।
তবে শিশু, গর্ভবতী মহিলা, যে সব মহিলা স্তনদুগ্ধ পান করান, অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজা পালন আবশ্যক নয়। এর পরিবর্তে তাঁরা 'ফিদিয়া'-র মাধ্যমে রোজার কর্তব্য পালন করতে পারেন। ফিদিয়া অর্থাৎ রমজানের সময় প্রতিদিন দরিদ্র ব্যক্তিদের খাবার দান করা যায়। আবার রমজানের কোনও দিন যদি কেউ রোজা পালন করতে অক্ষম থাকেন, সেক্ষেত্রেও ফিদিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ করা যেতে পারে। এছাড়া, ঋতুস্রাব চলাকালীন বা সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব হলেও রোজা রাখা উচিত নয়। পরে সেই ক্ষতিপূরণ করতে হয়।