For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সামনেই বিয়ে নাকি? তাহলে সেই সম্পর্কিত সব বাঁধা কাটাতে এই মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

বিয়ে যাতে নির্বিগ্নে সম্পন্ন হয়, তা সুনিশ্চিত করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

|

বিবাহ বন্ধনে বাঁধে না শুধু স্বামী-স্ত্রী। বাঁধে দুই পরিবারও। সেই সঙ্গে হাজারো মানুষের সমাগমে এ যেন এক মহাযজ্ঞের রূপ নেয়। তাই তা বিয়ের আগে এবং পরে হাজারো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। আর যদি হয় অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, তাহলে তো কথাই নেই! কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুই পরিবারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এমন মাত্রায় পৌঁছায় যে বেয়াইদের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। আর এসবের মাঝে বেচারা ফেঁসে যান হবু স্বামী-স্ত্রীরা। এমন করুন পরিস্থিতি আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা নিশ্চয় চান না?

উত্তরটা যে না হবে তা বলাই বাহুল্য! তাই তো বলি বন্ধুরা বিয়ে যাতে নির্বিগ্নে সম্পন্ন হয়, তা সুনিশ্চিত করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! আসলে শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রগুলি এতটাই শক্তিশালী যে বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনও বাঁধার পাহাড় সেরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বৈবাহিত জীবন যাতে সুখে-শান্তিতে কাটে, তার পথও প্রশস্ত হয়। তাহলে কী সিদ্ধান্ত নেলেন বন্ধুরা! প্রিয়জনের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে ঘর করতে চান, নাকি...!

প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে মন্ত্রগুলি নিয়মিত পাঠ করা জরুরি, সেগুলি হল...

১. পার্বতী ধেয়ানা স্লোক:

১. পার্বতী ধেয়ানা স্লোক:

শাস্ত্র মতে দেবী পার্বতীর এই শ্লোকটি নিয়মিত পাঠ করলে যে শুধু বিয়ে সংক্রান্ত নানাবিধ বাঁধার পাহাড় সরে যায়, এমন নয়। সেই সঙ্গে যাদের নানা কারণে বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে, তাদের মনের মতো জীবনসঙ্গী পেতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই পার্বতী মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে মাঙ্গলিক দোষ আছে যাদের, তাদের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "বালর্কয়ধা সুপ্রভাম কারাথালে রোল্বমালকৃষ্ণম মালাম সান্ধ্যাথেম মনহারা থানম মানাদসমিথোদিয়ামমুখাম মণ্ডম মান্দামমুপ্রেশুয়েশ ভারয়ীথাম শম্মুম জগনমোহনীম ভান্দে দেবী মুনিন্দ্র ভাণ্ডিথা পদ্ম ইষ্টরথাদহম পারবাথিম...।" এই শ্লোকটি যদি প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে ঠাকুর ঘরে বসে পাঠ করতে পারেন, তাহলে ফল পেতে দেখবেন সময় লাগবে না।

২. সোয়ামভারা পার্বতী মন্ত্র:

২. সোয়ামভারা পার্বতী মন্ত্র:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ের ১০৮ দিন আগে থেকে নিয়মিত ১০৮ বার যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা হয়, তাহলে বিয়ে সংক্রান্ত কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটে। প্রসঙ্গত, কিছু বইতে এমনও লেখা যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে তার প্রভাবে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল..."ওম হ্রিম ইয়োগিনিম যোগিনী যোগেশ্বরী যোগা ভয়ঙ্কারি সকলা স্থাভরা জনগমাস্যায়া মুখ হৃদয়ম মম ভাসামকার্ষা আচার্যয়া সোহা নমহঃ।"

৩. কাত্যায়নী মন্ত্র:

৩. কাত্যায়নী মন্ত্র:

মা দুর্গার এক রূপ হলেন মা কাত্যায়নী। শাস্ত্র মতে হাজারো চেষ্টার পরেও যাদের বিয়ে হচ্ছে না বা মনের মতো সঙ্গী মিলছে না, তারা যদি এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করেন, তাহলে সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বিয়ে চলাকালীন কোনও ধরনের সমস্যা বা মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই যদি চান নির্বিগ্নে কাটুক আপনার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি, তাহলে "কাত্যায়নী মহামায়ে মহা যোগিনীয়া ধিশ্বরী নন্দ গোপাসুতাম দেবী পাথি মে করু তে নমহঃ।", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, অবিবাহিত মেয়েরা এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার স্বপ্ন যেমন পূরণ হয়, তেমনি বৈবাহিত জীবন সুখে-শান্তিতে কাটে।

৪.মহামায়া মন্ত্র:

৪.মহামায়া মন্ত্র:

হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়ের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারা যায়, যুগ যুগ ধরে বিবাহ সম্পর্কিত নানা সমস্যা দূর করতে এই মন্ত্রটি জপ করা হয়ে আসছে। তাই তো বলি বন্ধুরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই যদি আপনার বিয়ে থাকে। তাহলে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে আপনার জীবনের সবথেকে আনন্দের দিনে দুঃখের ছোঁয়া লাগার সম্ভাবনা যাবে কমে। সেই সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও দূরে পালাবে। প্রসঙ্গত, বিয়ের অন্তত দুমাস আগে থেকে প্রতিদিন সকালে উঠে স্নান সেরে পাঠ করতে হবে "সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিব সর্বার্থ সাধিকে শরণ্যে ত্রমবকে গৌরি, নারায়ণি নমোস্থুতে", এই মন্ত্রটি। এক্ষেত্রে অরেকটা জিনিস জেনে রাখা প্রয়োজন যে এই মন্ত্রটি হবু স্বামী এবং স্ত্রী যদি নিয়মিত পাঠ করেন, তাহলে পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া যেমন লাগে, তেমনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়।

Read more about: ধর্ম
English summary

Prayers For Marriage-Mantras To Remove Obstacles

The delay in marriage attributed to one's Karma Phalan or the result of one's actions in the previous births can be overcome by reciting certain powerful Hindu mantras. Most of the marriage Mantras are attributed to Goddess Parvati or Devi who bestows individuals with good life partners.
Story first published: Thursday, April 19, 2018, 11:13 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion