Just In
রাশি অনুযায়ী নানা সুফল পেতে কোন দেব-দেবীকে কীভাবে পুজো করতে হয় জানা আছে?
জন্মকুষ্টি অনুযায়ী যে, যে রাশির জাতক-জাতিকা, সেই অনুযায়ী তাদের ভাগ্য এবং জীবন পথ নির্ধারিত হয়ে থাকে।
জন্মকুষ্টি অনুযায়ী যে, যে রাশির জাতক-জাতিকা, সেই অনুযায়ী তাদের ভাগ্য এবং জীবন পথ নির্ধারিত হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে গ্রহের প্রভাবে প্রতিটি রাশির উপর এক এক জন দেবতার প্রভাব বেশি থাকে। তাই তো রাশি অনুসারে দেব-দেবীদের পুজো করলে দারুন সব উপকার মিলতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। এই কারণেই তো জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা রাশি অনুযায়ী দেব-দেবীদের আরাধনা করার পরামর্শ যেমন দিয়ে থাকেন, তেমনি সর্বশক্তিমানের পুজো কীভাবে করা উচিত, সে সম্পর্কেও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেন। আসলে এই নিয়মগুলি মেনে চললে দুঃখের জালে জীবনের প্রতিটি দিন জড়িয়ে পরার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর থাকে না।
মজার বিষয় কি জানেন, রাশি অনুযায়ী দেব-দেবীদের পুজো করলে নানাবিধ উপকার তো পাওয়া যায়ই। কিন্তু বেশিরভাগই জানেন না তাদের রাশি অনুযায়ী কীভাবে নিত্য পুজো করতে হয়। তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই লেখায় প্রতিটি রাশির রুলিং দেবতাদের সম্পর্কে যেমন আলোচনা করা হয়েছে, তেমনি কীভেব সেই দেব-দেবীদের আরাধনা করতে হয়, সে সম্পর্কেও আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে...
১. মেষরাশি:
এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় চঞ্চল মনের হয়ে থাকেন। তাই তো এদের নিয়মিত হনুমানজির পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, দেবের অরাধনা করার সময় তার কপালে লাল সিঁদুর লাগিয়ে একটা লাল কাপড় হনুমানজির ছবি বা মূর্তির সামনে রেখে যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে মন শান্ত হয়। সেই সঙ্গে মনোবল বৃদ্ধি পায়, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে এবং খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
২. বৃষরাশি:
বদরাগী এবং জেদি মানসিকতার হন এই রাশির অধিকারিরা। তাই জীবনের নানা বাঁকে এদের নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণে এদের নিয়মিত দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, প্রতি মঙ্গলবার দুধ দিয়ে শিব ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি ভাল করে স্নান করিয়ে চন্দনের লেপ দিয়ে মূর্তি বা ছবির সারা শরীরে লাগিয়ে এক মনে "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি জপ করলে, জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৩.মিথুনরাশি:
মন শান্ত করে কোনও কাজ করা এদের ধাতে নেই। যে কোনও বিষয়েই এরা দোটানায় থাকেন। তাই তো নানা সময় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে নিজের এমন ক্ষতি করে বসেন যে কোনও ভাবেই সেই ক্ষতিকে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই কারণেই তো মিথুনরাশির জাতক-জাতিকাদের ভগবান কৃষ্ণের অরাধনা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন জ্যোতিষীরা। প্রসঙ্গত, শ্রী কৃষ্ণের পুজো করার সময় ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে এক মনে দেবের নাম নিয়ে যেতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে দেখবেন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে পরিবারে। শুধু তাই নয়, বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যাবে কমে।
৪.কর্কটরাশি:
খোলা মনের হন এই রাশির জাতক-জাতিকার। শুধু তাই তাই নয়, বেজায় ইমোশনাল হওয়ার কারণে ছোট-ছোট বিষয়ে এরা দুঃখ পেয়ে যান। তাই তো ক্যান্সার রাশির অধিকারিদের প্রতি সোমবার ভগবান শিবের অরাধনা করা উচিত। দুধ, চন্দন দিয়ে দেবের অরাধনা করলে দেখবেন মনের জোর বাড়বে। সেই সঙ্গে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যাবে কমে। ফলে কারও পক্ষেই আপানার কোনও ক্ষতি করা সম্ভব হয় উঠবে না।
৫.সিংহরাশি:
রাগী প্রকৃতির হওয়ার কারণে এদের ইতি-উতি ফাঁদে পরার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি চারিত্রিক দোষের কারণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু আপনি যদি সিংহরাশির জাতক-জাতিকা হয়ে থাকো, তাহলে প্রতি রবিবার সূর্য দেবকে জল দান করতে ভুলবেন না যেন! এমনটা নিয়মিত করলে দেখবেন যে কোনও ধরনের সমস্যা কমে যেতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, চরিত্রেও বদল আসবে। ফলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে উঠবে।
৬.কন্যারাশি:
এরা যেমন স্বার্থপর হন, তেমনি বেজায় মনি মাইন্ডেডও হয়ে থাকেন। তাই তো এদের নিয়মিত মা দূর্গার অরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে এই ধরনের ধ্বংসাত্বক মানিসকার পরিবর্তন হতে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল, মা দূর্গার অরাধনা করার সময় মায়ের ছবি বা মূর্তির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যাবে।
৭.তুলারাশি:
"কেয়ারলেস" কথার মানে নিশ্চয় জানা আছে? কেন এমন প্রশ্ন করছি তাই ভাবছেন নিশ্চয়! আসলে এই রাশির জাতক-জাতিকারা একেবারেই এই ধরনের হয়ে থাকেন। তাই তো এমন স্বভাবের কারণে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে জন্য তুলারাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত সাদা ফুল নিবেদন করে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৮. বৃশ্চিকরাশি:
ধিমে-তালে কাজ করার মানসিকতা রয়েছে এদের। এই কারণেই তো বৃশ্চিকরাশির অধিকারিদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বেজায় কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, আপনি যদি এই রাশির জাতক বা জাতিকা হয়ে থাকেন, তাহলে প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার লর্ড হনুমানের পুজো করতে ভুলবেন না। আর আরাধনা করার সময় দেবের সামনে তুলসি পাতা নিবেদন করতে হবে। কারণ এমনটা করলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৯.ধনুরাশি:
কোথায় কোন কথাটা বলতে হয় তা এই রাশির জাতক-জাতিকাদের একেবারেই জানা নেই। শুধু তাই নয়, মুখের উপর অপ্রীতিকর কথা বলে দিতেও এদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এই কারণেই তো এমন মানুষদের খুব একটা কেউ পছন্দ করেন না। তবে চিন্তা নেই! আপনিও যদি এই রাশির অধিকারি হয়ে থাকেন, তাহলে সূর্য দেবের অরাধনা করা শুরু করুন। দেখবেন স্বভাবে পরিবর্তন আসবে। ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে। প্রসঙ্গত, দেবের অরাধনা করার সময় সাদা রঙের মিষ্টি নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন!
১০. মকররাশি:
শরীরের বিষয়ে এরা একেবারেই সিরিয়াস হন না। তাই তো ছোট-বড় নানা রোগ ঘারে চেপে বসে। তবে একটা উপায়ে এমন ধরনের পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা যেতে পারে কিন্তু! কীভাবে? নিয়মিত ভগবান শিবের অরাধনা শুরু করুন। দেখবেন শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে যে শরীর বাবাজির কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই থাকবে না।
১১. কুম্ভরাশি:
চন্দন ধূপ জ্বালিয়ে নিয়মিত শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করতে হবে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের। কারণ এমনটা করলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে।
১২.মীনরাশি:
এরা নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে একেবারে ওয়াকিবহাল হন না। ফলে সফলতার স্বাদ পেতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বেজায় কষ্ট সহ্য করতে হয়। কিন্তু যদি চান আপনার জীবনের ছবিটা বদলে যাক, তাহলে গণেশ ঠাকুরের পুজো করতে ভুলবেন না যেন! প্রতিদিন দেবের সামনে লাড্ডু নিবেদন করে যদি পুজো করতে পারেন, তাহলে সুফল মিলতে দেখবেন দেখবেন সময় লাগবে না।