Just In
দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কি বন্ধু? তাহলে এই মন্ত্রগুলি পাঠ করুন দেখবেন কষ্ট দূর হবেই হবে!
আজ বোল্ডস্কাই বাংলার এই প্রবন্ধে এমন কিছু বৈদিক মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা এতটাই শক্তিশালী যে তা পাঠ করলে দুঃখ-কষ্ঠ দূর হতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে অফুরন্ত অর্থের সন্ধান মিলবে।
বড়রা বলে জীবন থাকলে কষ্ট তো থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে কোনও কোনও সময় সেই কষ্ট সহ্য করা বড়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মন তো তখন ভারি হয়ে যায়ই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কও এমন খেল খেলতে শুরু করে যে আনন্দ যেন মরীচিকার মতো দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে জ্ঞান শুনতে ভাল লাগে না, বরং আশার বুক বাঁধতে ইচ্ছা করে। কিন্তু তাও কোনও সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই কারণেই তো বন্ধু, আজ বোল্ডস্কাই বাংলার এই প্রবন্ধে এমন কিছু বৈদিক মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা এতটাই শক্তিশালী যে তা পাঠ করলে দুঃখ-কষ্ঠ দূর হতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে অফুরন্ত অর্থের সন্ধান মিলবে। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যাবে যে পরিবারিক শান্তি বিগ্নিত হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে।
এই মন্ত্রগুলি পাঠ করতে হবে দৈনিক ১০৮ বার। এতবার মন্ত্রটি পাঠ করার পরামর্শ এই কারণে দেওয়া হচ্ছে, কারণ শাস্ত্রে বলে, যে কোনও মন্ত্র ১০৮ বার পাঠ করলে তার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে আমাদের দেহের অন্দরে যে চক্রগুলি আছে সেগুলি এত মাত্রায় অ্যাকটিভ হয়ে যায় যে দৈহিক এবং মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার।
এখন প্রশ্ন হল দুঃখ-কষ্ট দূর করতে কী কী মন্ত্র পাঠ করা জরুরি?
১. ওম মন্ত্র:
বৈদিক মন্ত্রগুলির মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হল এই মন্ত্রটি। শুধু তাই নয়, ওম হল সারা বিশ্বের শব্দ, "দা সাউন্ড অব ইউনিভার্স"। তাই তো নিয়মিত ১০৮ বার এই মন্ত্রটি জপ করলে মন শান্ত হয়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, খারাপ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে জয়ের পথ যে প্রশস্ত হয়, তা কি আর বলে দিতে হবে বন্ধুরা! এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হল, গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের যুব সমাজের মধ্যে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। এই কারণে তো বলি বন্ধুরা, দীর্ঘদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে প্রতিদিন "ওম" মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. ওম নমঃ শিবায়:
ভগবান শিব হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো একবার এই শক্তির সন্ধান পেয়ে গেলে সুখের হদিশ পেতে সময় লাগে না! তাই তো বলি দুঃখের মার থেকে বাঁচতে যদি চান, তাহলে নিয়মিত "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করলে যে শুধু সুখের ঝাঁপি ভরে ওঠে, তা নয়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন- মনের জোর বাড়ে, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়, গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। এক কথায় সুখে-শান্তিতে বাঁচতে এ জীবনে যা কিছুর প্রয়োজন পরে, তা সবই মেলে এই শিব মন্ত্রটি জপ করলে।
৩. সুখ মন্ত্র:
"লোকা সমস্তা সুখিনু ভবতু", এই মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে উঠে জপ করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। আর কোনও খারাপ ঘঠনা যদি না ঘটে, তাহলে মন খারাপ হবে কেমন করে বলুন! তাই যদি অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান পেতে চান, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. শান্তি মন্ত্র:
শাস্ত্রে বলে ঘুম থেকে ওঠার পর এই মন্ত্রটি জপ করলে সারা দিনটা ভাল যায়। আর এক একটা দিন যখন আনন্দে কাটতে শুরু করে, তখন ৩৬৫ দিনই যে আনন্দে ভরে ওঠে, সে বিষয়ে কি কোনও সন্দেহ থাকে বন্ধু! কথায় বলে বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়। আর সুখে কীভাবে থাকা যায়, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও সাধুরা এই একই কথা বলে থাকেন। প্রতিদিন সুখে থাকুন। তাহলেই দেখবেন সুখের সাগরে ডুবকি লাগানোর সুযোগ একদিন ঠিক এসেই যাবে। প্রসঙ্গত, যে সুখ মন্ত্রটি পাঠ করলে প্রতিদিন আনন্দে ভরে ওঠে, সেটি হল: "ওম সোয়োহা নাভাবাতু, সোয়াহা নউ ভুনাকতু, সোয়াহা ভিরানইয়াম কর্ববাহি, তেজাসভি অবধিতামাস্তু মা ভিদবিসাবাহি নমঃ"।
৫. শ্রী গণেশ মন্ত্র:
শাস্ত্রে বলে দুঃখ দূর করতে গণেশ মন্ত্রের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ ভগবান গণেশ হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে "ওম গাম গনপাতায়া নমহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করতে করতে গণেশ ঠাকুরের পুজো করলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কর্মজীবন থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই তুমুল সাফল্যের স্বাদ মেলে, প্রশস্ত হয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথও। তাই তো বলি বন্ধু যখনই দেখবেন মনটা পাগলা ঘোড়ার মতো ছটফটে করছে, তখনই এই মন্ত্রটি জপ করবেন, দেখবেন সুখের জোয়ার আসতে সময় লাগবে না।