Just In
মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে কী কী মন্ত্র জপ করা মাস্ট সে সম্পর্কে জানা আছে?
দুর্গাপুজো, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই আসতে চলেছে দীপাবলি। গোটা ভারতে ধুমধাম করে পালিত হয় এই উৎসব। চারিদিকে আলোয় ঝলমল করে এইসময়। দীপাবলির সময় মা লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করা হয়, কিন্তু প্রশ্ন হল লক্ষ্মী পুজোর দিন মায়ের মন জয় করবেন কীভাবে?
এই প্রশ্নর উত্তর জানতে হলে বাকি প্রবন্ধটা একবার পড়ে ফলতেই হবে। কিন্তু মনে যদি প্রশ্ন জাগে, সময় ব্যয় করে কেন পড়বেন লেখাটি। তাহলে বলতে হয় বন্ধু হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে বছরের এই বিশেষ দিনটিতে যদি ঠিক ঠিক মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি মায়ের অরাধনা করা হয়। তাহলে সুখ এবং সমৃদ্ধির দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে মনের ছোট ইচ্ছাও পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আরও এমন কিছু উপকার মেলে, যে সম্পর্কে আপনি ভাবতেও পারবেন না।
তাহলে এখন প্রশ্ন হল এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে মায়ের পুজোর আয়োজন করলে আরও কী কী উপকার মিলতে পারে...?
১.অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
মা লক্ষ্মী হলেন অর্থ এবং সমৃদ্ধির দেবী। তাই তো মাকে একবার প্রসন্ন করতে পারলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে নানাবিধ মন্ত্র পাঠ করতে করতে মায়ের পুজো করলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সঞ্চয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। তাই তো বলি বন্ধু, জীবনের ক্যানভাসটিকে যদি নানা রঙে রঙিয়ে তোলার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই লেখায় আলোচনা হতে চলা মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালায়। শুধু তাই নয় শরীরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো মহিলাদের এই বিশেষ দিনে এই মন্ত্রগুলিপাঠ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. ব্যবসায় চরম উন্নতির স্বাদ মেলে:
আপনি কি কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত? তাহলে বন্ধু কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন এই প্রবন্ধে আলোচিত হওয়া যে কোনও একটি শক্তিশালী লক্ষ্মী মহা মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা করলে গৃহস্থে মায়ের প্রবেশ ঘটে। ফলে ব্যবসায় একের পর এক সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মিটে যেতেও সময় লাগে না।
৪. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! আগামী কাল মায়ের মন জয় করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি প্রমোশন পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু ৩০ পেরতে না পেরতেই যদি বাড়ি,গাড়ি এবং মোটা মাইনের মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে কাল যে কোনও একটা লক্ষ্মী মহা মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৫. খারাপ শক্তির প্রকোপ কমে যায়:
বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মানতেই হবে যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ বা খারাপ শক্তিও। আর কোনওভাবে যদি এই খারাপ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনি হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনার কবলে পরার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ বিপদ থেকে বাঁচাতে আগামী কাল মা লক্ষ্মীর পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন!আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মন্ত্র পাঠ করতে করতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন দেবীর আরধনা করলে মা এতটাই খুশি হন যে তাঁর আশীর্বাদে বাড়ির প্রতিটি অংশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ঘর ছাড়া হতে সময় লাগে না।
৬.মনের যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হয়:
গৃহস্থে যখন পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয়, তখন মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
৭. পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে:
শাস্ত্র মতে এদিন মায়ের পুজো করার পাশাপাশি লক্ষ্মী মহা মন্ত্র পাঠ করলে বাচ্চাদের মনোযোগ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের বাকি সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, যারা ব্যবসা করেন, তারা যদি তাদের অফিসে মায়ের মূর্তি রাখতে পারেন, তাহলে ব্যবসায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে আগামী কাল কী কী মন্ত্র পাঠের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, উপরে আলোচিত সুফলগুলি পেতে যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করা জরুরি, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে...
১. চরম অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে:
শাস্ত্র মতে আগামী কাল দেবীর অরাধনা করার সময় যদি "ওম শ্রিম মহা নক্ষ্মী মায়া নমহ", এই মন্ত্রটি এক মনে ১০৮ বার জপ করা যায়, তাহলে দেবীর আশীর্বাদে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে দেখবেন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে।
২. পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে:
খেয়াল করে দেখবেন কোনও না কোনও কারণে আজকের দিনে আমার সবাই দুখি। তাই তো কোনও গৃহস্থেই আজকাল সুখের হদিস পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি চান, তাহলে কিন্তু সারা জীবন আপনার গৃহস্থে কোনও দিন কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। যদি ভাবেন কী করে সম্ভব এমনটা। তাহলে তার একটাই উত্তর। কাল বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করুন। আর মায়ের অরাধনা করার সময় "ওম হ্রিম শ্রিম ক্লিম মহা লক্ষ্মী নমহ", এই মন্ত্রটি এক মনে জপ করতে ভুলবেন না। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন কোনও দুঃখই আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
৩. বৈবাহিক জীবনে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু। মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে পারলে বাস্তবিকই কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তবে মায়ের মন জয় করতে আগামী কাল লক্ষ্মী মায়ের পুজো করার সময় "ওম শ্রিম শ্রি-আই নমহ", এই মন্ত্রটি পাঠ রকতে ভুলবেন না যেন!
৪. মায়ের আশীর্বাদে নানাবিধ সুফল লাভ করতে:
"ওম মহা দয়াভিচ ভিদমাহে, বিষ্ণু পত্নীচ ধিমাহে, তানো লক্ষ্মী প্রাচোদায়াত", এই মন্ত্রটি জপ করত করতে করতে যদি আগামী কাল মায়ের আরাধনা করা যায়, তাহলে নাকি গৃহস্থে দেবীর আগমণ ঘটে। আর যে বাড়িতে স্বয়ং মা লক্ষ্মী নিজ আসন পাতেন, সেই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে...!