Just In
প্রতি বুধবার ওম শ্রী গণেশায় নমহ মন্ত্রটি জপ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে দেব জাগ্রত হয়ে ওঠেন। ফলে তাঁর আশীর্বাদে আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
শাস্ত্র মতে বুধবার হল গণপতি বাপ্পার অরাধনা করার দিন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন যদি এক মনে বাপ্পার পুজো করা যায়, তাহলে একাধিক উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আর যদি গণেশ ঠাকুরের অরাধনা করার পর "ওম শ্রী গণেশায় নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে দেব জাগ্রত হয়ে ওঠেন। ফলে তাঁর আশীর্বাদে আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে খারাপ শক্তির প্রভাব তো কমেই, সেই সঙ্গে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যেমন ধরুন...
১. শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বুধবার কম করে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি জপ করলে আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে থাকা প্রতিটি চক্র অ্যাকটিভেট হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটাই বেড়ে যায় যে ছোট-বড় সব রোগ-ব্যাধি দূরে পালাতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির ধার তো বাড়ে চাখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয়, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. সফলতা লাভের সম্ভাবনা বাড়ে:
শাস্ত্র মতে নতুন কোনও কাজ শুরু করার আগে যদি এই মন্ত্রটি একবার জপ করে নেওয়া যায়, তাহলে খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর ভাগ্য যখন সঙ্গে থাকে, তখন চরম সফলতার স্বাদ পেতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
৩. সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে জীবনে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা শুরু করলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে খারাপ শক্তির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে গৃহস্তে। আর এমনটা যখন হয়, তখন কোনও দুঃখই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই তো বলি পাঠক বন্ধু, চরম সুখের সন্ধান যদি পেতে হয়, তাহলে প্রতি বুধবার "ওম শ্রী গণেশায় নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. প্রতিপক্ষরা কোনও ক্ষতিই করে উঠতে পারবে না:
একথা তো মানেন যে আমরা যত উন্নতির সিঁড়িতে উপরের দিকে উঠতে থাকি, তত প্রতিপক্ষদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর এদের মধ্যে অনেকেই যে ক্ষতি করার জন্য মুখিয়ে থাকে, তা তো বলাই বাহুল্য! এই কারণেই তো বলছি বন্ধু, এইসব প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটুক, এমনটা যদি চান, তাহলে এই গণেশ মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই মন্ত্রটি পাঠ করলে গণপতি বাপ্পা এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না।
৫. যে কোনও সমস্যা মিটে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ ঝুট-ঝামেলাও মিটে যায়। ফলে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি পুনরায় ফিরে আসে জীবনে। প্রসঙ্গত, অফিসে কি একের পর এক ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে? তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে দেখবেন সব সমস্যা ধীরে ধীরে মিটে যেতে শুরু করবে।
৬. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেবতা এবং শাস্ত্র মতে গণেশ দেব যে গৃহস্থে আসন পাতেন, সেখানে ধন দেবী মা লক্ষ্মীরও প্রবেশ ঘটে। আর গণেশ ঠাকুর এবং মা লক্ষ্মী যখন সহাবস্থান করেন, তখন অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য। আর ঠিক এই কারণেই "ওম শ্রী গণেশায় নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই মন্ত্রটি পাঠ করলে গণেশ ঠাকুর বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় চোখের পলকে।
৭. ভয় দূর হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০০৮ বার পাঠ করা শুরু করলে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা সব ভয় দূরে পালায়। ফলে আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়ে যায় যে, যে কোনও বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে কোনও সমস্যাই হয় না।