Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 12 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 17 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
Nirjala Ekadashi 2021 : পুণ্যলাভের জন্য পালন করুন নির্জলা একাদশীর ব্রত, জানুন এর শুভক্ষণ, গুরুত্ব ও ব্রতকথা
জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে নির্জলা একাদশী বা ভীমসেন একাদশী পালিত হয়। একাদশী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, এই ব্রত পালন করলে বছরের সমস্ত একাদশী ব্রতর সমান পুণ্য ফল প্রাপ্তি হয়। পুরাণ মতে, একে পাণ্ডব একাদশী ও ভীম একাদশীও বলা হয়। নির্জলা উপবাস করে এই একাদশী ব্রত পালিত হয় বলে একে নির্জলা একাদশী বলা হয় অর্থাৎ ব্রত শেষ হওয়ার পর জল গ্রহণের বিধান রয়েছে এই একাদশীতে।
ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য একাদশী তিথি সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। বিষ্ণুর কৃপায় জীবনের সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি মেলে। তাহলে জেনে নিন এবারের নির্জলা একাদশীর দিন-ক্ষণ ও গুরুত্ব।
২০২১ সালের নির্জলা একাদশীর দিন-ক্ষণ
নির্জলা একাদশী ব্রত - ২১ জুন, সোমবার
একাদশী তিথি শুরু - ২০ জুন, বিকেল ০৪টা ২১ মিনিটে
একাদশী তিথি শেষ - ২১ জুন, দুপুর ০১টা ৩১ মিনিটে
ব্রত ভঙ্গের সময়- ২২ জুন, সকাল ০৪টা ৫৩ মিনিট থেকে সকাল ০৭টা ৩৫মিনিট পর্যন্ত।
নির্জলা একাদশী পূজা বিধি
এই দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। স্নান সেরে পরিষ্কার বস্ত্র পরুন। পূজার ঘর পরিষ্কার করুন এবং ব্রতর সঙ্কল্প গ্রহণ করুন। এবার ভগবান বিষ্ণুর পূজা শুরু করুন। পুজোর পরেও সারা দিন তাঁর নাম স্মরণ করতে থাকুন। এই দিন নির্জলা উপবাস পালন করুন। পরের দিন সকালে সূর্যোদয়ের পর পুজো করে দরিদ্র ও ব্রাহ্মণদের দান বা ভোজন করান। ঈশ্বরকে ভোগ নিবেদন করে সেই প্রসাদ গ্রহণ করুন। এই দিনে যিনি দান করেন, তিনি দীর্ঘায়ু হওয়ার আশীর্বাদ পান এবং পুণ্য অর্জন করেন।
নির্জলা একাদশীর ব্রত কথা
নির্জলা একাদশী ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করে পালন করা হয়। নির্জলা একাদশীর ব্রত কথা অনুসারে, একবার পান্ডু পুত্র ভীম মহর্ষি বেদব্যাস-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে পরম শ্রদ্ধেয় মুনিবর! আমার পরিবারের সকলেই একাদশী ব্রত পালন করে এবং আমাকেও ব্রত পালন করতে বলে। কিন্তু, আমি ক্ষুধার্ত থাকতে পারি না, তাই আপনি আমাকে দয়া করে বলুন যে বিনা উপবাসে কীভাবে একাদশীর ফল পাওয়া যাবে। ভীমের এমন অনুরোধে জি বললেন- পুত্র! তুমি জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের একাদশীর দিন নির্জলা ব্রত করো। এই দিনে খাদ্য এবং জল উভয়ই ত্যাগ করতে হয়। যে ব্যক্তি একাদশী তিথির সূর্যোদয় থেকে দ্বাদশী তিথির সূর্যোদয় পর্যন্ত জল পান না করে থাকে এবং সত্যই নিষ্ঠার সহিত নির্জলা ব্রত পালন করে, তিনি বছরে যতগুলি একাদশী আসে সেই সকল একাদশীর ফল এই একটি ব্রত করে পেয়ে যান। তখন ভীম বেদব্যাস-এর এই আদেশ পালন করে নির্জলা একাদশীর উপবাস করেছিলেন। সেই দিন থেকেই প্রতি বছর এই একাদশী পালিত হয়।