Just In
- 4 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 5 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 7 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 11 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
চুরান্ত অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে চান? তাহলে নিয়মিত এই মন্ত্রগুলি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
জীবনে যাতে কখনও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হতে না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত গণেশ ঠাকুরের মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন পকেট খালি হওয়ার ভয় ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
টাকার প্রয়োজন কার না পরে বলুন! দৈনন্দিন জীবনকে সুন্দর করে তুলতে, ভালবাসার মানুষদের ছোট-বড় ইচ্ছা পূরণ করতে এবং অবশ্যই একটি সুন্দর জীবন পেতে টাকার প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই তো জীবনে যাতে কখনও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হতে না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত গণেশ ঠাকুরের মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন পকেট খালি হওয়ার ভয় ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
শ্রী গণেশকে প্রসন্ন করতে একাধিক মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায় হিন্দু শাস্ত্রে। প্রতিটি মন্ত্রের সঙ্গেই অর্থনৈতিক উন্নতির যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রগুলি নিয়মিত পাঠ করলে জীবনে চলার পথে কখনও বাঁধার সম্মুখিন হতে হয় না। সেই সঙ্গে কষ্টের স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
প্রসঙ্গত, বৈদিক যুগে লেখা একাধিক গ্রন্থে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে গণেশ ঠাকুরের এই মন্ত্রগুলি যদি ১,২৫,০০০ বার ঠিক মতো উচ্চারণ করে পাঠ করা যায়, তাহলে কষ্ট তো ছাড়ুন, কোনও কারণেই আপনার বিজয় রথ থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। আপনি চাকরি করুন কী ব্যবসা, উন্নতি আপনার চিরসঙ্গী হবে। শুধু তাই নয়, পকেট ভরে যাবে টাকায়। আর একবার পর্যাপ্ত অর্থ আপনার হাতে এসে গেলে জীবনটা যে কতটা সহজ হয়ে যাবে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
নিয়মিত অল্প কিছুটা সময় ব্যয় করে গণেশ মন্ত্র পাঠ করলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. মন শান্ত হয় এবং রাগ কমে যায়:
খেয়াল করে দেখুন নানা কারণে আজকাল আমরা এতটাই মানসিক চাপের মধ্যে থাকি যে সব সময় মন কেমন যেন চঞ্চল অবস্থায় থাকে। কোনও কিছুতেই যে আনন্দের সন্ধান পেতে পারি না আমরা। শুধু তাই নয়, চুরান্ত শান্তির সন্ধান পাওয়ায় যেন আজ দূরস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই কেমন যেন মনে ভয়েকে সঙ্গী করে দৌড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে "ইনার পিস" বা শান্তির সন্ধান পেতে পাঠ করা শুরু করুন "ওম নমঃ সিদ্ধি ভিনায়াকা সার্ভা কারিয়া কার্তে সার্ভা বিগ্নপ্রশমনায় সর্বরাজ্য ভাশায়াকার্নায়া সর্জন সার্বাস্ত্রি পুরুশ আকর্ষনায় শ্রিং ওম সোয়াহা", এই মন্ত্রটি দিনে ১০৮ বার পাঠ করুন। এমনটা করলে দেখবে মন শান্ত হবে। সেই সঙ্গে রাগ কমতে থাকবে। কমবে খিটখিটে মেজাজও। শুধু তাই নয়, সমাজে সফল একজন মানুষ হয়ে উঠতে এই মন্ত্রটি প্রতিটি পদে আপনাকে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে স্পিরিচুয়াল এনলাইটমেন্টের পথও প্রশস্ত হবে আপনার সামনে। আর একবার ধর্মের রাস্তায় হাঁটা শুরু করলে দেখবেন মন এতটাই আনন্দে ভরে যাবে যে দুঃখ ধারে কাছে ঘেঁষারও সুযোগ পাবে না।
২. পজেটিভ এনার্জির ক্ষমতা বাড়বে:
স্পিরিচুয়ালিটির উপর লেখা একাধিক বইয়ের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন পজেটিভ শক্তির ক্ষমতা সম্পর্কে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আমাদের শরীরের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করলে রোগ ভোগের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল, পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটবে কীভাবে? এক্ষেত্রে নিয়মিত "গণেশ মোলা মন্ত্র" পাঠ করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন আপনাকে ঘিরে ধরবে পজেটিভ শক্তি। ফলে উন্নতির স্বাদ পেতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "ওম শ্রিম হ্রিম ক্লিম গ্লোম গাম গানাপাতায়া ভারা ভারাদ সর্বজন জন্মে ভাশামানায়া সোয়াহা তাৎপুরুশুয়া ভিদমাহু ভাক্রাতুন্ডায়া ধিমাহি তানো ধান্তি প্রাচোদায়াত ওম শান্তি শান্তি শান্তি"।
৩. মোল মন্ত্রের আরও ক্ষমতা:
শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুরে যদি প্রসন্ন করতে হয় তাহলে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করতে হবে। কারণ মোল মন্ত্রের থেকে শক্তিশালী আর কোনও মন্ত্রের হদিশ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে জীবন পজেটিভ শক্তিতে ভরে যায়। সেই সঙ্গে শরীর এবং মন পবিত্র হয়ে ওঠে। ফলে খারাপ কোনও চিন্তা আমাদের প্রভাবিত করতে পারে না। ফলে আকারণ দুশ্চিন্তার হাত থেকে রক্ষা মেলে।
৪. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে:
অল্প সময়েই অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান? তাহলে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন ফল পেতে সময় লাগবে না। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে তা পাঠ করা শুরু করলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা মিটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে লোনের বোঝাও কমে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল..."ওম গণেশা রিনাম চিন্ধি ভারেনিয়াম হং নামাহ ফুট"।
৫. চক্ররা অ্যাকটিভ হয়:
আমাদের শরীরের অন্দরে সাতটি চক্র রয়েছে। এই চক্রগুলি অ্যাকটিভ হলে সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও চেখে পরার মতো উন্নতি ঘটে। প্রসঙ্গত, শরীরের এই এনার্জি পয়েন্টগুলি যত অ্যাকটিভ হয়, তত পজেটিভ শক্তিতে ভরে ওঠে আমাদের শরীর। আর এমনটা হলে কোনও ধরনের শারীরিক কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, নিয়মিত গণেশ মন্ত্র পাঠ করলে চক্রগুলি অ্যাকটিভ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো নিয়মিত যে কোনও একটি গণেশ মন্ত্র পাঠ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৬. কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে "ওম বাক্রাতুন্ডায়া হাম", এই মন্ত্রটি ১০০৮ বার পাঠ করলে যারা খারাপ করতে চান, তাদের কুদৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাবও কমে। তাই যদি মনে হয় আপনার চারিপাশে ইর্ষান্বিত লোকের সংখ্যা বাড়ছে, তাহলে প্রতিদিন এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
গণেশ মন্ত্র পঠ করার আগের নিয়ম:
শ্রী গণেশের আরাধনা শুরু করার আগে স্নান করে নিতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে আরও যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...১. এক মনে মন্ত্রটি জপ করতে হবে ২. টানা ৪৮ দিন মন্ত্রটি জপ করলে তবেই মিলতে শুরু করবে ফল ৩. যে কোনও মন্ত্রই দিনে ১০৮ বার পাঠ করতে হবে। তবেই মিলবে উপকার।