Just In
- 14 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 15 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 20 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
এই মন্ত্রগুলি পাঠ করলে দেখবেন কোনও দুর্ঘটনা, কোনও সমস্যা, এমনকী কোনও দুঃখও আপনাকে ছুঁতে পারবে না!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছে, যা নিয়মিত পাঠ করলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
প্রথমে পোস্তা। এবার মাঝেরহাট। আর কত ব্রিজ ভাঙবে বলতে পারেন! কোনও উত্তর নেই। সরকার চুপ, চুপ আমরাও। আসলে ওই যে কথায় বলে না পাবলিকের মেমরিতে এতই ফোঁটে যে এমন বড়সর ঘটনাও দুদিনে ফুরুৎ করে গলে অতীত হয়ে যায়। আর আমরা পুনরায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ মুখ গুঁজে আরেক ভাঙা ব্রিজের উপর দিয়ে বাসে-ট্রামে অফিস মুখি হই। আর অপেক্ষাই থাকি আরেকটা ব্রিজ ভাঙার।
তর্কের খাতিরে বলতে পারেন "ভাগ্যে থাকলে বাঁচায় কে"। ঠিক, একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু সেই ভাগ্যকে যদি নিজের মুঠিতে আনা যায়, তাহলে...সত্যিই কি ভাগ্যকে ফেরানো সম্ভব? একেবারেই! তবে তার জন্য যে বন্ধু বিশ্বাসের ভিতটাকে একটু মজবুত করতে হবে! কারণ বিশ্বাসেই যে মিলায় বস্তু, আর তর্কে বহু দূর। আসলে বিশ্বাসের কথা এই কারণে বলছি, কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু মন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছে, যা নিয়মিত পাঠ করলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, যে কোনও সমস্যা এবং দুঃখ দূর হতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে ভিকটিমদের লিস্টে দেখতে না চাইলে এই লেখায় একবার চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
এত দূর পড়ার পরেও যারা দোলা চলে ভুগছেন, তাদের একটা কথাই বলতে চাই। সাদগুরু যেমনটা বলে থাকেন, "বিশ্বাসকে শক্তপোক্ত করুন, দেখবেন অবিশ্বাস আপনা থেকেই মারা পরবে।" তাই তো বলি বন্ধু, মনে হয় সময় এসেছে বিশ্বাসকে মজবুত করার। না হলে যে...
প্রসঙ্গত, যে যে মন্ত্রগুলি আমাদের সুরক্ষিত রাখতে পারে, সেগুলি হল...
১. দূর্গা গায়েত্রী মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে যে কোনও সমস্যা দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে যারা আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাদেরও নিকেশ ঘটে চোখের পলকে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি সুখের ঝাঁপি খালি হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"আম মাহে দিব্যায় চে বিদমাহে দূর্গাওই চে ধিমাহে তানো ধিবি প্রাচোদায়াৎ।"
২. রুদ্রমালা তন্ত্র মন্ত্র:
তন্ত্র সাধনা যারা করে থাকেন, তারাই মূলত এই মন্ত্রটির কথা জেনে থাকবেন। কারণ এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি পাঠ করা সম্ভব নয়। তবে একজন জ্ঞানী তান্ত্রিকের পরামর্শ নিয়ে যদি রুদ্রমালা তন্ত্র মন্ত্রটি পাঠ করতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যেতে সময় লাগবে না, সেই সঙ্গে যারা আপনার ক্ষতি করতে চায়, তারাও কিছু করে উঠতে পারবেন না। ফলে লোকের কুনজরের প্রভাবে আপনার কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে। শুধু তাই নয়, এক হাজার বার এই মন্ত্রটি পাঠ করলে নানাবিধ বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও আর থাকবে না। প্রসঙ্গত, এতসব উপকার পেতে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল- "ওম বিশ্বায় নমো গন্ধর্বলোচিনি নামি লৌসাথিকর্নি তাসমৈ বিশ্বায় সোয়াহা।"
৩. মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:
এমনটা বিশ্বাস রয়েছে যে এই শক্তিশালী এই শিব মন্ত্রটি পাঠ করলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়, সেই সঙ্গে খারাপ সময় কেটে যেতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রটি ১০৮ বার পাঠ করলে দেবাদিদেব এতটাই প্রসন্ন হন যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কাও কমে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ওম ত্রম্বকং য্জামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম্ উর্বারূপমিব বন্ধনান মৃতৌমোক্ষীয় মামৃতাত।"
৪. বগলমুখি মন্ত্র:
শাস্ত্র মতে মা বগলার আরাধনা করার পাশাপাশি তাঁর মন্ত্র পাঠ করলে দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে নেগেটিভ শক্তির প্রভাবও কমতে শুরু করে। কমে কালো যাদুর প্রভাবও। ফলে কোনও খারাপ কিছু ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে "ওম হ্লিম বগলামুখি সর্বদুষ্টাম ওয়াচাম মুখম পদম", এই মন্ত্রটি জপ করতে করতে যদি দেবীর পুজো করা হয়, তাহলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
৫. কুন্দলিনি মন্ত্র:
"আদঃ গুরায় নমহ", প্রায় ৩০০০ বছর আগে লেখা এই মন্ত্রটি প্রতিদিন তিনবার করে পাঠ করলে যে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। এমনকি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো।
৬. গায়েত্রী মন্ত্র:
এই মন্ত্রটির কথা তো নিশ্চয় শুনে থাকবেন! কিন্তু একথা জানা আছে কি প্রতিদিন এক মনে ১০৮ বার গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ তো হয়ই, সেই সঙ্গে কোনও বিপদের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও কমে। তবে এখানেই শেষ নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে পরিবারিক জীবনে সুখ-শান্তি বিগ্নিত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে কর্মজীবনেও তুমুল উন্নতির সন্ধান মেলে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ওম ভূর ভুব সোয়াহা তাৎসাভিতুর ভারেন্যিয়াম ভার্গো দেব্য়াসিয়াদিমাহি দিয়ো ইয়ো না প্রচোদায়াৎ।"