For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

হঠাৎ করে অ্যাক্সিডেন্টের খপ্পরে পরতে যদি না চান তাহলে এই মন্ত্রগুলির কোনওটি নিয়মিত পাঠ করতে হবে!

চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব শক্তিশালী মন্ত্রগুলি সম্পর্কে, যা নানাবিধ বিপদ থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে...

|

বিপদ তো আর বলে আসে না। হঠাৎ করে আসে আর ছোবল মেরে কোনও কোনও সময় প্রাণটাই নিয়ে চলে যায়। যেমন বেহালা শীলপাড়ার ওই ছেলেটির কথাই ধরুন না। কলেজ স্ট্রিট থেকে বই কিনে ফিরছিল। হঠাৎ করে মাথায় ভেঙে পরল মাঝেরহাট ব্রিজ। আপনাদের হয়তো মনে আছে পোস্তায় হঠাৎ ব্রিজ ভেঙে পরার কারণে কতজন পথ যাত্রীর মৃত্যু ঘটেছিল। তাই তো বলি বন্ধু, কখন যে কী ঘটে যায়, তা কেউ বলতে পারে না। আর ঠিক এই কারণেই সবরাই একটু সময় বার করে এই লেখাটি পড়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ এই প্রবন্ধে এমন কিছু মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা পাঠ করা শুরু করলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার বা দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ঈর্ষাকাতর প্রতিপক্ষদের পক্ষেও আপনার কোনও ক্ষতি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই কারণেই বলছি বন্ধু, নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের যদি বাকি জীবন নিরাপদে রাখতে হয়, তাহলে পাঁচ মিনিট খরচ করে লেখাটা পড়তেই হবে।

এত দূর পড়ার পর কারও মনে যদি প্রশ্ন জাগে মন্ত্র কীভাবে আমাদের সুরক্ষা প্রদান করতে পারে, তাহলে জানিয়ে রাখি বন্ধু, মন্ত্র হল সেই শক্তি, যা আমাদের চারিপাশে পজেটিভ শক্তির একটি কবজ তৈরি করে। আর সেই কবজ ভেদ করে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই তো বলি বন্ধু, আর অপেক্ষা নয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব শক্তিশালী মন্ত্রগুলি সম্পর্কে, যা নানাবিধ বিপদ থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে...

১. দূর্গা গায়েত্রী মন্ত্র:

১. দূর্গা গায়েত্রী মন্ত্র:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে দেবী দুর্গা জাগ্রত হয়ে ওঠেন। ফলে মায়ের আশীর্বাদে খারাপ শক্তি যেমন ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, তেমনি যে কোনও ধরনের সমস্যা মিটে যেতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র আপানদের যারা ক্ষতি চায়, তাদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর তাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "আম মহা দেবায় চে দিমাহে দুর্গাওই চে দিমাহে, তানো দেবী প্রাচোদায়াত।" এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল মন্ত্রটি পাঠ করার সময় দেবী মার ছবির সামনে বসে এক মনে মন্ত্রটি ১০৮ বার পাঠ করতে হবে, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

২. রুদ্রমালা মন্ত্র:

২. রুদ্রমালা মন্ত্র:

শাস্ত্র মতে এটি হল সবথেকে শক্তিশালী তান্ত্র সাধনার মন্ত্র। তাই যখন-তখন এটি পাঠ করা উচিত নয়। বরং দেখবেন যখন প্রতিপক্ষদের মারে জীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, নিজেকে বাঁচানোর আর কোনও রাস্তাই নেই, তখন এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করবেন। দেখবেন নিমেষে আপনার প্রতিপক্ষদের শক্তি কমে যাবে। অন্যদিকে আপনার শক্তি এতটা বাড়তে শুরু করবে যে কোনও খারাপ শক্তিই আপনাকে সফলতার পথে এগিয়ে যেতে আটকাটে পারবে না। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল যারা আগোরি মতে তন্ত্রসাধনা করেন, তাদের পক্ষেই এই মন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে কিন্তু এই শক্তিশালী মন্ত্রটিকে কাজে লগানো সম্ভব নাও হতে পারে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "ওম ভিভাইয়া নাম গন্ধারভোলচিনি নামি লুসাতিকর্ণাই তাসমাই বিশ্বওয়া সোয়াহা"। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০০০ বার পাঠ করলে উপকার মিলতে সময় লাগে না।

৩. মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

৩. মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

শাস্ত্র মতে এই শিব মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে খারাপ সময় কেটে যেতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগ-ব্যাধিই শরীরকে ছুঁতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল- খারাপ সময়ে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে উপকার মিলবেই মিলবে, একা বসে কিন্তু মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, মন্ত্রটি যখন পাঠ করবেন তখন যেন খালি পেট থাকে এবং মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে দেখবেন জীবনের ছবিটা বদলে যাবে চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- "অম ত্রাম্বাকাম য়াজামাহে পুষ্টি ভার্ধানাম উর্ভারুকাম ইভাবান্ধানাম ম্রুথ্যর্মুক্শিয়া মামরুথাম"।

৪. বগলামুখি মন্ত্র:

৪. বগলামুখি মন্ত্র:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একবার মা বগলামুখিকে প্রসন্ন করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির রাস্তা যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মায়ের আশীর্বাদে যারা আপনাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের যেমন নিকেশ ঘটে, তেমনি হঠাৎ করে কোনও বিপদ বা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি নিরাপদে থাকতে চান, তাহলে "ওম হ্লিম বাগলামুখী সর্বদুষ্ঠনাম ওয়াকম মুখম পদম, স্তম্ভয় জিহ্বা কিলে বুদ্ধি বিনাশয় হ্লিম ওম সোয়াহা", এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: ধর্ম
English summary

Mantra for Protection from Accidents

There are many powerful mantras that you can use for protection from enemies, from evil, and from health problems. In fact, there are even mantras to protect us from death.
Story first published: Monday, December 17, 2018, 11:17 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion