For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতিদিন মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলে দেখবেন মৃত্যু পর্যন্ত আপনাকে ছুঁতে পারবে না!

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র আসলে ভগবান শিবের মন্ত্র। ঋক বেদে উল্লেখ পাওয়া যায় এই মন্ত্র বলে মৃত্যুকেও জিতে নেওয়া সম্ভব।

|

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র আসলে ভগবান শিবের মন্ত্র। ঋক বেদে উল্লেখ পাওয়া যায় এই মন্ত্র বলে মৃত্যুকেও জিতে নেওয়া সম্ভব। যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে এই মন্ত্রটি যপ করা যায়, তাহলে দেহের অন্দরে দৈবিক শক্তি এতটাই বেড়ে যায় যে মৃত্যু ধারে কাছেও ঘেঁষতে ভয় পায়। প্রসঙ্গত, অনেক বইতে এই মন্ত্রকে রুদ্র মন্ত্র নামেও ডাকা হয়ে থাকে। রুদ্র কথার অর্থ হল তেজ বা শক্তি, যা শরীরকে এত মাত্রায় শক্তিশালী করে তোলে যে কোনও রোগই জটিল হয়ে ওঠার সুযোগ পায় না। অনেকে মনে করেন দেবাদিদেব শিবের তেজর কথা মাথায় রেখেই বহু মুনি-ঋষিরা এই নামে ডেকে থাকেন এই বিশেষ মন্ত্রটিকে। অনেকের কাছে ত্রিয়াম্বাকাম নামেও পরিচিত এই মন্ত্রটি। ত্রিয়াম্বকম কথার অর্থ হল মাহাদেবেপ শিবের তিন নয়ন। এখানেই শেষ নয়, মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রকে অনেকে "মৃত্যু সঞ্জীবনী মন্ত্র" নামেও চিনে থাকেন।

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র:

বেদে এই মন্ত্রিটি সংস্কৃততে লেখা রয়েছে। মন্ত্রটি হল- "ওম। ত্রম্বকাম যজমাহে, সুগন্ধিম পুষ্টি-বর্ধানাম, উরুভারুকম্ভিয়া বান্ধানাম, মৃত্যুয়র মুখশিয়া মামরিতাত।" প্রসঙ্গত, চার লাইনে ভাঙা এই মন্ত্রটির প্রতিটি লাইনে আটটা চিহ্ন রয়েছে, যা উচ্চারণ করার সময় সারা শরীরজুড়ে একটা কম্পন ছড়িয়ে পরে। এই কম্পনই শরীরে ভেতরে থাকা হাজারো ক্ষতকে নিমেষে সারিয়ে তোলে। শুধু তাই নয়, ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই মন্ত্রটি। আধুনিক কালে এই মন্ত্রটিকে নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে থাকা নিউরনগুলি এতটাই অ্যাক্টিভ হয়ে যায় যে ধীরে ধীরে মনোযোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।

মনের জোর বাড়ে:

মনের জোর বাড়ে:

বেদে একটা সময়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যখন এই পৃথিবীতে বসবাস করা কোনও মানুষেরই মৃত্যু হত না। ফলে একটা সময়ে গিয়ে সারা পৃথিবীর খবার শেষ হতে শুরু করেছিল। সে সময়ই যম রাজ প্রথম মৃত্যুর সঙ্গে পরিচয় ঘটালো মানুষের। কারণ এমন পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছিল যে জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে ভারসাম্য ফিরে আসাটা খুব দরকার ছিল। আর সেই কাজটিই করেছিলেন যোম রাজ। কিন্তু এর প্রভাবে মানুষের মনে মৃত্যু ভয় এমন ঢুকে গিয়েছিল যে তাদের সব সময়ই মনে হত তারা মরে যাবেন। এমনকি এই ভয়ের কারণে শরীরও ভাঙতে শুরু করেছিল। সে সময়ই ভগবান শিব মানবজাতির হাতে তুলেছি এক ব্রহ্মাস্ত্র, যে অস্ত্রের বলে ভয়ের উপর জিত সম্ভব ছিল। সেই ব্রহ্মাস্ত্র কি ছিল জানেন? মাহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। তাই আপনিও যদি সুন্দর, রোগমুক্ত জীবন পেতে চান, তাহলে স্বয়ং ভগবান শিবের দেওয়া এই মন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। উপকার যে পাবেন, তা হলফ করে বলতে পারি। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের ভয় দূর করে মনকে শক্তিশালী করে তুলতেও এই মন্ত্রের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে:

পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে:

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র নিয়মিত যপ করলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভাগ্যও ফেরে। তাই দুর্ভাগ্যের কারণে যাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে তারা নিয়মিত এই মহা মন্ত্রের পাঠ শুরু করতে পারেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন যদি এক মনে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি যপ করা যায়, তাহলে জীবনে কোনও দিন কষ্টের সম্মুখিন হতে হয় না।

খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:

খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:

শাস্ত্র মতে এই শক্তিশালী মন্ত্রটি প্রতিদিন ১০৮ বার পাঠ করলে চারিপাশে শুভশক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে নেগেটিভ এনার্জি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাবও নিমেষে কেটে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, সুখ-শান্তিতে এবং নিরাপদে যদি জীবন অতিবাহিত করতে হয়, তাহলে নিয়মিত এই শিব মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

গৃহস্তের পরিবেশ শুদ্ধ হয়ে ওঠে:

গৃহস্তের পরিবেশ শুদ্ধ হয়ে ওঠে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা শুরু করলে বাড়ির প্রতিটি কোনায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বাড়ির পরিবেশে পবিত্রতার ছোঁয়া লাগে। আর গৃহস্তের পরিবেশ যখন শুদ্ধ হয়ে ওঠে, তখন সেখানে দেব-দেবীর আগমণ ঘটতে সময় লাগে না।

কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে:

কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে:

শিব পূরাণ অনুসারে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র হল সেই মন্ত্র, যা যে কোনও ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্র বলে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই যাদের জন্ম কুষ্টিতে দূর্ঘটনার যোগ রয়েছে, তারা নিয়মিত এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

মন্ত্রটি যপ করার নিয়ম:

মন্ত্রটি যপ করার নিয়ম:

প্রথম ধাপে মন্ত্রটি ঠিক মতো উচ্চারণ করার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন যাতে কোনও ভাবেই ভুল উচ্চারণ না করে ফেলেন। এরপর শান্তভাবে পদ্মাসনে বসে এক মনে মন্ত্রটি যপ করা শুরু করুন। মন্ত্রটি পাঠ করার সময় দুই চোখের মাঝখানে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলে দেখবেন সহজে একাগ্রতা ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত, প্রথম প্রথম এক মনে মন্ত্রটি পাঠ করতে হয়তো অসুবিধা হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে যপের সময় বাড়াবেন। এক সময় গিয়ে দেখবেন খুব সহজেই ১০৮ বার মন্ত্রটি পাঠ করতে পারছেন।

Read more about: ধর্ম
English summary

Mahamrityunjaya Mantra: Significance and benefits

It’s a lifesaving Mantra and should be chanted with sincerity, faith and devotion. Best time to chant is early morning hours (Brahma Muhurta), around 4.00AM. Make it a practice to chant minimum 9 times before you go to office or leave from the house and before going to bed or taking medicines. Make it a practice to chant at least 3 times before you start driving. Pray to Lord Shiva for a safe drive. Chant 108 times daily to get good health and wealth.Make it a practice to chant once when you apply bhasma or holy ash or vibhuthi or chandan or kunkum. Take a glass of water, sit facing east, pray to Lord Shiva, close the top of the glass with your right hand palm, chant the mantra for 1008 times, spray the water inside the house, take few teaspoons and give it to people. You can invoke the energy of Lord Shiva in the water by doing this.
Story first published: Saturday, June 9, 2018, 11:20 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion