Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Mahalaya Amavasya 2021 : বুধবার মহালয়া, জেনে নিন দিনক্ষণ ও গুরুত্ব
পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের শুরুর তিথিই হল মহালয়া। তবে মহালয়া তর্পণের দিন বা পিতৃপক্ষের শেষ দিন হিসেবেই বিশেষ পরিচিত। এই দিনে অনেকেই তাদের পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানাতে গঙ্গায় বা পবিত্র নদীতে তর্পণ করেন। পিন্ড দান বা শ্রাদ্ধের মতো আচার অনুষ্ঠান করা হয়। অমাবস্যা তিথি প্রেতকর্মের জন্য শুভ, সেই কারণে পিতৃপক্ষের অমাবস্যা তিথি পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদানের পক্ষে খুবই শুভ। বিশ্বাস করা হয়, পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষকে তিল, জল দান করলে তাঁদের আশীর্বাদে সংসারের সমস্ত বাধা-বিঘ্ন নাশ হয় এবং জীবনে সুখ-শান্তি আসে। পিতৃপক্ষের শেষ দিন অর্থাৎ অমাবস্যা হল তর্পণের শ্রেষ্ঠ তিথি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই বছরের মহালয়ার দিনক্ষণ।
২০২১ সালের মহালয়ার দিনক্ষণ
এবছর মহালয়া পড়েছে ৬ অক্টোবর, বুধবার। বাংলা মাস অনুযায়ী, ১৯ আশ্বিন।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে
অমাবস্যা তিথি শুরু - ৫ অক্টোবর (১৮ আশ্বিন), মঙ্গলবার। সন্ধ্যা ৭টা বেজে ০৬ মিনিটে।
অমাবস্যা তিথি শেষ - ৬ অক্টোবর (১৯ আশ্বিন), বুধবার। বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে
অমাবস্যা তিথি শুরু - ৫ অক্টোবর (১৮ আশ্বিন), মঙ্গলবার। সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে।
অমাবস্যা তিথি শেষ - ৬ অক্টোবর (১৯ আশ্বিন), বুধবার। সন্ধ্যা ৫টা ৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে।
মহালয়ার দিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গা পুজোর সূচনা হয়। মহালয়ার ভোরে বাঙালীর ঘরে ঘরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সুমধুর কন্ঠস্বরের মাধ্যমে ভেসে আসে মা দূর্গার আগমনী বার্তা। চারিদিকে পুরদস্তুর শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। মহালয়া অমাবস্যার পরবর্তী তিথি অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই অনেক জায়গায় শুরু হয়ে যায় দেবী দুর্গার আরাধনা। শাস্ত্র মতে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এই তিথিতেই।
মহালয়া ঘিরে কাহিনী
মহালয়া নিয়ে পুরাণ থেকে শুরু করে মহাভারতেও বহু কাহিনী রয়েছে। মহাভারতে বলা আছে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কর্ণের মৃত্যুর পর তাঁর আত্মা স্বর্গে গমন করলে, তাঁকে স্বর্ণ ও রত্ন খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়। কর্ণ খাবারের এমন বিচিত্রতার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে বলা হয়, তিনি সারাজীবন শুধু স্বর্ণই দান করেছেন, তিনি তাঁর পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কোনওদিন খাদ্য প্রদান করেননি। তাই স্বর্গে তাঁকে স্বর্ণই খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে কর্ণ বলেন, তিনি যেহেতু তাঁর পিতৃগণের সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, তাই তিনি তাঁদের উদ্দশ্যে খাদ্য-পানীয় প্রদান করেননি। এই কারণে ইন্দ্রের নির্দেশে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপ্রতিপদ তিথিতে কর্ণ ষোলো দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করেন। আশ্বিনের অমাবস্যা তিথিতে শেষ জলদান করে তিনি স্বর্গে ফিরে যান। এই বিশেষ পক্ষকাল সময়কে হিন্দু শাস্ত্রে 'পিতৃপক্ষ' বলা হয়। পিতৃপক্ষের শেষ দিন হল 'মহালয়া'। এই কাহিনির কোনও কোনও পাঠ্যন্তরে, ইন্দ্রের বদলে যমকে দেখা যায়।
এছাড়াও, মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের কাছে পিতামহ ভীষ্ম পরাস্ত হন। সেই সময় চলছিল দক্ষিণায়ণ। আর, দক্ষিণায়নের সময় যমলোকের দ্বার খোলা থাকে এবং বিষ্ণুলোকের দ্বার বন্ধ থাকে। দক্ষিণায়ন শেষ হয়ে উত্তরায়ণ শুরু হলে বিষ্ণুলোকের দ্বার উন্মুক্ত হয়। তাই, ভীষ্ম শরশয্যায় থেকে বিষ্ণুলোক যাবার আকাঙ্ক্ষায় উত্তরায়ণের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। উত্তরায়ণ শুরু হলে ভীষ্ম ইচ্ছামৃত্যু বরণ করলেন। উত্তরায়ণের শেষ কৃষ্ণপক্ষটিই হল পিতৃপক্ষ। এই সময়ে পূর্বপুরুষদের তর্পণ করতে হয়।