For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শুক্রবার এই দূর্গা মন্ত্রগুলি জপ করলে যে কোনও ধরনের কষ্ট কমে যাবে চোখের পলকে!

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রবন্ধে আসোচিত মন্ত্রগুলি জপ করা মাত্র মায়ের শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নানাবিধ সুফল মিলতে শুরু করে।

|

হিন্দু শাস্ত্রে সপ্তাহের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও দেব-দেবীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। যেমন ধরুন সোমবার হল ভগবান শিবের দিনে, মঙ্গলবার শ্রী হনুমানের, তেমনি শুক্রবার হল মা দূর্গার আরাধনা করার দিন। আর এদিন যদি এক মনে মায়ের পুজো করতে পারেন এবং সেই সঙ্গে জপ করতে পারেন এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি, তাহলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের সমস্যাও কমে যাবে চোখের পলকে। ফলে জীবন সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। শুধু তাই নয়, মিলবে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হল। তাই তো বলি বন্ধু, এই মানব জীবনকে যদি সবদিক থেকে সার্থক করে তুলতে হয়, তাহলে প্রতি শুক্রবার দেবীর পুজো করার পাশাপাশা মন্ত্রগুলি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রগুলি জপ করা মাত্র মায়ের শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে নানাবিধ সুফল মিলতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে মন্ত্রগুলি জপ করতে হবে, সেগুলি হল...

১. মা দূর্গা ধ্যান মন্ত্র:

১. মা দূর্গা ধ্যান মন্ত্র:

"ওম জাটা জুট সাম্যুকত্তমার্ণ্ডু ক্রিট লাক্ষনাম। লোচনয়াত্ত্র সংযুক্তাম পদ্মেন্দু শান নাম", এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে একদিকে যেমন মনোযোগ ক্ষমতার বিকাশ ঘটে, তেমনি ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়। সেই সঙ্গে মন শান্ত হয় এবং রাগের প্রকোপ কমে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ছাত্র-ছাত্রীরা যদি নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে তাহলে পড়াশোনায় উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়।

২. দূর্গা শান্তি মন্ত্র:

২. দূর্গা শান্তি মন্ত্র:

এই মন্ত্রটি যদি প্রতিদিন এক মনে জপ করা যায়, তাহলে প্রতিপক্ষদের বিনাশ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র কালো যাদুর প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে কেউ যদি ইর্ষান্বিত হয়ে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করেও থাকে, তাহলেও কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: "রিপাভা শংকাশম যন্ত্রি কল্যানাম চপ পদ্যতে। নন্দেথ চা কুলাম পানশম মাহাতমিয়া মহত্তম মম শ্রীনু ইয়াম্মাম"।

৩. মা দূর্গা মুক্তি মন্ত্র:

৩. মা দূর্গা মুক্তি মন্ত্র:

কর্মক্ষেত্রে কি একের পর একে বাঁধা আসতে শুরু করেছে? সেই সঙ্গে নানা কারণে পারিবারিক জীবনও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই এই শক্তি মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন সুদিন আসবে চোখের পলকে। সেই সঙ্গে একে একে যেমন বাঁধার পাহাড় সরে যেতে শুরু করবে, তেমনি পরিবারের অন্দরে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও ফিরে আসবে। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করলে বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পুনরায় খারাপ সময়ের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও যায় কমে। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল- "সার্ব বাঁধা বিনিরমুক্ত ধন ধান্যে সুতানবিতা। মনুষ্য মিতপ্রসাদেন ভাবিষ্যতী না সনস্যয়া"।

৪. মা দূর্গা দুঃস্বপ্ন নিবারণ মন্ত্র:

৪. মা দূর্গা দুঃস্বপ্ন নিবারণ মন্ত্র:

"শান্ত কর্মমণী সর্বত্র তাথ দুহা স্বপ্ন দার্শনে। গ্রহ পিদাসু চোগারসু মাহাতমায়াম শ্রীনু ইয়াম্মাম।", এই মন্ত্রটি প্রতি শুক্রবার দেবী দূর্গার ছবি বা মূর্তির সামনে বসে পাঠ করলে খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে মনের জোর বৃদ্ধি পায়। ফলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরিয়ে এগিয়ে যেতে কোনও সমস্যাই হয় না। শুধু তাই নয়, জন্ম কুষ্টিতে উপস্থিত গ্রহ দোষ কেটে যেতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয়। ফলে জীবন সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি বাচ্চাদের সামনে পাঠ করলে তাদেরও ভয়ও দূর হয় এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।

দূর্গামন্ত্র পাঠ করার নিয়ম:

দূর্গামন্ত্র পাঠ করার নিয়ম:

জেনে রাখা ভাল যে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি দূর্গা মন্ত্রগুলি পাঠ করা না হয়, তাহলে কিন্তু কোনও উপকারই পাওয়া যায় না। তাই তো মন্ত্রগুলি পাঠ করার সময় কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন- মন্ত্রগুলি পাঠ করার আগে শান্ত মনে ঠাকুর ঘরে বসে মা দূর্গার ছবি বা মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর পুজো করতে হবে। তারপর শুরু করতে হবে মন্ত্র পাঠ। প্রসঙ্গত, মায়ের পুজো করার সময় মায়ের কপালে এবং পায়ে লাল সিঁদুর লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর তাজা ফুল পরিবেশ করে অল্প পরিমাণ চাল মায়ের সামনে রেখে শুরু করতে হবে পুজো। এই নিয়মগুলি মেনে যদি প্রতি শুক্রবার মায়ের আরাধনা করতে পারেন, সেই সঙ্গে পাঠ করতে পারেন এই মন্ত্রগুলি, তাহলে দেখবেন সুফল মিলতে সময় লাগবে না।

Read more about: ধর্ম
English summary

Maa Durga Mantras that will change your life

here are four mantras of Maa Durga which when chanted have the powers to change your life! These are carefully chosen mantras to rectify different kinds of troubles and challenges in your life. Chant them faithfully and with sincerity to get the blessings of Maa Durga in abundance to transform your life.
Story first published: Friday, June 8, 2018, 11:06 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion