Just In
- 16 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 16 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 19 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 22 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
Don't Miss
বাড়িতে ভাঙা ঠাকুরের মূর্তি রাখা উচিত নয় কেন জানেন?
পরিষ্কার করতে গিয়ে বা অন্য কোনও কারণে হাত থেকে পরে গিয়ে ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে।
পরিষ্কার করতে গিয়ে বা অন্য কোনও কারণে হাত থেকে পরে গিয়ে ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এমনটা হওয়াটা অশুভ নয়, কিন্তু সেই ভেঙে যাওয়া মূর্তি বা ছবি ঠাকুর ঘরে রাখা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। কেন জানেন?
শাস্ত্র মতে ভাঙা মূর্তি বাড়িতে রাখলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পুজো করার সময় ঠিক মতো মনোযোগ দিয়ে ভগবানের আরধনা করাও সম্ভব হয় না। কারণ ভাঙা মূর্তির দিকে তাকালেই নানা ধরেনর চিন্তা মাথায় ঘুরতে শুরু করে। ফলে এক মনে ভগবানকে ডাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এমনটা না হলে ভগবানের পুজো করার সুফল মিলতে অনেক সময় লেগে যায়।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরের ভাঙা মূর্তি বা ছবি বাড়িতে রাখলে আরও বেশ কিছু বিপদ ঘটতে পারে। যেমন ধরুন...
১. মনের ইচ্ছা পূরণ হয় না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এক মনে যদি ঠাকুরের নাম করতে পারেন, তাহলে কোনও ক্ষতিই হয় না। এমনকি ভাঙা মূর্তি বাড়াতে রাখলেও না। তাহলে কেন খারাপ হয়ে যাওয়া ছবি রাখতে মানা করা হয়, তাই ভাবচেন নিশ্চয়? আসলে বাস্তু মতে ভাঙা কোনও জিনিসই শুভ নয়। বিশেষত ভাঙা কাঁচ। কারণ ভাঙা কাঁচ বাড়িতে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে অশুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে খারাপ কিছু ঘঠনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। প্রসঙ্গত, বাস্তুশাস্ত্রে এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে ভাঙা কাঁচের জিনিস, তা ভগবানের মূর্তি হোক, কি অন্য কিছু বাড়িতে রাখলে ব্যাড লাক পিছু নেয়। আর এমনটা হলে জীবন দুর্বসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
২. পরিবারে কারও কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয়, বাড়িতে ভাঙা ঠাকুরের ছবি রাখলে ভগবানের নেক দৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে হয়। আর সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ যখন মাথার উপর থাকে না, তখন খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যে বৃদ্ধি পায়, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। প্রসঙ্গত, শাস্ত্রে এমনটাও বলা হয়েছে যে যিনি প্রতিদিন পুজো করেন, তার উপরই যে সব সময় খারাপ প্রভাব পরে এমন নয় কিন্তু, পরিবারের যে কারও সঙ্গেই খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই তো বাড়িতে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে আজই ভাঙা মূর্তি বা ছবি সরিয়ে ফেলুন। না হলে কিন্তু...
৩. ভাঙা গণেশের মূর্তি:
সিদ্ধিদাতা গণেশ হলেন সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই বাড়িতে রাখা গণেশের মূর্তি বা ছবি যদি ভেঙে যায় এবং তা যদি রেখে দেওয়া হয়, তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নানা ধরনের বাঁধা আসার সম্ভাবনাও বাড়ে। আর এমনটা হলে সুখ এবং শান্তি দূরে পালাতে যে সময় লাগে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৪. ভাঙা কৃষ্ণের মূর্তি:
শ্রী কৃষ্ণ হলেন ভালবাসার প্রতীক। তাই তো গোপালের মূর্তি ভেঙে গেলে ভুলেও তা বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা শুরু হতে পারে। কোনও কোনও সময় এই কারণে কলহ এমন মাত্রায় পৌঁছাতে পারে যে বিবাহ বিচ্ছেদের অশঙ্কাও থাকে। তাই সুখি পরিবারের স্বপ্ন দেখলে ভুলেও বাড়িতে ভাঙা গোপালের মূর্তি রাখবেন না যেন! কখনও যদি কোনও দুর্ঘটনার কারণে কৃষ্ণের মূর্তি ভেঙে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা জলে ভাসিয়ে দিতে ভুলবেন না।
৫. দেবাদিদেবের ছবি বা মূর্তি:
ভগবান শিব হলেন সর্বশক্তিমান। এই কারণেই তো এক মনে তাঁর পুজো করলে একাধিক সুফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, জীবনে চলার পথ কোনও বাঁধা এলে তা সরে যেতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারের উপর সুখ-সমৃদ্ধির ছায়া সব সময় বজায় থাকে। এই কারণেই তো ভেঙে যাওয়া শিবের ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখতে মানা করা হয়। কারণ এমনটা করলে এক মনে দেবের পুজো করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে তার আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাবও বাড়তে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
এখন প্রশ্ন হল ঠাকুরে ছবি বা মূর্তি ভেঙে গেলে কি করা উচিত?
১. আগুন লাগিয়ে দিতে পারেন:
শাস্ত্র মতে খারাপ হয়ে যাওয়া ছবি বা মূর্তি আগুণে পুড়িয়ে ফেলা সব থেক শুভ। কারণ এমনটা করলে যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তির বিনাশ ঘটতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, যে পাঁচটি উপাদানটি দিয়ে মানব শরীর তৈরি, তার অন্যতম হল আগুন। তাই মৃত্যুর পরে মানুষকে যেমন আগুনের শিখা গ্রাস করে, তেমনি সর্বশক্তিমানেরও অন্তিম পরিনতি মানুষের মতোই হওয়া উচিত। তাই না!
২. ঠাকুরের ছবি রয়েছে এমন বই এবং ক্যালেন্ডার:
এই জিনিসগুলি হয় জলে ভাসিয়ে দিতে পারেন, নয়তো পুরানো কাগজ পত্র যারা কেনে তাদের দিয়ে দিতে পারেন। এমনটা করলে পুরানো ক্যালেন্ডার বা বই রিসাইকেল হয়ে সমাজের কাছেই ফিরে আসে। তাতে প্রকৃতিক সম্পদের অপচয় বন্ধ হয়।
৩. ভাঙা মূর্তি:
মাটির মূর্তি সব সময় জলে ভাসিয়ে দেওয়া উচিত। এমনটা করলে পরিবারে অন্দরে জন্ম নেওয়া নেগেটিভ শক্তির নিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে। তাই এবার থেকে ঠাকুরের ছবি ভেঙে গেলে সময় নষ্ট না করে তা জলে ভাসিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন!