Just In
Krishna Janmashtami 2023: জন্মাষ্টমীতে ৫৬ ভোগ কেন দেওয়া হয়? কী কী থাকে ৫৬ ভোগে? জেনে নিন
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবকে জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপন করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসব গোকুলাষ্টমী নামেও পরিচিত। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দেশজুড়ে মহাধূমধাম করে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। এই উপলক্ষে বাল গোপালকে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। জানেন কি কেন জন্মাষ্টমীতে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় এবং কী কী থাকে এই ৫৬টি পদে? জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ ভোগ দেওয়ার কাহিনী
ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ ভোগ দেওয়ার সাথে একটি প্রচলিত বিশ্বাস জড়িয়ে আছে। মাতা যশোদা বাল গোপালকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য, যশোদা বালক কৃষ্ণকে একদিনে অষ্টপ্রহর ভোজন করাতেন। একবার, শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে গোকুল বাসিন্দারা ইন্দ্রদেবের পূজা করেননি, তখন ইন্দ্র দেব খুব রেগে যান এবং প্রবল ঝড়-বৃষ্টিপাত শুরু করেন। পুরো গোকুল জলে ডুবে যায়। তখন শ্রীকৃষ্ণ নগরবাসীকে রক্ষার জন্য তাঁর এক আঙুলে গোবর্ধন পর্বত তুলে নেন। ইন্দ্র এতে আরও রেগে গেলেন এবং বৃষ্টিকে আরও তীব্র করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দ্র দেব তার ভুল বুঝতে পেরে শ্রীকৃষ্ণের লীলা উপলব্ধি করলেন। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং ঝড়-বৃষ্টি বন্ধ করেছিলেন।
কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ পরপর সাত দিন পর্বত বহন করেছিলেন এবং এই সময় তিনি অন্ন-জল একেবারেই গ্রহণ করেননি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়।
শ্রীমদ্ভাগবত অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করার জন্য ৫৬টি ব্যঞ্জনের ভোগ অর্পণ করা হয়।
৫৬ ভোগে কী কী থাকে?
ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপুয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।
আরও পড়ুন : Krishna Janmashtami : এই জন্মাষ্টমীতে রাশি অনুযায়ী মন্ত্র জপ করুন, জীবনের সমস্ত বাধা ও সঙ্কট দূর হবে!