For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো: আজ মা লক্ষ্মী, গণেশ এবং দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো একসঙ্গে করা উচিত কেন জানা আছে?

আজ মা লক্ষ্মী-গণেশ ঠাকুরের পাশাপাশি সাদা হাতীর উপর আসন পাতা দেবরাজ ইন্দ্রর মূর্তি প্রতিষ্টা করেও পুজো করুন। দেখবেন জীবনে কোনও দিন কোনও ক্ষতি তো হবেই না, উল্টে আরও নানাবিধ উপকার মিলবে, যেমন ধরুন...

|

আজ ঘরে ঘরে উলু-শঙ্খ ধ্বনি। উদযাপন হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। মায়ের আবাহন কালে ঘোমটা মাথায় মায়েরা দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করছেন। ছেলেরা কেউ পুজোর জোগারে, তো কেউ কেউ ব্যাগ কাঁধে অফিস মুখি। তবু বাড়ি থেকে বেরনোর আগে সবাই একবার মাথা ছোঁয়াচ্ছে ঠাকুর দালানে, মায়ের সামনে। কেন? সবাই জানে আজকের দিনে যদি ভক্তি ভরে মায়ের আরাধনা করা যায়, তাহলে নাকি দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়ই হয়। সেই সঙ্গে মায়ের দয়ায় পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। মেলে আরও অনেক উপকার। কিন্তু যেটা অনেকেই জানেন না, সেটা হল আজকের দিনে মায়ের পাশাপাশি যদি গণেশ দেব এবং দেবরাজ ইন্দ্রর পুজো করা যায়, তাহলে উপকার মেলে আরও দ্বিগুণ হারে।

যদি প্রশ্ন করেন কেন? তাহলে শাস্ত্রের দিকে একবার নজর ফেরানোর পরামর্শ দেব। কারণ প্রাচীন এই সব বই অনুসারে গণেশ দেব যেখানে থাকেন, সে গৃহস্থ কখনই ছাড়েন না মা লক্ষ্মী। আর যে বাড়িতে মা স্বয়ং নিজ আসন পাতেন, সে পরিবারের ধারে কাছে কখনও কোনও দুঃখ-সমস্যা ঘেঁষতে পারে না। এমনকি না টাকা, না খাবার, কোনও কিছুরই আভাব ঘটে না কোনও দিন। এবার বুঝেছেন তো মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি গণেশ ঠাকুরের পুজো করা উচিত কেন। তবে আরেকটা কারও আছে। কী কারণ?

একবার ক্যালেন্ডারের দিকে নজর ফেরান। আজ কী বার? বুধ, কেন? শাস্ত্র মতে বুধবার হল গণেশ ঠাকুরের আরাধনা করার দিন। আর আজ বুধবার, তার উপর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এমন বিশেষ দিনে যদি মা লক্ষ্মী এবং গণেশ ঠাকুরের পুজো এক সঙ্গে করা যায়, তাহলে প্রচুর প্রচুর সুফল মেলে। তবে বন্ধু এখানেই শেষ নয়। লক্ষ্মী-গণেশের পাশাপাশি সাদা হাতীর উপর আসন পাতা দেবরাজ ইন্দ্রর মূর্তি প্রতিষ্টা করেও পুজো করুন। এমনটা করলে দেখবেন জীবনে কোনও দিন কোনও ক্ষতি তো হবেই না, উল্টে আরও নানাবিধ উপকার মিলবে, যেমন ধরুন...

১. গ্রহ দোষ কেটে যাবে:

১. গ্রহ দোষ কেটে যাবে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন দেবী লক্ষ্নীর পাশাপাশি গণেশ ঠাকুর এবং ইন্দ্রের আরাধনা করলে বৃহস্পতি এবং চাঁদের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে শুরু করে। ফলে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি চাঁদের খারাপ প্রভাব কমে যাওয়ার কারণে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও ফিরে আসে। সেই সঙ্গে পরিবারে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শুক্র গ্রহের প্রভাব বাড়ার কারণে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটে যায় চোখের পলকে।

২. সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পায়:

২. সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পায়:

একেবারে ঠিক শুনেছেন! আজকের দিনে এমন বিশেষ পুজোর আয়োজন করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় শুভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয় দেব-দেবীদের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রেও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৩. বিবাহ সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়:

৩. বিবাহ সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়:

নানা কারণে কি বারে বারে বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে বা বিবাহ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে নানা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে? তাহলে বন্ধু আজ মা লক্ষ্মী, গণেশ ঠাকুর এবং ইন্দ্র দেবের আরাধনা শুরু করুন। দেখবেন সুফল পাবেই পাবেন। সেই সঙ্গে মনের মতো জীবনসঙ্গীরও খোঁজ মিলবে!

৪.মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন:

৪.মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন:

অনেকেই এমনটা বিশ্বাস করেন যে মা লক্ষ্মীর মন একবার জয় করতে পারলে সেই পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। কিন্তু প্রশ্ন হল মাকে প্রসন্ন করবেন কীভাবে? খুব সহজ! আজ মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি গণেশ ঠাকুর এবং ইন্দ্রের পুজোর আয়োজন করুন, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! এমনটা করলে মা লক্ষ্মী কখনই আপনার উপর রেগে যাবেন না। কারণ বাপ্পাকে মা লক্ষ্মী খুবই ভাসবাসেন। তাই তো কেউ গণেশের পুজো করলে আপনা হতেই সেই ভক্তের উপর মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদের হাত থাকে। তাই দেবের অরাধনা করলে মায়ের আশীর্বাদ লাভ করতেও সময় লাগে না। আর একবার মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে বন্ধু!

৫. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটে:

৫. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটে:

অফিসে চটজলদি প্রমোশন পেতে কে না চায় বলুন! এমন স্বপ্ন যদি আপনিও দেখে থাকেন, তাহলে আজ মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি গণেশ দেব এবং দেবরাজের পুজোর আয়োজন করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে খারাপ সময় কেটে যায়। সেই সঙ্গে পজেটিভ শক্তির প্রভাবে একের পর এক বাঁধা সরে যেতেও সময় লাগে না।

৬. খারাপ শক্তির প্রকোপ কমে যায়:

৬. খারাপ শক্তির প্রকোপ কমে যায়:

বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মানতেই হবে যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ বা খারাপ শক্তিও। আর কোনওভাবে যদি এই খারাপ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনি হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনার কবলে পরার সম্ভাবনাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ বিপদ থেকে বাঁচাতে আজ এমন বিশেষ পুজো করতে ভুলবেন না যেন!

৭. ব্যবসায় চরম উন্নতির স্বাদ মেলে:

৭. ব্যবসায় চরম উন্নতির স্বাদ মেলে:

আজ মা লক্ষ্মী এবং গণেশ দেবের পুজো করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন বিশেষ দিনে এমন বিশেষ পুজোর আয়োজন করলে গৃহস্থে মায়ের প্রবেশ ঘটে। সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদে জ্ঞান এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। ফলে ব্যবসায় একের পর এক সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা মিটে যেতেও সময় লাগে না।

৮. ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা কমে:

৮. ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা কমে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গণেশ দেব এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো একসঙ্গে করলে জীবনের প্রতিটি বাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আর বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত যখন ঠিক হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে।

৯.বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:

৯.বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে মা লক্ষ্মী এবং গণেশ দেবের পুজো এক সঙ্গে করলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এমন বিশেষ পুজোর আয়োজন করলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। কারণ মা লক্ষ্মী যেখানে ধণ দেবী, সেখানে গণেশ ঠাকুর হলেন সমৃদ্ধির দেব!

১০. গুড লাক সঙ্গ নেয়:

১০. গুড লাক সঙ্গ নেয়:

একথা তো মানতেই হবে যে এই মানব জীবনকে যদি সফল করে তুলতে হয়, তাহলে পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্যের সঙ্গ থাকাটাও জরুরি। কারণ শুধুমাত্র পরিশ্রমের উপর ভরসা করে সফলতার স্বাদ পাওয়াটা কিন্তু বেজায় কঠিন। তাই তো প্রশ্ন হল, গুড লাককে রোজের সঙ্গী বানানো যায় কীভাবে? এ জন্য বন্ধু আজ গণেশ ঠাকুর এবং মা লক্ষ্মীর পুজো এসঙ্গে করতে হবে। তাহলেই দেখবেন ভাগ্য ফিরতে যাবে, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আর থাকবে না।

১১. ভূত-প্রেত দূরে পালাবে:

১১. ভূত-প্রেত দূরে পালাবে:

এমন বিশ্বাস রয়েছে যে গণেশ ঠাকুরের পুজো করার পাশপাশি মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে কালো যাদুর কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, সেই সঙ্গে ভূত-প্রেতের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু এই ধরণার মধ্য়ে কোনও ভুল নেই যে ইর্ষান্বিত হয়ে এই ২১ শতকেও কিন্তু অনেকে তুকতাকের সাহায্য নিয়ে লোকের ক্ষতি করে থাকে। আর এমনটা যে কেউ আপনার সঙ্গে করার চেষ্টা করছে না, সে বিষয়ে আপনি কি নিশ্চিত? তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে যদি থাকতে চান, তাহলে গণেশ দেব এবং মা লক্ষ্মীকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: ধর্ম
English summary

kojagiri sharad purnima significance

Sharad Purnima also known as Kojagiri Purnima is celebrated on a full moon day of the lunar month of Ashwin. It is also known as Kaumudi (moonlight) celebrations as it is believed that on this day, the Moon through its beams showers ‘amrit’ or elixir of life on earth. The brightness of the full moon, especially after the monsoons, is more prominent and brilliant.
Story first published: Wednesday, October 24, 2018, 11:03 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion