Just In
- 9 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 10 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 13 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 15 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো: অর্থ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পুজোর দিন অবশ্যই এই নিয়মগুলি মেনে চলুন!
বাপের বাড়ি ছেড়ে ঘরের মেয়ে উমা সবেমাত্র ফিরেছেন কৈলাসে। মর্তে এখন চলছে বিজয়া পর্ব। এই বিজয়া' কাটতে না কাটতেই বাংলার মানুষ আবারও মেতে উঠতে চলেছেন আর এক মেয়ের আরাধনায়। সামনেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তাই ইতিমধ্যেই বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে মা লক্ষ্মীর আরাধনার আয়োজন।
তিথি অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা হয়ে থাকে। এই বছর লক্ষ্মী পুজো পড়েছে ২৮ অক্টোবর। হিন্দু শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পত্তির দেবী। অর্থ, ধান, চাল ও অন্ন-এর প্রতীক হলেন দেবী লক্ষ্মী। তাই ঘরে অর্থ ও ধন-সম্পদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে ঘরে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন। তাঁর আরাধনা করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে মা লক্ষ্মী আপনার উপর সন্তুষ্ট হবেন। তবে চলুন দেখে নিন লক্ষ্মী পুজোর দিন কী করবেন ও কী করবেন না।
১) মা লক্ষীকে সন্তুষ্ট করতে পুজোর পর অবশ্যই ব্রত কথা বা লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করুন৷ পাঠ করার সময় মন যেন চঞ্চল না থাকে।
২) মা লক্ষ্মী সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন। তাই পুজোর দিনগুলি বাদেও সারা বছর নিজের গৃহকে পরিষ্কার করে রাখুন। পুজোর সময় স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে পুজোর আয়োজনে বসবেন এবং অঞ্জলি দেবেন। এতে মা লক্ষী সন্তুষ্ট হবেন এবং সারা বছর আপনার গৃহে অবস্থান করবেন। কোনও দিন অর্থের অভাব হবে না!
৩) সারাবছর সুখ সমৃদ্ধি চাইলে লক্ষ্মী পুজোয় ভুল করেও তুলসী পাতা ব্যবহার করবেন না। তুলসী ব্যবহার করলে মা লক্ষী সেই গৃহে অবস্থান করেন না। এর পেছনে পুরাণে একটি ব্যাখ্যাও রয়েছে। তুলসীর সঙ্গে নাকি সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন শালগ্রাম। যিনি কিনা দেবতা বিষ্ণুর আরেক রূপ। এদিকে আবার বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী হলেন স্বামী-স্ত্রী। সেই কারণেই দেবী লক্ষ্মী নাকি তাঁর পুজোয় তুলসী পাতা গ্রহণ করেন না।
৪) লক্ষ্মীপুজোর সময় কখনোই কাঁসর ও ঘণ্টা বাজাবেন না। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন। শঙ্খ বাজিয়ে পুজো করতে পারেন।
৫) যেকোনও পুজোতেই ধূপ ও প্রদীপ ব্যবহার করা হয়। তবে লক্ষ্মী পুজোর ক্ষেত্রে যেকোনও জায়গায় এগুলি বসালে চলবে না। মা লক্ষীর আশীর্বাদ পেতে ও ঘরে শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে পুজোর সময় অবশ্যই মায়ের ডান দিকে ধূপ ও প্রদীপ রাখুন।
৬) লক্ষ্মী পুজোর দিন কালো বা সাদা বস্ত্রের ওপর মায়ের মূর্তি স্থাপন করবেন না। এতে অমঙ্গল ঘটবে। কালো বা সাদা রঙের পরিবর্তে লাল রং ব্যবহার করুন। নিজেও লাল বা হলুদ বস্ত্র পরুন।
৭) পুজোর সময় কখনও সাদা ফুল দিয়ে পুজো করবেন না। পরিবর্তে লাল কিংবা গোলাপি রঙের ফুল দিয়ে পুজো করুন। পুজোর জায়গা সাজানোর ক্ষেত্রেও সাদা ফুল ব্যবহার করবেন না। তাহলে মা লক্ষী প্রসন্ন হবেন এবং বাড়িতে কখনই অর্থের অভাব হবে না।
৮) পুজোর দিন অন্ন বা যেকোনও খাবার নষ্ট করবেন না। এতে মা অসন্তুষ্ট হন। দেবী লক্ষ্মী অন্নের অপচয় সহ্য করেন না। ফলে বাড়িতে অর্থ ও খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে। এই দিনে সম্ভব হলে গরীব কাউকে কিছু দান করুন, তাহলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হবেন।