Just In
- 14 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 15 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 20 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
করবা চৌথ ২০২০ : কেন পালন করা হয় করবা চৌথ? জেনে নিন ব্রতের নিয়ম ও তাৎপর্য
আজ করবা চৌথ। স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে বিবাহিত মহিলারা এই ব্রত পালন করে। অতীতে শুধুমাত্র সৈনিক পরিবারের মহিলাদের মধ্যে এই ব্রত প্রচলন ছিল। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুনতেন স্ত্রী এবং স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই ব্রত পালন করত। বর্তমানে অবশ্য হিন্দি সিনে জগৎ ও সিরিয়ালের দৌলতে এই ব্রত ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সর্বস্তরে।
'করবা চৌথ' মূলত উত্তর ও উত্তর পশ্চিম ভারতের পালনীয় ব্রত। 'করবা' কথার অর্থ ছোটো পাত্র বা কড়াই। আর 'চৌথ' কথার অর্থ চার, অর্থাৎ চতুর্থী তিথি। কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষ শুরু হওয়ার চতুর্থ দিনে এই অনুষ্ঠান পালন করা হয় বলে একে 'করবা চৌথ' বলে। এই করবা চৌথ আবার 'করক চতুর্থী' নামেও পরিচিত।
সারা দেশজুড়ে পালিত হয় এই ব্রত। বিবাহিত নারি ও পুরুষ উভয়ের কাছে এই ব্রতর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সূর্যোদয়ের পর থেকে নির্জলা উপবাস থেকে বিবাহিত মহিলারা পালন করেন এই ব্রতর রীতি-নীতি। সন্ধেবেলা চাঁদ উঠলে পুজো শেষ করে প্রসাদ গ্রহণ করেন তাঁরা।
২০২০ সালে করবা চৌথ ব্রত পালনের তিথি ও পুজোর সময়
এইবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে করবা চৌথ পড়েছে ০৪ নভেম্বর, বুধবার। দ্রিক পাঞ্চাং অনুসারে জেনে নিন ব্রত পালনের তিথি ও পুজোর সময়।
করবা চৌথ পূজা মুহুর্ত - বিকাল ০৪টা ৫৭ থেকে সন্ধ্যে ০৬টা ১৪ পর্যন্ত
চন্দ্রোদয়ের সময় - সন্ধ্যে ০৭টা ৪০ মিনিটে
চতুর্থী তিথি শুরু - ০৪ নভেম্বর রাত ০৩টা ২৪ মিনিটে
চতুর্থী তিথি শেষ - ০৫ নভেম্বর ভোর ০৫টা ১৪ মিনিটে
কীভাবে পালিত হয়?
স্বামী ও স্ত্রীর ভালবাসার প্রতীক হিসাবে পালন করা হয় এই ব্রত। উপবাস থাকেন দু'জনেই। সূর্যোদয়ের আগে শ্বাশুড়ি মা পূত্রবধূর হাতে পুজোর সমস্ত উপকরণ সহ সাজসজ্জার নানান উপকরণও উপহার হিসেবে তুলে দেন। নতুন পোশাক ও মেহেন্দিতে হাত রাঙিয়ে এক জায়গায় জড়ো হয়ে গাওয়া হয় গান। পাঠ হয় ব্রতকথা।
স্বামীর মঙ্গল কামনায় এবং দীর্ঘায়ু লাভের উদ্দেশ্যে সারাদিন উপবাসে থাকার পর সন্ধ্যাবেলায় চতুর্থীর চাঁদ উঠলে শিব, পার্বতী এবং গণেশের পুজো করে একটি জালের পাত্রের মধ্যে দিয়ে চাঁদ দেখেন বিবাহিত মহিলারা, এরসঙ্গে থাকে প্রদীপও। এরপর সেই জালের ভিতর দিয়ে স্ত্রী দেখেন তাঁর স্বামীকে এবং সেই প্রদীপের আলোয় দেখতে হয় স্বামীর মুখ।পুজো শেষে একসঙ্গে উপবাস ভাঙেন দম্পতি।
এই ব্রতর বহু পৌরাণিক ব্যাখ্যা ও গল্পের প্রচলন রয়েছে। কথিত আছে, 'করবা' নামের এক পতিব্রতা নারী যমরাজের সম্মুখীন হয়ে কুমিরের গ্রাস থেকে উদ্ধার করেছিলেন তাঁর স্বামীকে। তাঁর নামানুসারে এই ব্রতের নামকরণ।
আবার শোনা যায়, সত্যবানের জীবন ফিরে পেতে সাবিত্রীও পালন করেছিলেন এই ব্রত। সারা ভারতবর্ষ মেতেছে এই উৎসব পালনে। সাজো সাজো রব ব্রতীর বাড়িতে।করবা চৌথ পালনের ঠিক চার দিন পরে পালিত হয় আহোই অষ্টমী ব্রত।