For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

অক্ষয় তৃতীয়ায় কনকধরা স্তোত্র

By Tulika Ghoshal
|

অক্ষয় তৃতীয়ায় কনকধরা স্তোত্র

কনকধারা স্তোত্র দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশে পাঠ করা হয়| 'কনকধরা' শব্দটি 'কনকাম' এবং 'ধরা' উভয় সংস্কৃত শব্দগুলির একটি সংমিশ্রণ। এখানে 'কনক' অর্থ স্বর্ণ বা সম্পদ এবং 'ধরা' শব্দটির অর্থ হল, যেটি ধরে রাখে। এই স্তোত্রে দেবী লক্ষ্মীর হাতে সম্পদ বা স্বর্ণ ধারণ রূপে প্রশংসা করা হয়|

অক্ষয় তৃতীয়ায় কনকধরা স্তোত্র

অক্ষয় তৃতীয়ায় মূলত দেবী লক্ষ্মীকে উপাসনা করা হয়ে থাকে| অন্যান্য দেবতাদের মধ্যে ভগবান বিষ্ণু, কুবের ও গণেশের উপাসনাও করা হয়| দেবী লক্ষ্মী নিষ্ঠাবান ভক্তদের সমৃদ্ধি ও সুখের অধিকারী করেন|

এই চমৎকার কনকধরা স্তোত্রটি গুরু আদি শঙ্করাচার্যের রচনা এবং এর পিছনে একটি কাহিনী আছে|

বলা হয় যে, গুরু আদি শঙ্করাচার্য একবার ভিক্ষা করতে বেড়িয়েছিলেন| তিনি একটি অতি দরিদ্র মহিলার কুটিরের সামনে এসে পৌঁছন| মহিলাটি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন এমন একজন পবিত্র সন্ন্যাসী তার দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন অথচ তার, তাকে দেওয়ার মতো কিছুই নেই| তার রান্নাঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে সে শুকনো আমলকি ছাড়া আর কিছুই ভিক্ষা দেওয়ার মতো পেল না|

লজ্জায় সেই আমলকি ভিক্ষা দিতেও তার সংকোচ বোধ হচ্ছিল আবার গুরু আদি শঙ্করাচার্যকে শুন্য হাতে ফিরিয়ে দিতেও মনে ব্যাথা লাগছিল| সংকোচ ভেঙে সে ওই শুকনো আমলকি ভিক্ষার ঝুলিতে দেয়| গুরু আদি শঙ্করাচার্য তার শুদ্ধ অভিপ্রায় এবং কর্মে অভিভূত হন| মহিলার দুর্দশা দেখেও ব্যথিত হন| তিনি তাৎক্ষণিক দেবী লক্ষীর জয়গান শুরু করেন| গানের শেষে, দেবী স্বয়ং হাজির হন এবং গুরু আদি শঙ্করাচার্যকে একটি বর চাইতে বলেন|

তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে তার নিজের জন্য কিছু প্রয়োজন নেই কিন্তু তিনি চান ওই দরিদ্র মহিলাকে যেন দেবী ধনসম্পদ দিয়ে আশীর্বাদ করেন| দেবী মহা লক্ষ্মী উত্তর দিয়েছিলেন যে ওই মহিলা তার অতীত জীবনে কোনও ভাল কাজ করেনি এবং তিনি যথেষ্ট পুণ্যে অর্জন করেনি। এই কারণেই সে দারিদ্র্যের মধ্যে আছে|

গুরু আদি শঙ্করাচার্য যুক্তি দেন যে এই মহিলা, এই জীবনে অতি ধার্মিক এবং তার একমাত্র সম্বল ত্যাগ করতেও দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি| তার একটি ভাল কাজ অতীত জীবনের সমস্ত খারাপ কাজ ও পাপ দূর করতে যথেষ্ট ছিল।

দেবী মহা লক্ষ্মী উপলব্ধি করেন যে গুরু আদি শঙ্করাচার্যের কথা সত্য এবং তিনি ওই মহিলাকে ধনসম্পদ দিয়ে আশীর্বাদ করেন| বলা হয় যে, দেবী মহা লক্ষ্মী কনকধরা স্তোত্র শুনে এতটাই প্রসন্ন হয়েছিলেন যে তিনি ওই মহিলার অতীতের গুনাবলীকে উপেক্ষা করে সোনার আমলকিতে কুটিরটি ভরিয়ে দিয়েছিলেন|

কনকধরা স্তোত্রে এমনই ক্ষমতা রয়েছে যে, প্রভু আপনার ইচ্ছাকৃত বা অজ্ঞাতসারে সঞ্চালিত পাপ ক্ষমা করেন এবং আপনাকে সমস্ত ঐশ্বর্য ও সম্পদ দিয়ে আশীর্বাদ করেন। এই অক্ষয় তৃতীয়াতে বিশুদ্ধ এবং নিষ্ঠার সাথে কনকধরা স্তোত্র পাঠ করুন এবং দেবী মহালক্ষীর আশীর্বাদ গ্রহণ করুন|

English summary

অক্ষয় তৃতীয়ায় কনকধরা স্তোত্র | অক্ষয় তৃতীয়ায় গুরুত্বপূর্ণ স্তোত্র পাঠ | অক্ষয় তৃতীয়ায় কনকধরা স্তোত্র পাঠের গুরুত্ব

Read to know the importance of chanting kanakadhara stotram on akshaya tritiya
X
Desktop Bottom Promotion