Just In
- 2 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 3 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 18 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Kamika Ekadashi 2021 : কামিকা একাদশী ব্রত পালনে মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়, জানুন দিন-ক্ষণ ও ব্রতের তাৎপর্য
হিন্দু ধর্মে, বছরের সমস্ত একাদশী তিথিকেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মানা হয়। এই দিনটি ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশে নিবেদিত। প্রতি মাসের মতো, শ্রাবণ মাসেও দুটি একাদশী তিথি রয়েছে যার মধ্যে একটি কৃষ্ণপক্ষে এবং অন্যটি শুক্লপক্ষে পড়ে। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিকে কামিকা একাদশী বলা হয়।
কামিকা একাদশীর গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশ্বাস করা হয়, এই ব্রত পালনের মাধ্যমে ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ হয় এবং জ্ঞানে-অজ্ঞানে করা পাপ থেকেও মুক্তি মেলে। তাহলে জেনে নিন ২০২১ সালে কামিকা একাদশী ব্রত কবে পালিত হবে এবং পূজার শুভ সময়, ব্রতভঙ্গের সময় এবং পূজা পদ্ধতি সম্পর্কে।
২০২১ সালের কামিকা একাদশীর তিথি-মুহুর্ত
কামিকা একাদশী ব্রত বুধবার, ০৪ অগস্ট পালন করা হবে। এই বছর এটি সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে পালিত হবে।
একাদশী তিথি শুরু - ০৩ অগস্ট, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে
একাদশীর তিথি শেষ - ০৪ অগস্ট, দুপুর ০৩টা ১৭ মিনিটে
ব্রতভঙ্গের সময় - ০৫ অগস্ট, সকাল ০৫টা ১০ মিনিট থেকে সকাল ০৭টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত।
কামিকা একাদশী ব্রতের তাৎপর্য
কামিকা একাদশী মোক্ষ প্রদান করে। কামিকা একাদশী ব্রতের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ। বিশ্বাস করা হয়, এই ব্রত পালনের মাধ্যমে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। যারা নিজেদের পাপ সম্পর্কে ভয় পায়, তাদের অবশ্যই এই ব্রত করা উচিত। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একাদশী ব্রতের চেয়ে ভাল আর কোনও দ্বিতীয় উপায় নেই। একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা অত্যন্ত লাভদায়ক।
মহাভারতে, স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ যুধিষ্ঠির ও অর্জুনকে এই একাদশী উপবাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই একাদশী ব্রত পালনে পূর্ববর্তী জীবনের পাপ থেকেও মুক্তি দেয়।
কামিকা একাদশী ব্রতের পূজা বিধি
কামিকা একাদশীর দিন যারা ব্রত করবেন, তাদের খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করা উচিত। প্রথমে ব্রতের সংকল্প গ্রহণ করুন এবং চারিদিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ও গঙ্গাজল দিয়ে পূজার স্থান শুদ্ধ করে নিন।
এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। দুধ, পঞ্চামৃত, ফল, হলুদ ফুল, তিল, ইত্যাদি শ্রীহরিকে অর্পণ করুন। এই দিন বেশির ভাগ সময় ভগবান বিষ্ণুর নাম স্মরণ করে ব্যয় করুন। এই দিনে ব্রাহ্মণ ভোজন করান এবং দক্ষিণা দিন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার সাধ্যমতো অভাবীদের সাহায্য করুন। একাদশীর পূজায় বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ অবশ্যই করুন।