Just In
Kali Puja 2021 : জেনে নিন এবছরের কালীপুজোর দিনক্ষণ ও শুভ সময়
দুর্গাপুজো ও কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা শেষ হওয়ার সাথে সাথে, কালীপুজো এবং দীপাবলির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যায়। প্রতিবছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর আরাধনা করা হয়। একে শ্যামা পুজো ও দীপান্বিতা কালীপুজোও বলা হয়। এই দিন আলোকসজ্জা ও আতসবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা রাত্রিব্যাপী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবাংলায় মহাধূমধাম করে কালীপুজো উদযাপন হয়, তবে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, অসম ও ওড়িশা-তেও মা কালীর উপাসনা হয়ে থাকে। আর বাঙালির এই কালীপুজো বা দীপাবলির সময়ই দেশের অন্যান্য জায়গায় পালিত হয় দিওয়ালি।
দীপাবলি হল অন্ধকার দূর করে আতসবাজি এবং আলোর রোশনাইয়ে চারিদিক ভরিয়ে তোলার দিন। এই দিন বাঙালি ঘরে যেমন মা কালী পূজিত হন, তেমন অবাঙালি পরিবারগুলিতে পালিত হয় দিওয়ালি। সেখানে পুজিত হন দেবী লক্ষ্মী। তবে দীপাবলির সময় বহু বাঙালি পরিবারেও লক্ষ্মী দেবীর পুজো হয়ে থাকে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, এবছর অর্থাৎ ২০২১ সালের কালীপূজার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি সম্পর্কে।
২০২১ সালের কালীপূজার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি
এবছর কালীপুজো পড়েছে ০৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার।
অমাবস্যা তিথি শুরু - ৪ নভেম্বর, সকাল ০৬টা ০৩ মিনিটে।
অমাবস্যা তিথি শেষ - ৫ নভেম্বর, মধ্যরাত ০২টা ৪৪ মিনিটে।
কালীপূজা নিশীথ সময় - ৪ নভেম্বর, রাত ১০টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত।
মা কালী দেখতে ভয়ঙ্কর হলেও, তাঁর প্রকৃতিতে রয়েছে এক অন্য রূপ। দেবীর চেহারার মধ্যে প্রেম হয় ও যত্নশীল মা-কে দেখা যায়। তিনি তাঁর ভক্তদের চারপাশে থাকা নেতিবাচক দিক সমস্ত শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিনাশ করেন।
আরও পড়ুন : Dhanteras 2021 : ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধিতে ভগবান ধন্বন্তরী ও কুবেরের পূজা করুন, জানুন শুভ মুহূর্ত ও পুজোর নিয়ম
কালীপুজোর আগের রাতে ভূতচতুর্দশী পালন করা হয়। একে নরক চতুর্দশীও বলে। এই দিন ১৪টি প্রদীপ জ্বালানোর রীতি আছে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই প্রদীপগুলি অশুভ শক্তি বা অশুভ আত্মাকে দূর করে এবং পরিবারের সকলকে রক্ষা করে। অনেকে আবার বলে থাকেন, এই প্রদীপ পূর্বপুরুষদের গত ১৪ প্রজন্মের স্মরণে জ্বালানো হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, কালীপুজোর আগের রাতে এই পূর্বপুরুষদের আত্মা পৃথিবীতে নেমে আসে। তাই প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি ভূত চতুর্দশীতে ওল, কেঁউ, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, জয়ন্তী, নিম, হেলঞ্চা, শাঞ্চে, পলতা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা, শুলফা, শুশনি, এই চোদ্দ ধরনের শাক খাওয়ার রীতিও আছে।