Just In
- 1 hr ago
আজকের রাশিফল : ২১ জানুয়ারি ২০২১
- 10 hrs ago
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন কর্পূর ও মুলতানি মাটির ফেস প্যাক, দেখুন কীভাবে বানাবেন
- 13 hrs ago
খেলতে খেলতে চোট লেগেছে? এই পদ্ধতি প্রয়োগে নিমেষেই কমবে ব্যথা!
- 17 hrs ago
বুধ প্রবেশ করতে চলেছে কুম্ভ রাশিতে, জানুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
Don't Miss
কালীপূজা ২০২০ : দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
আজ কালীপুজো। পশ্চিম বাংলায় কার্তিক মাসের অমাবস্যায় দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জাঁকজমক সহকারে হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে, মা কালী জগতের সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করেন। এই দীপান্বিতা কালীপুজোর সময় ভারতের অন্যান্য জায়গায় মহা সমারোহে দীপাবলি বা দিওয়ালি উৎসব উদযাপিত হয়।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেবদেবীদের মধ্যে সবচেয়ে জাগ্রত হলেন মা কালী। তিনি তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন। তাই, বিপদে আপদে মা কালীর কাছে ছুটে যান তাঁর অগণিত ভক্তবৃন্দ। কথিত আছে, কলকাতার অদূরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত দক্ষিণেশ্বরের মা কালী অত্যন্ত জাগ্রত। ১৮৫৫ সালের ৩১ মে স্নানযাত্রার দিন এই মন্দিরের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি। এই মন্দিরে দেবী কালীকে "ভবতারিণী" নামে পূজা করা হয়।
কথিত আছে, রানি রাসমণি মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দির প্রতিষ্ঠাকালে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। পরে রামকুমার চট্টোপাধ্যায়কেই পৌরোহিত্যের কাজে নিয়োগ করেন রানি রাসমণি। তবে রামকুমার তাঁর ভাই গদাধরকে নিয়ে আসেন পুজোর কাজে সহায়তার জন্য। সেই গদাধরই পরবর্তীকালে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব হন। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব এই মন্দিরে কালীসাধনা করতেন। তাঁর আকর্ষণে এই মন্দির পরিণত হয় মহামানবের মহাতীর্থে।
দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি চত্বরে কালীমন্দির ছাড়াও একাধিক দেবদেবীর মন্দির রয়েছে। মূল মন্দির ছাড়াও রয়েছে "দ্বাদশ শিবমন্দির" নামে পরিচিত বারোটি আটচালা শিবমন্দির। মন্দিরের উত্তরে রয়েছে "শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মন্দির" নামে পরিচিত রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং মন্দিরের দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। মন্দির চত্বরের উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের বাসগৃহ। মূল মন্দির চত্বরের বাইরে রামকৃষ্ণ পরমহংস ও তার পরিবারবর্গের স্মৃতিবিজড়িত আরও কয়েকটি স্থান রয়েছে, যা আজ পুণ্যার্থীদের কাছে ধর্মস্থানরূপে বিবেচিত হয়।
মন্দিরটি বঙ্গীয় স্থাপত্যশৈলীর নবরত্ন স্থাপত্যধারায় নির্মিত। মূল মন্দিরটি তিন তলা। উপরের দুটি তলে এর নয়টি চূড়া বণ্টিত হয়েছে। মন্দির দক্ষিণমুখী। একটি উত্তোলিত দালানের উপর গর্ভগৃহটি স্থাপিত। এই দালানটি ৪৬ বর্গফুট প্রসারিত ও ১০০ ফুট উঁচু। গর্ভগৃহে শিবের বক্ষোপরে ভবতারিণী নামে পরিচিত কালী মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত। মূল মন্দিরের কাছে যে বারোটি একই প্রকার দেখতে পূর্বমুখী শিবমন্দির রয়েছে সেগুলি আটচালা স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত। গঙ্গার একটি ঘাটে দুই ধারে এই মন্দিরগুলি দণ্ডায়মান।
কালীপূজা ২০২০ : মহাতীর্থ কালীঘাট সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে আপনি অবাক হবেন!