Just In
মা দূর্গা কৈলাসে যাওয়ার আগে আপনাকে আশীর্বাদ করেছে কিনা জানবেন কিভাবে?
দূর্গা পুজোর চার দিন একাদিক ঘটনা এবং লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব যে মা আশীর্বাদের হাত মাথায় রেখেছে কিনা।
এ কেমন প্রশ্ন মশাই! মা আমাকে আশীর্বাদ করেছে কিনা, তা আমি জানবো কি করে? কে বলেছে জানতে পারবেন না। এমনটা জানার একটা নয়, একাধিক উপায় আছে মশাই!
বলেন কী! একেবারেই। একাধিক প্রচীন গ্রন্থে এই বিষয়ে উল্লেখও পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে দূর্গা পুজোর চার দিন একাদিক ঘটনা এবং লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব যে মা আশীর্বাদের হাত মাথায় রেখেছে কিনা। যেমন ধরুন...
১. প্যাঁচার ঘোরাঘোরি:
একটু খেয়াল করে দেখুন তো মহালয়ার পর থেকে দশমি পর্যন্ত স্বপ্নে প্যাঁচাকে দেখেছেন কিনা। এমন স্বপ্ন দেখে থাকলে জানবেন মা আপনাকে খুব ভালবাসেন এবং সপরিবারে বাড়ি ফেরার আগে আপনার ঝুলি আশীর্বাদে ভরিয়ে রেখে গেছেন। তাই আর কোনও চিন্তা নেই আপনার। এখন অপেক্ষা শুধু ভাল সময়ের...কি তাই তো?
২. বঙ্গ রমণী:
পুজোর সময় সবাই সেজে গুজে থাকবেন একথা নতুন কী! কিন্তু একটু মনে করার চেষ্টা করুন তো মন্ডপে যাওয়া বা আসার সময় আটপৌরে শাড়ি পরা খুব সুন্দর দেখতে কোনও মেয়েকে দেখেছেন কিনা? কারণ এমনটা মনে করা হয় যে নবরাত্রির সময় "ষোল সিঙ্গার" এ ভূষিত কোনও মেয়েকে দেখতে পেলে জানবেন আপনার পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি ফিরতে চলেছে। জীবন হয়ে উঠতে চলেছে আনন্দময়। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি বইয়ে এমনও লেখা আছে যে এমন নারীকে এক ঝলক দেখতে পাওয়ার অর্থ হল, সব ধরনের বাঁধা সরে যেতে শুরু করেছে আপনার জীবন থেকে।
৩. নারকেল নয়তো পদ্ম:
বহু কাল থেকে এমনটা বিশ্বাস করে আসা হচ্ছে যে দূর্গা পুজোর সময় সকাল বেলা যদি হঠাৎ করেই সামনে নারকেল বা পদ্ম ফুল এসে যাওয়াটা খুবই শুভ ঘটনা। এমনটা হওয়ার অর্থ হল মা ফিরে তাকিয়েছে তার ভক্তের দিকে। আর জগতজননী মা যখন একবার আশীর্বাদের ঝাপি খুলে দেন, তখন যে জীবনে সব দুঃখ নিমেষে কমে যায়, সে কি আর বলে দিতে হবে বন্ধুরা।
৪. গরুর আগমন:
হিন্দু ধর্মের জন্মকাল থেকেই গরুকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দূর্গা মন্ডপ থেকে বেরনোর সময় যদি সামনে গরু এসে যায়, তাহলে তা ভাল লক্ষণ। এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন আচ্ছে দিন আনে ওয়ালা হে...!