Just In
- 2 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 19 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 22 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
ডান হাতে কালো ধাগা পরা উচিত কেন জানেন?
রাস্তা-ঘাটে খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই হাতে কালো ধাগা পরে থাকেন। কারও কারও তো পায়েও থাকে কালো সুতো। কিন্তু এমনটা করে থাকেন অনেকে?
রাস্তা-ঘাটে খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই হাতে কালো ধাগা পরে থাকেন। কারও কারও তো পায়েও থাকে কালো সুতো। কিন্তু এমনটা করে থাকেন অনেকে?
আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কালো সুতো পরলে যে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার, তা অর্থনৈতিক বলুন কী শারীরিক, আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্র নিয়ে যারা চর্চা করেন, তাদের মতে কালো হল এমন একটি রং যা খারাপ শক্তিকে দূরে রাখে। আর নেগেটিভ এনার্জি যখন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তখন সব দিক থেকেই সুফল মেলার সম্ভাবনা যায় বেড়ে, যেমন ধরুন...
১. কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে:
খেয়াল করে দেখবেন বাড়ির বয়স্করা শুভ দিনে কালো রঙের জামা-কাপড় পরতে মানা করেন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমন দিনে কালো জামা-কাপড় পরলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। হতে পারে কোনও ক্ষতিও। কিন্তু মজার বিষয় হল, কালো সুতো যদি ডান হাতে পরা যায়, তাহলে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে কারও খারাপ দৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, আজকের প্রতিযোগিতায় জীবনে যেখানে সবাই, সবার ক্ষতি করার চেষ্টায় লেগে রয়েছে, সেখানে আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যরা যে আপনার উন্নতিতে ইর্ষান্বিত নয়, সে কথা কি নিশ্চিত করে বলতে পারন! তাই তো বলি বন্ধু খারাপ শক্তি থেকে দূরে থাকতে হাতে কালো সুতো দিয়ে তৈরি ধাগা পরতে ভুলবেন না যেন! আর যদি শনি-মঙ্গলবার এই ধাগা পরতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
২. নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকে:
তন্ত্র সাধনার কথা শুনেছেন নিশ্চয়? আর যদি না শুনে থাকেন, তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি হাজার হাজার পুরানো এই শাস্ত্রকে কাজে লাগিয়ে কারও পিছনে খারাপ শক্তিকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সেই মানুষটির জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আসলে ইর্ষান্বিত হয়ে বা রাগের কারণে অনেকে এমনটা করে থাকেন। কেউ কেউ তো মাত্রা ছাড়িয়ে তুক-তাকের পথও বেছে নেন। আর এমনটা যদি কেউ আপনার উপর করে থাকে, তাহলে বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে একের পর এক কারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। তাই তো বলি বন্ধু এমন নেগেটিভ শক্তির বিরুদ্ধে যদি জেহাদ ঘোষণা করতে হয়, তাহলে কালো সুতো দিয়ে তৈরি ধাগা পরতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে কেউ যতই তুকতাক করুক না কেন, আপনার কোনও ক্ষতিই হবে না।
৩. অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবে:
জানি বন্ধু জানি শুনতে হয়তো একটু আজব লাগছে। কিন্তু এই ধারণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে কালো ধাগা পরলে অর্থনৈতির উন্নতি ঘটে। আসলে কালো রং সুখ এবং সমৃদ্ধিকে আকৃষ্ট করে। সেই সঙ্গে আমাদের শরীর যে পাঁচটি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে, মাটি, বায়ু, আগুন, জল এবং ত্বকের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলে কাজের উন্নতি ঘটে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো বন্ধু কালো সুতো হাতে পরলে কতই না উপকার পাওয়া যায়।
৪. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ডান হাতে বা পায়ে কালো কার বাঁধলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে কোনও ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু সুস্থ শরীরের অধিকারি যদি হতে চান, তাহলে কালো সুতো হাতে পরতে ভুলবেন না যেন! বিশেষত বাচ্চাদের পরাবেন। কারণ নজর লেগে ছোটরাই তো বেশি মাত্রায় রোগভোগে ভুগে থাকেন, কি তাই না!
৫. পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির পরিবেশ বজায় থাকে:
অনেকেই এমনটা বিশ্বাস করেন যে একটি কালো সুতো কিনে তাতে নটি গিঁট বেঁধে হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে পুজো করে যদি বাড়ির সদর দরজায় ঝুলিয়ে রাখা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা হলে একদিকে যেমন পরিবারে সুখ-শান্তির ঝাঁপি কখনও খালি হয় না, তেমনি কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সব ক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে যদি এই পুজো করতে পারেন, তাহলে কিন্তু আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৬. মনের জোর বাড়ে:
ডান হাতে বা পায়ে কালে সুতির সুতো পরলে আমাদের চারিপাশে শুভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে মনোবল মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। আর মন যখন একবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা পেরতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!