Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
প্রতি শনিবার হনুমানজির পুজো করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে শনি এবং মঙ্গলবার হল হনুমানজির দিন। তাই তো এই দুদিন সর্বশক্তিমানের অরাধনা করলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।
হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে শনি এবং মঙ্গলবার হল হনুমানজির দিন। তাই তো এই দুদিন সর্বশক্তিমানের অরাধনা করলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার মন দিয়ে দেবের আরাধনা করলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। ফলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত অনন্দে ভরে ওঠতে সময় লাগে না!
এত দূর পড়ার পর ভাবতেই পারেন, এমনটা কী আদৌ সম্ভব যে দেবের অরাধনা করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হবে! জানি বন্ধু, প্রথমটায় কথাটা শুনে বিশ্বাস করা একটু শক্ত। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে প্রতি শনিবার মন দিয়ে হনুমানজির পুজো করলে বাস্তিবিকই এ জীবনে কখনও দুঃখের সম্মুখিন হতে হয় না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকে:
শনিবার সকাল সকাল স্নান সেরে পরিষ্কার জামা কাপড় পরে যদি হনুমান চাল্লিসা পাঠ করতে পারেন, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, বাড়ির সদর দরজার সামনে হনুমানজির ছবি রাখলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বাড়ির অন্দরে অশুভ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়, ফলে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
২. বাস্তু দোষ কেটে যায়:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কোনও বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে শত চেষ্টার পরেও কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসার সম্ভাবনও কমে। শুধু তাই নয়, পরিবারে আশান্তির মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল, কার বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছ, আর কার বাড়িতে নেই, তা খালি চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়। তাই তো সবারই প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করা উচিত। আসলে এমনটা করলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার হানুমান চাল্লিশা পাঠ করা শুরু করলে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয়, তখন কর্মক্ষেত্রে চটজলদি সফলতা লাভের সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যখন সঙ্গে থাকে, তখন জীবনটা যে অনেক সহজ হয়ে যায়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বলি বন্ধু বছর ৩৪-এর মধ্যে যদি উচ্চপদে আসীন হতে চান, তাহলে প্রতি শনিবারে দেবের পুজো করতে ভুলবেন না যেন!
৪. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
অল্প সময়ে মোটা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের মালিক হতে চান নাকি? তাহলে প্রতি শনিবার এক মনে হনুমানজির পুজো করতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে দেখবেন স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, জীবনে কখনও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও যাবে কমে।
৫. মনের মতো চাকরি মিলবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার দেবের অরাধনা করার পাশাপাশি যদি হনুমামন চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সর্বশক্তিমান বেজায় প্রসন্ন হন, ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণের পথ যেমন প্রশস্ত হয়। আর এমনটা হলে মনের মতো চারি পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। তাই যারা চাকরি খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন, তারা একবার মনে বিশ্বাস নিয়ে হনুমানজিকে ডেকে দেখুন, কষ্ট যে কমে যাবে, সে বিষেয় কোনও সন্দেহ নেই!
৬. শনি দেবের প্রভাব কমবে:
শাস্ত্র মতে প্রতি শনিবার হনুমানজির পুজো করলে শনিদেবের বক্র দৃষ্টি পরার আশঙ্কা কমে যায়। ফলে জীবনে কঠিন সময়ের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভবনা যায় কমে। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে যারা শনির সাড়ে সাতিতে ভুগছেন, তারাও যদি শ্রী হনুমানের অরাধনা শুরু করেন, তাহলে শনি দেবের প্রভাব কমে যেতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, শনি দেবের খপ্পর থেকে যদি বেঁছে থাকতে চান, তাহলে হনুমানজিকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না যেন!
হনুমানজির পুজো করতে হবে কীভাবে?
শনিবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সরে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে হয় হনুমানজির মন্দিরে গিয়ে দেবের অরাধনা করতে হবে, নয়তো বাড়িতেই করতে পারেন দেবের পুজো। এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন- দেবের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রথমে এক মনে হনুমান চাল্লিশা পাঠ করতে হবে। তারপর দেবকে তিল এবং চিনি নিবেদন করে শুরু করতে হবে পুজো। এরপর দেবের সারা শরীরে সিঁদুর লাগিয়ে শেষ করতে হবে অরাধনা। প্রসঙ্গত, এইভাবে যদি টানা ১১ সপ্তাহ হনুমানজির পুজো করতে পারেন, তাহলে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!