Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
কিভাবে ধনতেরাসের পুজো করবেন?
আর বাকি মাত্র কটা দিন। তারপরেই শুরু হবে আলোর উৎসব দীপাবলি। তবে দীপাবলির আগেই আমরা মেতে উঠি ধনতেরাসের আনন্দে। বেশ কয়েক বছর হল, আমরা বাঙালিরাও ধনতেরাস পালন করছি। তবে, পালন করলেই তো হবে না। এর বেশ কিছু নিয়মও আছে। আর সেই নিয়মগুলি জানাতেই বোল্ডস্কাইয়ের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
দীপাবলির আগে একদিন বা দুইদিন ধনতেরাস বা ধনত্রয়োদশী হিসাবে গণ্য করা হয়। অর্থভাগ্য এবং ধনপ্রাপ্তির আশায় ধনতেরাসে দেবী লক্ষ্মী এবং কুবেরের পুজো করা হয়ে থাকে। কারণ আমাদের সকলেরই বিশ্বাস যে, এই পুজো করলে পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি ভর ওটে। তবে মজার বিষয কি জানেন, এই পুজোর কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এক এক জায়গায় এক এক ভাবে এই পুজো করা হয়ে থাকে।
ধনতেরাসের অর্থ কি?
ধনতেরাস এক এক জায়গায় এক এক ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তাই ভারতবর্ষের সব জায়গায় এই পুজোর পদ্ধতি এক নয়। আজকের এই বিশেষ দিনে বহু লোক বাড়ির জন্য জিনিস পত্র কেনেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোনা, রুপো জাতীয় বহুমুল্য জিনিস কেনা হয়। এছাড়াও নতুন জামা কাপড়ও আজকের দিনে অনেকে কিনে থাকেন।
কেন ধনতেরাস পালন করা হয়?
মনে করা হয় যে, কুবের তার আরাধ্যা দেবী আদিলক্ষ্মীকে ভক্তির দ্বারা সন্তুষ্ট করতে পেরেছিলেন। এরফলে আজকের দিনে কুবের এবং লক্ষ্মীদেবীর পুজো করা হয়। এছাড়াও কথিত আছে যে, কুবের আজকের দিনে বিবাহের জন্য প্রয়োজনীয় কারণে ভগবান বিষ্ণুর কাছ থেকে কিছু অর্থ নিয়েছিলেন। যার ফলে, আজও বহু লোক ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে টাকা দান করেন, যাতে ভগবান বিষ্ণুর কাছে ধার শোধ করা যায়।
কিভাবে ধনতেরাস পালন করবেন?
ধনতেরাসের আগে সারা বাড়ি খুব ভালভাবে পরিষ্কার করতে হয়। এরপর ধনতেরাসের দিন সারা বাড়ি, বিশেষ করে মূল প্রবেশ পথের ওপর রঙ্গোলী দিতে হয়। এছাড়াও লাল রঙের রঙ্গোলী গুঁড়ো দিয়ে লক্ষ্মী দেবীর পা আঁকতে হয়। এরপর নিজের মতো করে লক্ষ্মী দেবীকে পুজো করতে হবে।
ধনতেরাসের পুজো পদ্ধতি:
প্রথমে একটি লাল রঙের কাপড় নিতে হয়। এরপর একটি ঘট বা বাটি নিতে হয়। মনে রাখতে হবে, এই পাত্রটি যেন ধনতেরাসের জন্য নতুন কেনা হয়। এবার এই পাত্রের মধ্যে চাল দিতে হয়। এছাড়াও, পাঁচটি সুপারি এবং ২১টি পদ্মবীজ দিতে হয়। সেই সঙ্গে আরও একটি ঘটিতে গঙ্গাজল ভরে, তারমধ্যে চিনি এবং সোনা বা রূপোর পয়সা দিতে হয়। আর জলের ওপরে ফুল বা মালা দিতে হয়। প্রসঙ্গত, মনে রাখতে হবে, ঘরে যে লক্ষ্মী দেবী এবং গনেশের মূর্তি বা কয়েন আছে, তার ডানদিকে নতুন কেনা সোনা বা রূপোর গয়না রাখতে হবে। যদি নতুন কোনও গয়না না কিনে থাকেন, তাহলে পুরনো যে কোনও গয়না, মূর্তি বা কয়েনের পাশে রাখতে পারেন। কেউ কেউ টাকাও মূর্তির পাশে রাখেন। নতুন প্রদীপ জ্বালাতে হবে। মনে রাখবেন, প্রদীপ যেন টানা দু ঘণ্টা ধরে জ্বলে। এছাড়াও ভগবানকে উৎসর্গ করে কিছু মিষ্টি এবং নৈবেদ্য দিতে হবে।
ভারতবর্ষের কোনও কোনও অঞ্চলে এদিন গরুকে খাওয়ানো হয়। কেউ কেউ আবার বাড়ির প্রতিটি সদস্যের নামে প্রদীপ জ্বালায়। এমনকি পূর্ব পুরুষকে স্মরণ করে গঙ্গায় বা নদীতে প্রদীপ ভাসানোর প্রথাও আছে। এদিন, বহু মহিলারা নতুন সোনা বা রূপোর গয়না কেনেন। যারা গয়না কিনতে পারেন না, তাঁরা নতুন বাসনপত্র কেনেন। কারণ বিশ্বাস করা হয় যে, এদিন কোনও ভারি ধাতুর জিনিস কিনলে
পরিবারের জন্য তা মঙ্গলজনক হয়।
ধনতেরাস পুজোর সঠিক সময়:
ধনতেরাস করার সবথেকে উপযোগী সময় হল, প্রদোষ কাল বা স্থির লগ্ন। প্রদোষ কাল বলতে বোঝায়, সূর্য অস্ত যাওয়ার পরবর্তী ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট সময়কে। ঠিক এই সময়েই লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয় এবং মনে করা হয় যে, এই সময়ে পুজো করলে ঘরে লক্ষ্মী স্থির থাকেন। এইদিন সারা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয়। যাতে বাড়ির থেকে সমস্ত খারাপ প্রভাব দূর হতে পারে। এছাড়াও, বহু অঞ্চলে আজকের দিনে, মৃত্যুর দেবতা যমরাজকে পুজো করা হয়ে থাকে।