Just In
- 9 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 11 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 14 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 16 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
আনন্দে থাকতে সাহায্য করবে এই ছোট ছোট জিনিসগুলি
আনন্দ খোঁজা মানে সব সময় যে বড়ো জিনিসে না, ছোট ছোট টুকরো ভালোলাগা যে আমাদের আনন্দ দিতে পারে।
আমাদের জীবনে প্রত্যেকটা দিন আমরা টার্গেট পূরণ করতে ব্যস্ত থাকি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয় এক অদৃশ্য ইঁদুর দৌড়ে ক্রমাগত ছুটে চলার। কখনো ভালো রেজাল্ট, তো কখনো চাকরি বা আরো ভালো ভবিষ্যতের কথা ভেবে। বড়ো লোক আরো ধনী হতে চায়। গরীব আর মধ্যবিত্ত চায় আরো সচ্ছল হতে। রোজকার একঘেয়ে জীবন কে টাকার অংকে মাপতে থাকি। হতাশা কে নেশা দিয়ে জোর করে টারগেট এর নামান্তর বানাই। তুলনা দিয়ে জীবনের সফলতা বিচার করতে শুরু করি। এই অবস্থায় আমরা অসন্তোষ নিয়ে জীবন কাটাতে থাকি।
সত্যিকারের আনন্দ কিসে পাওয়া যায় বুঝে উঠতে পারি না। টাকা যে সব নয় তা আমরা ভুলে যাই। টাকা, গাড়ি, বাড়ি এসব কেই জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য ভাবতে থাকি। খুব সহজ ভাবে ভাবলে আমরা ভবিষ্যতের জন্যে বাঁচতে থাকি। আজকের জন্যে নয়। হতাশায় ভুগে আমরা ডাক্তার অথবা সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছে ছুটতে থাকি। কিন্তু এর সমাধান যে আমাদের নিজের কাছেই, তা মনে থাকে না। আনন্দ খোঁজা মানে সব সময় যে বড়ো জিনিসে না, ছোট ছোট টুকরো ভালোলাগা যে আমাদের আনন্দ দিতে পারে, সে দিকটাও আজ দেখে নি ছোট পরিসরে।
১. প্রকৃতির সাথে সময় কাটান
ছোটবেলায় এই টিভি বা ইন্টারনেটের যুগ ছিল না। ঘাড় মাথা দিয়ে ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকতাম না। খেলার জায়গা ফোনের স্ক্রীন ছিল না। তাই ছোট ছোট আনন্দ কেই নিজের করে নিতে পারতাম। এখনো কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে তাই করা যায়। কোনো একটা সময় বৃষ্টি তে ভিজুন। কাদা মাঠে পা গুটিয়ে ছেলেবেলার মত নেমে যান। পুরনো অভ্যাসে আবার প্রজাপতি ধরতে থাকুন। নেট নাই বা থাকলো, নিজের ফোন তো আছে, তাই দিয়ে পছন্দের ফেলে আসা ফটোগ্রাফি টা আবার শুরু করুন নাহ। কাজের চাপে যে বাগান করার সখ টা ঝেড়ে ফেলেছিলেন, আবার শুরু করুন। প্রথম ফুল বা প্রথম ফল হওয়ার আনন্দ কম কিসের! ভোরবেলা উঠুন, নিজেকে সময় দিন, পছন্দের গান গুনগুনিয়ে উঠুন আনমনেই।
২. পরিবারের সাথে সময় কাটান
অফিসের ব্যস্ত কাজের পরে বাড়ি এসে চেষ্টা করুন পরিবারের সাথে সময় কাটানোর। সারাদিন ঘরে বসে থাকা আপনার বাবা মা হোক, বা আপনার স্ত্রী সন্তান, তারাও চায় আপনার সাথে মূল্যবান সময় কাটানোর। আপনার একটা খোজ নেওয়া বা একটা সাহায্য যেমন তাদের কে কাছে এনে দেবে, তেমনি আপনাকেও কম খুশি দেবে না।
৩. নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিন
নিজের প্রতিনিয়ত মারতে থাকা ইচ্ছা ভালোলাগা কে উড়তে দিন। হাসতে শিখুন। অন্য কে খুশি করুন নিজের সাধ্য মত। সারাদিনের একটা ভালো কাজ আপনাকে আনন্দ দিতে বাধ্য। ছোট বেলায় আঁকার ইচ্ছা ছিল যা হয়তো জীবন বিজ্ঞানের ক্লাশে শেষ হতে গেছিলো, আবার শুরু করুন। গান গাওয়া টা বাথরুম এ নয়, এবার নিজের মতো করে শিখতে থাকুন। আমরা কাজের চেপে ভুলে গেছি যে আমরা শুধু রবিবারের জন্যে বাঁচি না, আমরা বাঁচতে চাই রোজ, প্রত্যেকটা দিন। আমাদের কেউ বলেনি বাকি দিন গুলো কে অফিসের ফাইলের নিচে মেরে ফেলতে। সময় কাটানো মানে শুধু অফিসের পার্টি নয়, সময় কাটানো হতে পারে স্কুল বেলার ফেলে আসা পুরনো বন্ধু দের সাথেও। হতে পারে পরিবারের সবাই কে নিয়ে সপ্তাহ শেষে ঘুরতে যাওয়া। বাঁচুন নিজের মতো করে।
ছোট ছোট এই কাজ গুলোতেই আনন্দ উপভোগ করতে থাকলে কোনো একদিন পিছন ফিরে দেখবেন এই ছোট আনন্দ গুলোই অনেক বড়ো আনন্দে পরিণত হয়েছে।