Just In
- 4 hrs ago
Ajker Rashifal : আজ আপনার জীবনে কী ঘটবে? জানতে দেখুন ১৯ অগস্টের রাশিফল
- 14 hrs ago
রোজ একই রকম ভাবে ওটস খেতে খেতে বিরক্ত? স্বাদ বদলাতে বানিয়ে নিন ওটসের উপমা
- 15 hrs ago
গর্ভাবস্থায় খিদে মেটাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ পুষ্টিকর খাবার!
- 20 hrs ago
Surya Gochar 2022 : সূর্যের সিংহ রাশিতে প্রবেশ, কেমন কাটবে আপনার এই গোচরকাল? জেনে নিন
Holi 2022: দোলের আগের রাতে কেন করা হয় ন্যাড়া পোড়া? জেনে নিন পুরাণ কাহিনী
এবার ১৮ মার্চ দোল, সেই হিসেবে তার আগের সন্ধ্যায় অর্থাৎ আজ ১৭ মার্চ ন্যাড়া পোড়া। পশ্চিমবঙ্গে যা ন্যাড়া পোড়া, অনেকটা সেটাই দেশের অন্য প্রান্তে বা অবাঙালিদের কাছে হোলিকা দহন। হোলিকা দহন আসলে অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয়ের উদযাপন। এই ন্যাড়া পোড়া নিয়ে বাংলায় মজার ছড়াও প্রচলিত আছে, 'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।'
ন্যাড়া পোড়ার জন্য শুকনো ডাল, কাঠ, বাঁশ, খড় এবং শুকনো পাতা জোগাড় করা হয়। তারপরে ফাগুন পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পোড়ানো হয় সমস্ত স্তূপাকার করে। এই দহন অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর ফাগুন পূর্ণিমা রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়। কিন্তু জানেন কি কেন দোলের আগের রাতে মহা ধুমধাম করে ন্যাড়া পোড়া হয়? রইল আসল কাহিনী -
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, রাক্ষস রাজ হিরণ্যকশিপু প্রজাদের ভগবানের পুজো করা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি অমরত্ব লাভের জন্য ভগবান ব্রহ্মার তপস্যা করা শুরু করেন। তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে পাঁচটি বর প্রদান করেন - ১) কোনও মানুষ বা কোনও প্রাণী তাঁকে মারতে পারবে না। ২) ঘরের ভেতরে বা বাইরে তাঁর মৃত্যু হবে না। ৩) দিনেও তাঁর মৃত্যু হবে না এবং রাতেও হবে না। ৪) অস্ত্র-শস্ত্র দ্বারাও মৃত্যু হবে না। ৫) এমনকি জমিতে, জলে, শূন্যে কোথাও হবে না।
এই পাঁচটি বর পাওয়ার পর রাক্ষস রাজ নিজেকে অমর মনে করতে শুরু করেন। তাই তাঁর অত্যাচার ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকে। কিন্তু তাঁর সন্তান প্রহ্লাদ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত। বাবার কথা না শুনে তিনি দিন-রাত বিষ্ণুর আরাধনা করতেন। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন হিরণ্যকশিপু। এর জন্য হিরণ্যকশিপু নিজের বোন হোলিকার কাছে যান।
এদিকে হোলিকা ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি চাদর পেয়েছিলেন এবং এই চাদর হোলিকা-কে সর্বদা সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করবে বলে জানিয়েছিলেন ব্রহ্মা। তাই, হোলিকা জানান যে তিনি প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনের মধ্যে বসবেন। আর তাঁর গায়ে ব্রহ্মার দেওয়া চাদর থাকায় তাঁর কিছু হবে না, কিন্তু প্রহ্লাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
কিন্তু যেই প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করেন, সেই সময় ওই চাদর হোলিকার গা থেকে খসে প্রহ্লাদের উপর পড়ে। ফলে প্রহ্লাদের কিছু না হলেও পুড়ে ছাই হয়ে যান হোলিকা। আর এই হোলিকার মৃত্যু থেকেই শুরু হয় হোলিকা দহন প্রথা। বিশ্বাস করা হয় যে, হোলি বা দোলের আগের দিন হোলিকা দহন করলে মনের সমস্ত পাপ, হিংসা, অহংকার, লোভ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সেই মতো আজও দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ার প্রচলন রয়েছে। আর ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা পালন করেন হোলিকা দহন। হোলিকা দহন করে অশুভ সবকিছুর বিনাশের রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই বছর দোল পূর্ণিমা ২৮ মার্চ। এর ঠিক আগের দিন অর্থাত্ ২৭ মার্চ সন্ধ্যেবেলায়, ন্যাড়া পোড়া হবে বাংলায়। আর হোলি যেহেতু ২৯ মার্চ, সেই হিসেবে হোলিকা দহন পালিত হবে ২৮ মার্চ সন্ধ্যায়।
আরও পড়ুন : Holi : এই পাঁচ রাশির জন্য শুভ হতে চলেছে দোল! দেখে নিন তালিকায় আপনি আছেন কিনা