Just In
Dolyatra 2022 : ১৭ নাকি ১৮ মার্চ? দোল উৎসব কবে? জেনে নিন তিথি ও শুভক্ষণ
দেখতে দেখতে প্রায় চলেই এল রঙের উৎসব। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই চারিদিক রঙিন হয়ে উঠবে নানান রঙে। রঙে রঙে সেজে উঠবে অলি-গলি, পাড়ার মোড়। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি বছর দোল উৎসব পালিত হয়। যে দিনটি বাঙালির কাছে বসন্ত উৎসব হিসেবেও পরিচিত। বাংলায় দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা এবং অন্যান্য প্রদেশে হোলি নামে পালিত হলেও, আসলে বসন্ত উৎসব হল শ্রী কৃষ্ণের আরাধনার উৎসব। অনেকের বাড়িতে আবার এ দিন মহা আড়ম্বরে রাধা-গোবিন্দের পুজোও করা হয়। দোল উপলক্ষ্যে আট থেকে আশি আবির, পিচকারি ও রং নিয়ে খেলায় মেতে ওঠে।
দোলের আগের দিন পশ্চিমবঙ্গে ন্যাড়াপোড়া হয়, আর উত্তর ও পশ্চিম ভারতে হোলিকা দহনের আয়োজন হয়। অসৎ-এর ওপর সততার জয়ের প্রতীক এই দোল উৎসব। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালন করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ২০২২ সালের দোল পূর্ণিমার তিথি ও শুভক্ষণ।
দোলযাত্রার তিথি ও শুভক্ষণ
এ বছর দোলযাত্রা পড়েছে - ১৮ মার্চ, শুক্রবার
হোলি পড়েছে - ১৯ মার্চ, শনিবার
ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথি শুরু - ১৭ মার্চ, দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে
ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথি শেষ - ১৮ মার্চ, দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে
ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন - ১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার
ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহনের শুভক্ষণ - রাত ৯টা ০৬ মিনিট থেকে রাত ১০টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত।
দোল উৎসবের তাৎপর্য
ভারতের অন্যতম বড় উৎসব হোলি। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুসারে, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিনেই বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। তারপর থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। আবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত উৎসব চালু করেছিলেন। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। দোলের আগের দিন সন্ধ্যায় খড়, কাঠ, বাঁশ জ্বালিয়ে এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়, যা বাংলায় ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত।