Just In
- 2 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 4 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 18 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
কর্মক্ষেত্রে সফলতা,কোর্টকেস থেকে মুক্তি এবং আরও সব উপকতার পেতে কী কী হনুমান মন্ত্র জপ করা জরুরি?
শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গলবার এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করলে মনের মতো চাকরি তো মিলবেই, সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে, কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হবে।
চোখ থেকে টপ টপ করে জল পরছে। যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে মাথা। কাজ করতে মন চাইছে না একেবারেই। তবু ল্যাপটপে মাথা গুঁজে এক্সেল শিটে মাউসের দৌড়াদৌড়ি যেন থামতেই চাইছে না। কী করে থামবে বলুন! ১০৩ জ্বর হোক, কী ম্যালেরিয়া কোনও পরিস্থিতিতেই কাজ থামা চলবে না। কারণ কাল যে ডেডলাউইন। এমন চাকরের মতো কাজ করছে সিংহভাগ বাঙালি যুবক। তাদের ট্যালেন্ট তো আছে। বুদ্ধিও যে নেই, তাও নয়। কিন্তু সমস্যা হল ভাগ্যের জোর নেই যে মনের মতো চাকরি মেলে। এদিকে গুড লাককে রোজের সঙ্গী বানাতে যা করার প্রয়োজন তারা তা করতে নারাজ। কারণ এখনকার যুব সমাজের যে ভগবানে বিশ্বাস নেই!
মনের মতো চাকরি বা গুড লাকের সঙ্গে ভগবানের সম্পর্কটা ঠিক কোথায়, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে বন্ধু হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়ের দিকে নজর ফেরালে এমন কিছু মন্ত্রের সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা পাঠ করলে ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসতেও দেখবেন সময় লাগবে না। সুধু তাই নয়, মিলবে আরও অনেক উপকার। এই যেমন ধরুন হনুমান মন্ত্রের কথাই ধরুন না। শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গলবার এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি পাঠ করা শুরু করলে মনের মতো চাকরি তো মিলবেই, সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে, কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হবে, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে এবং কোর্ট কেসের মতো ঝামেলার খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসাতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন হনুমান মন্ত্রটি জপ করলে কেমন উপকার মিলবে সে সম্পর্কে...
১. মনের মতো চাকরি মিলতে মন্ত্র:
"বায়ু পুত্র ক্রিপা সিন্ধ পাহিমাম কারুনাকারা, রাম ভক্ত রাম দূত রক্ষা রক্ষা মহা প্রভু, শত্রু ভয়া বিনাশ্চ সর্ব মঙ্গল প্রসাদিনাম, বুদ্ধিরভালাম মানো ধারিয়াম নির্ভায়াৎভাম দেহী নাম", এই মন্ত্রটি প্রতি মঙ্গলবার ১০৮ বার পাঠ করতে হবে এবং টানা ৪৮ দিন যদি পাঠ করা যায়, তাহলেই কেল্লা ফতে! আসলে এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে, যে কারণে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর ভাগ্য যখন সঙ্গ দেয়, তখন যে শুধু মনের মতো চাকরি মেলে, তাই নয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি পদন্নতি লাভের পথও প্রশস্ত হয়।
২. যে কোনও কাজে চরম সফলতা লাভ করতে:
শুনতে হয়তো আজব লাগতে পারে। কিন্তু মন্ত্র বলে আমাদের জীবনের ছবিটা যে সত্যিই বদলে যেতে পারে, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই! এই হনুমান মন্ত্রটি কথাই ধরুন না। শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০৮ বার পাঠ করা শুরু করলে যে কাজই করুন না কেন, তাতে সফলতা লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করেন যে নতুন কোনও কাজ শুরু করার আগে যদি এই মন্ত্রটি একবার পাঠ করা যায়, তাহলে সে কাজে সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়। আর জীবনে যখন সফলতার ছোঁয়া লাগে তখন দুঃখ-কষ্ট দূর হতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য! প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"ওম বায়ু পুত্রায় বিদমাহে নাম দাস ধিমাহে, তানো হানুমান প্রাচোদায়াত"।
৩. মনের মতো জীবনসঙ্গী পেতে:
"অঞ্জনিয়াম আতি পাটলান্যাম কঞ্চনাদ্রি কামান্যিয়া বিগ্রাহাম পরিজাতা তারু মোলা বাশিনাম ভায়ামি পাভামনা নন্দানাম", এই হনুমান মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ২১ বার পাঠ করতে হবে এবং টানা ৪৮ দিন যদি জপ করা যায়, তাহলে বিবাহ সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে দেখবেন সময় লাগে না, সেই সঙ্গে মনের মতো জীবনসঙ্গীর খোঁজ মিলবে। তাই তো বলি বন্ধু, বিয়ে সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে যারা চিন্তায় রয়েছেন, তারা এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. মামলা-মোকদ্দমার খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে:
নানা কারণে কোর্টের চক্কর কাটতে কাটতে কি জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই এই হনুমান মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে! আসলে বন্ধু এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এই বীজ মন্ত্রটি দিনে দুবার, ১০০৮ বার করে পাঠ করলে যে কোনও কোর্ট কেস মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি মামলা-মোকদ্দমার সংক্রান্ত যে কোনও ঝামেলার খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"আম অইম ভ্রিম হানুমাতে শ্রী রাম দোতায়া নামাহ"।
হনুমান মন্ত্র জপ করার নিয়ম:
যে কোনও হনুমান মন্ত্র পাঠ করার সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন-
১. স্নান সেরে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে তবে মন্ত্র পাঠ করা উচিত। আর যে কোনও মন্ত্রই পাঠ করুন না কেন তা ১০৮ বার করতে এবং এক মনে তা সম্পন্ন করতে হবে।
২. মন্ত্র পাঠের সময় ১০৮ টা পুতির তুলসি মালা রাখতে পারেন। এমনটা করলে কতবার মন্ত্রটি পাঠ করছেন তা কাউন্ট করতে দেখবেন কোনও সমস্যাই হবে না।
৩. হনুমান মন্ত্র পাঠ করার সব থেকে আদর্শ সময় হল ভোরবেলা। আর যদি সকালে সময় করে উঠতে না পারেন, তাহলে বিকালেও মন্ত্র পাঠ করতে পারেন। তবে যখনই দেবের নাম নিন না কেন এক মনে, বিশ্বাসের সঙ্গে নেবেন, দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!
৪. মন্ত্র পাঠের সময় দেবের ছবি বা মূর্তি সামনে রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল মাটিতে বসে কিন্তু কোনও মন্ত্র পাঠ করা উচিত নয়। তাই যখনই মন্ত্র জপ করবেন আসনে বসতে ভুলবেন না যেন!
হনুমান মন্ত্র পাঠের আরও কিছু উপকারিতা:
শাস্ত্র মতে নিয়মিত যে কোনও হনুমান মন্ত্র পাঠ করলে যে শুধুমাত্র উপরে আলোচিত উপকারগুলিই পাওয়া যায়, তা নয়, সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু সুফল মেলে। যেমন ধরুন- শনি, রাহু এবং কেতুর খারাপ প্রভাব কমতে শুরু করে, মনের জোর এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, রোগ-ব্যাধি সব দূরে পালায়, খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়, প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটে এবং যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয়।